নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নদী রক্ষায় আদালতের অনেক যুগান্তকারী রায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ নেই। তাই অধিকাংশ নদী দখলে-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে। নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আইনকে কার্যকর করতে হবে।
গতকাল শনিবার বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী ওয়াশপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘নদী রক্ষায় আইন’ শীর্ষক ষষ্ঠ নদী কথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘একটা দেশের সম্পদ হলো নদী। নদীর সঙ্গে অনেক জীবসত্তার সম্পর্ক রয়েছে। নদীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নদীর ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। নদীর গুণগত মান ঠিক করা উচিত। বিশ্বনেতারা যখন কপ বা জলবায়ুসংক্রান্ত অন্যান্য সম্মেলনে বসবে, তখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আইনি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের মানুষ এক বিশাল পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আমাদের নদী রক্ষা না করতে পারলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাকেই মেরে ফেলা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কারখানা যেখানে আছে, সেখানে পরিবেশদূষণ ঘটবেই। তবে আইনের মাধ্যমে তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ২০১৯ সালে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।’ বাহাত্তরের সংবিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয়, নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সাধারণ মানুষের সম্পদ। ফলে কেউ এটাকে ধ্বংস করতে পারবে না। নদী সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দেশের নদী রক্ষার জন্য একটি কমিশন করা হয়েছে। সেই কমিশন সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।’
ড. সৈয়দা নাসরিন বলেন, ‘নদী রক্ষায় আদালতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক। কোর্ট ইতিমধ্যে নদী রক্ষায় অনেকগুলো যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন নদী অবৈধভাবে দখল-দূষণ যেটুকু কমেছে, সেখানেও আদালতের ভূমিকা রয়েছে।’ স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি সারমিন রহমান জানান, তিনি ছোটবেলায় নদীকে যেমন জীবন্ত দেখেছেন, এখন তা পলিথিন, শিল্পকারখানার বর্জ্য দ্বারা ভর্তি হয়ে ভয়াবহ রকম দূষিত হচ্ছে। নদীদূষণ নিয়ে যত রকম গবেষণা হয়, সেখানে স্থানীয় মানুষজনদের সম্পৃক্ত করা হয় না। স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি মানিক হোসেন বলেন, ‘নদী ভরাট বন্ধ করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নদী গবেষকদের তথ্যমতে, আগে দেশে দেড় হাজারের বেশি নদী ছিল। দখলে-দূষণে বছরের পর বছর এই নদীগুলো কমতে থাকে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা (২০১১) মতে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ২০০৬ সালে জাতীয় নদী সম্মেলনে জানিয়েছে, সারা বছর পানি থাকে দেশে এমন নদীর সংখ্যা রয়েছে মাত্র ২৩০টি। বর্তমানে এই নদীগুলোর বড় অংশ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
নদী রক্ষায় আদালতের অনেক যুগান্তকারী রায় আছে। গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ নেই। তাই অধিকাংশ নদী দখলে-দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে। নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আইনকে কার্যকর করতে হবে।
গতকাল শনিবার বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী ওয়াশপুরে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘নদী রক্ষায় আইন’ শীর্ষক ষষ্ঠ নদী কথন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘একটা দেশের সম্পদ হলো নদী। নদীর সঙ্গে অনেক জীবসত্তার সম্পর্ক রয়েছে। নদীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে নদীর ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। নদীর গুণগত মান ঠিক করা উচিত। বিশ্বনেতারা যখন কপ বা জলবায়ুসংক্রান্ত অন্যান্য সম্মেলনে বসবে, তখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক আইনি নীতিমালা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় বিশ্বের মানুষ এক বিশাল পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। আমাদের নদী রক্ষা না করতে পারলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাকেই মেরে ফেলা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘কারখানা যেখানে আছে, সেখানে পরিবেশদূষণ ঘটবেই। তবে আইনের মাধ্যমে তা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ২০১৯ সালে নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।’ বাহাত্তরের সংবিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেয়, নদী একটি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং সাধারণ মানুষের সম্পদ। ফলে কেউ এটাকে ধ্বংস করতে পারবে না। নদী সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। দেশের নদী রক্ষার জন্য একটি কমিশন করা হয়েছে। সেই কমিশন সুপারিশ করতে পারে। কিন্তু কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।’
ড. সৈয়দা নাসরিন বলেন, ‘নদী রক্ষায় আদালতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক। কোর্ট ইতিমধ্যে নদী রক্ষায় অনেকগুলো যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন নদী অবৈধভাবে দখল-দূষণ যেটুকু কমেছে, সেখানেও আদালতের ভূমিকা রয়েছে।’ স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি সারমিন রহমান জানান, তিনি ছোটবেলায় নদীকে যেমন জীবন্ত দেখেছেন, এখন তা পলিথিন, শিল্পকারখানার বর্জ্য দ্বারা ভর্তি হয়ে ভয়াবহ রকম দূষিত হচ্ছে। নদীদূষণ নিয়ে যত রকম গবেষণা হয়, সেখানে স্থানীয় মানুষজনদের সম্পৃক্ত করা হয় না। স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধি মানিক হোসেন বলেন, ‘নদী ভরাট বন্ধ করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নদী গবেষকদের তথ্যমতে, আগে দেশে দেড় হাজারের বেশি নদী ছিল। দখলে-দূষণে বছরের পর বছর এই নদীগুলো কমতে থাকে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গবেষণা (২০১১) মতে বাংলাদেশের নদীর সংখ্যা ৪০৫টি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ২০০৬ সালে জাতীয় নদী সম্মেলনে জানিয়েছে, সারা বছর পানি থাকে দেশে এমন নদীর সংখ্যা রয়েছে মাত্র ২৩০টি। বর্তমানে এই নদীগুলোর বড় অংশ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫