Ajker Patrika

আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় মরছে নদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০৯
আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় মরছে নদী

নদী রক্ষায় আদালতের অনেক যুগান্তকারী রায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ নেই। তাই অধিকাংশ নদী দখলে-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে। নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আইনকে কার্যকর করতে হবে।

গতকাল শনিবার বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী ওয়াশপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘নদী রক্ষায় আইন’ শীর্ষক ষষ্ঠ নদী কথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘একটা দেশের সম্পদ হলো নদী। নদীর সঙ্গে অনেক জীবসত্তার সম্পর্ক রয়েছে। নদীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নদীর ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। নদীর গুণগত মান ঠিক করা উচিত। বিশ্বনেতারা যখন কপ বা জলবায়ুসংক্রান্ত অন্যান্য সম্মেলনে বসবে, তখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আইনি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের মানুষ এক বিশাল পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আমাদের নদী রক্ষা না করতে পারলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাকেই মেরে ফেলা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কারখানা যেখানে আছে, সেখানে পরিবেশদূষণ ঘটবেই। তবে আইনের মাধ্যমে তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ২০১৯ সালে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।’ বাহাত্তরের সংবিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয়, নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সাধারণ মানুষের সম্পদ। ফলে কেউ এটাকে ধ্বংস করতে পারবে না। নদী সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দেশের নদী রক্ষার জন্য একটি কমিশন করা হয়েছে। সেই কমিশন সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।’

ড. সৈয়দা নাসরিন বলেন, ‘নদী রক্ষায় আদালতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক। কোর্ট ইতিমধ্যে নদী রক্ষায় অনেকগুলো যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন নদী অবৈধভাবে দখল-দূষণ যেটুকু কমেছে, সেখানেও আদালতের ভূমিকা রয়েছে।’ স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি সারমিন রহমান জানান, তিনি ছোটবেলায় নদীকে যেমন জীবন্ত দেখেছেন, এখন তা পলিথিন, শিল্পকারখানার বর্জ্য দ্বারা ভর্তি হয়ে ভয়াবহ রকম দূষিত হচ্ছে। নদীদূষণ নিয়ে যত রকম গবেষণা হয়, সেখানে স্থানীয় মানুষজনদের সম্পৃক্ত করা হয় না। স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি মানিক হোসেন বলেন, ‘নদী ভরাট বন্ধ করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নদী গবেষকদের তথ্যমতে, আগে দেশে দেড় হাজারের বেশি নদী ছিল। দখলে-দূষণে বছরের পর বছর এই নদীগুলো কমতে থাকে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা (২০১১) মতে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ২০০৬ সালে জাতীয় নদী সম্মেলনে জানিয়েছে, সারা বছর পানি থাকে দেশে এমন নদীর সংখ্যা রয়েছে মাত্র ২৩০টি। বর্তমানে এই নদীগুলোর বড় অংশ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা: কে এই ফ্লাইট এক্সপার্ট এমডি সালমান, বাবার হাত ধরে যাঁর উত্থান

আ.লীগের এমপি শাম্মীর বাসায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ভাগ-বাঁটোয়ারার বিবরণ দিলেন রিয়াদ

কিশোরগঞ্জে হর্টিকালচারের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ‘সমকামিতার’ অভিযোগ, মামলা বাবুর্চির

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

আক্কেলপুরে পুলিশের মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত