Ajker Patrika

বাঘার মেয়র হচ্ছেন কে?

গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, বাঘা (রাজশাহী)
Thumbnail image

এবারের বাঘা পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে মাঠে রয়েছেন একজন বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রতীকবিহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি-জামায়াতের দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ দলবিহীন এক প্রার্থী। সব মিলিয়ে চার প্রার্থীর মধ্যে কে হচ্ছেন মেয়র?

ভোটারদের মতে, সবাই সমান সমান। ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিএনপি-জামায়াত এখানে আওয়ামী লীগকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে বলে ধারণা ভোটারদের। রাজশাহীর বাঘা পৌরসভায় আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ হবে।

 নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান (নৌকা), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী (জগ), পৌর জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম (নারিকেলগাছ), পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন (কম্পিউটার) ও ইসরাফিল বিশ্বাস (মোবাইল ফোন)। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আওয়ামী লীগের আক্কাছ আলী ও বিএনপির কামাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আত্মীয়তার বন্ধন ও গোষ্ঠীগত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে গোপনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কেউ কেউ। এতে ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জেলা ও উপজেলা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায় প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।

পৌরসভার উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন। প্রতীক দেখে নয়।

বাজু বাঘার সাজেদুল নামের একজন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করি, তাই প্রতীক দেখে ভোট দেব।’

বিএনপির তফিকুল ইসলাম ও জামায়াতের জাহাঙ্গীর হোসেনের সমর্থনকারী ভোটাররা বলেছেন, প্রতীক না থাকলেও ব্যক্তি দেখে ভোট দেওয়ার কথা। তাঁদের কথায়, কেউ কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। সবাই সমান সমান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দলগত সিদ্ধান্তে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। নেতা-কর্মী নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিকতার কারণে কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নেন, সে ক্ষেত্রে কাউকে নিষেধ করা হয়নি।

জানা যায়, পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর।

এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন শাহিনুর রহমান। নৌকার বিপরীতে গিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আক্কাছ আলী। স্থানীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন অন্তত পাঁচজন। শেষ পর্যন্ত চমক দেখিয়েছেন শাহিনুর রহমান। শুরুতে মনোনয়নবঞ্চিতদের মন খারাপ থাকলেও শুধু প্রতীকের দিকে তাকিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ না দেখিয়ে প্রচারকাজে অংশ নিয়েছেন তাঁরা।

দলীয় প্রতীকের বাইরে লড়ছেন বিএনপির কামাল হোসেন ও জামায়াতের সাইফুল ইসলাম। সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে ১৩ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রে ৯০টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত