ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া (সাতক্ষীরা)
কলারোয়া উপজেলা সদরের পালপাড়ার দেড়শ বছরের মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্ত প্রায়। তবে এখনো কেউ কেউ টালির ছাউনি ঘরে মাটির জিনিসপত্র বানিয়ে পূর্বপুরুষের পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কারিগররা সরকারি সহায়তা কামনা করছেন।
পূর্বে যেখানে ২৮ টির মত মৃৎশিল্প কারখানা ছিল সেখানে এখন মাত্র সাতটি কারখানা ৷ সেগুলোতে কোনো রকম মৌসুমী ভাড় ও হোটেলের দইয়ের মালশাসহ কিছু জিনিসপত্র বানানোর কাজ হচ্ছে ৷ মাটির হাড়ি, কলস, গ্লাস, ধান চাল সংগ্রহের ছোট বড় হাড়া-জালা, ভাত খাওয়ার সানুক, গোখাদ্য দেওয়ার নান্দা, স্যানিটেশন রিং স্লাপ ইত্যাদি এখন বিলুপ্তির পথে।
এ ব্যাপারে উত্তর মুরারীকাটি গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ পালের স্ত্রী অঞ্জলি পাল বলেন, ২০ বছর আগেও এক সাথে যারা মাটির কারখানায় কাজ করেছেন তাঁদের অধিকাংশই এখন বেঁচে নেই। তাঁদের সাথে যেন কারখানাগুলোও বিলীন হয়ে গেছে। এক সময় রসের মৌসুমে মাটির ভাড় বিক্রি করে সংসার চালিয়ে টাকা জমালেও এখন আর আগের মতো কেনা-বেচা নেই। এজন্য তিনি প্লাস্টিকের কদর বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। অথচ একসময় সমাজে মাটির জিনিসপত্রের রাজত্ব ছিল।
অঞ্জলি পাল আক্ষেপ করে বলেন, হাতের এ কাজটি অনেক কষ্টসাধ্য। আমি মারা গেলে এই কাজ আমার পরিবারের আর কেউ করতে পারবে না। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মৃত ধীরেন্দ্র পালের ছেলে কৃষ্ণ পাল বলেন, একসময় এ রসের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ পিছ ভাড় বিক্রি হতো কিন্তু এখন দিনে ১০ পিস বিক্রি করা কঠিন। আগে দেড় টাকা দিয়ে গরুর গাড়ির ১ গাড়ি মাটি কিনে ৬০-৭০টি তৈরি করে ২ টাকা দরে বিক্রি হতো। কিন্তু এখন একদিকে মাটি ও মজুরির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারের সাথে সাথে মৃৎপাত্রের চাহিদা ব্যাপক কমেছে।
তিনি বলেন, দাদুর হাত ধরে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা মৃৎশিল্পের কাজ শিখেছিলেন। তবে এ কাজে লাভ না হওয়ায় তাঁরা বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। এক সময় কলারোয়া থেকে মৃৎশিল্পীদের গড়া মাটির জিনিসপত্র জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতে রপ্তানি হতো ৷ কিন্তু এখন টালির কারখানা ও মৃৎশিল্প প্রয় বিলুপ্ত।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সৃষ্টির আদি থেকেই প্রতিটি পরিবার ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় মৃৎশিল্পের গুরুত্ব ও অবদান অনেক ৷ বড় বড় নামিদামী ভিআইপি রেস্টুরেন্টে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের গুরুত্ব রয়েছে ৷ এ সময় তিনি উপজেলার মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কলারোয়া উপজেলা সদরের পালপাড়ার দেড়শ বছরের মৃৎশিল্প আজ বিলুপ্ত প্রায়। তবে এখনো কেউ কেউ টালির ছাউনি ঘরে মাটির জিনিসপত্র বানিয়ে পূর্বপুরুষের পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কারিগররা সরকারি সহায়তা কামনা করছেন।
পূর্বে যেখানে ২৮ টির মত মৃৎশিল্প কারখানা ছিল সেখানে এখন মাত্র সাতটি কারখানা ৷ সেগুলোতে কোনো রকম মৌসুমী ভাড় ও হোটেলের দইয়ের মালশাসহ কিছু জিনিসপত্র বানানোর কাজ হচ্ছে ৷ মাটির হাড়ি, কলস, গ্লাস, ধান চাল সংগ্রহের ছোট বড় হাড়া-জালা, ভাত খাওয়ার সানুক, গোখাদ্য দেওয়ার নান্দা, স্যানিটেশন রিং স্লাপ ইত্যাদি এখন বিলুপ্তির পথে।
এ ব্যাপারে উত্তর মুরারীকাটি গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ পালের স্ত্রী অঞ্জলি পাল বলেন, ২০ বছর আগেও এক সাথে যারা মাটির কারখানায় কাজ করেছেন তাঁদের অধিকাংশই এখন বেঁচে নেই। তাঁদের সাথে যেন কারখানাগুলোও বিলীন হয়ে গেছে। এক সময় রসের মৌসুমে মাটির ভাড় বিক্রি করে সংসার চালিয়ে টাকা জমালেও এখন আর আগের মতো কেনা-বেচা নেই। এজন্য তিনি প্লাস্টিকের কদর বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। অথচ একসময় সমাজে মাটির জিনিসপত্রের রাজত্ব ছিল।
অঞ্জলি পাল আক্ষেপ করে বলেন, হাতের এ কাজটি অনেক কষ্টসাধ্য। আমি মারা গেলে এই কাজ আমার পরিবারের আর কেউ করতে পারবে না। এজন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মৃত ধীরেন্দ্র পালের ছেলে কৃষ্ণ পাল বলেন, একসময় এ রসের মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ পিছ ভাড় বিক্রি হতো কিন্তু এখন দিনে ১০ পিস বিক্রি করা কঠিন। আগে দেড় টাকা দিয়ে গরুর গাড়ির ১ গাড়ি মাটি কিনে ৬০-৭০টি তৈরি করে ২ টাকা দরে বিক্রি হতো। কিন্তু এখন একদিকে মাটি ও মজুরির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে প্লাস্টিকের ব্যাপক ব্যবহারের সাথে সাথে মৃৎপাত্রের চাহিদা ব্যাপক কমেছে।
তিনি বলেন, দাদুর হাত ধরে বাকপ্রতিবন্ধী বাবা মৃৎশিল্পের কাজ শিখেছিলেন। তবে এ কাজে লাভ না হওয়ায় তাঁরা বিভিন্ন পেশায় চলে গেছেন। এক সময় কলারোয়া থেকে মৃৎশিল্পীদের গড়া মাটির জিনিসপত্র জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলাতে রপ্তানি হতো ৷ কিন্তু এখন টালির কারখানা ও মৃৎশিল্প প্রয় বিলুপ্ত।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, সৃষ্টির আদি থেকেই প্রতিটি পরিবার ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় মৃৎশিল্পের গুরুত্ব ও অবদান অনেক ৷ বড় বড় নামিদামী ভিআইপি রেস্টুরেন্টে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের গুরুত্ব রয়েছে ৷ এ সময় তিনি উপজেলার মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪