সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভবনে একটি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগের জন্য। নানা অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাকে অব্যাহতি দিয়ে ওই কমিটি বিলুপ্তি করা হয় ২০২০ সালের জুনে। সেই থেকে ওই কক্ষ তালাবদ্ধ পড়েছিল। কিন্তু আড়াই বছর পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই কক্ষটি নিয়েই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ কক্ষটি খুলে সেখানে নিজ সমর্থক ও বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করেন যুবলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। এ সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ কক্ষটিতে অবস্থান করেন এবং আহ্বায়কের চেয়ারে বসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, যে চেয়ারটিতে বসে সাজ্জাদুল হক রেজা মতবিনিময় করছেন, তাঁর ঠিক মাথার ওপরেই একই সারিতে, সমান্তরালে টানানো হয়েছে চারটি ছবি। চারটি ছবির ডান থেকে প্রথম ছবিটি আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির, দ্বিতীয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, তৃতীয়টি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং চতুর্থ ছবিটি সাজ্জাদুল হক রেজার।
জানা গেছে, নানা বিতর্কিত কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়া ও করোনা বিধিনিষেধ অমান্য করে সমাবেশ করায় ২০২০ সালের ২৬ জুন বেলকুচি যুবলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। ওই সময় থেকেই বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুতল ভবনে বরাদ্দ দেওয়া যুবলীগের কক্ষটি তালাবদ্ধ ছিল।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সরকার বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মতি নিয়ে যুবলীগের কক্ষটি খোলা হয়েছে। নতুন কমিটি না থাকায় আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। আর অনেক বছর আগে ঝোলানো ছবি টানানো ঠিক আছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবির একটু নিচেই তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের ছবি ঝোলানো হয়েছে। ছবিতে হয়তো একই মাপে টানানো মনে হচ্ছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল রহমান বলেন, ‘যুবলীগের কক্ষটি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যুবলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কারও কোনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকেন না। উপজেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত দিলে তো আমরা জানতাম। আর জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে একই কাতারে ছবি টানানো চরম ধৃষ্টতা।’
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও যুবলীগের কর্মীদের বসার জায়গা দিতে কক্ষটি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে যুবলীগের কক্ষে একই সারিতে টাঙানো ছবিগুলো দেখলাম। সেখানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়কের ছবি একই সারিতে দেখা গেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য, ঘৃণ্য ও শিষ্টাচার বিবর্জিত কাজ।’
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভবনে একটি কক্ষ বরাদ্দ রয়েছে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগের জন্য। নানা অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাকে অব্যাহতি দিয়ে ওই কমিটি বিলুপ্তি করা হয় ২০২০ সালের জুনে। সেই থেকে ওই কক্ষ তালাবদ্ধ পড়েছিল। কিন্তু আড়াই বছর পর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই কক্ষটি নিয়েই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তালাবদ্ধ কক্ষটি খুলে সেখানে নিজ সমর্থক ও বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করেন যুবলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা। এ সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ কক্ষটিতে অবস্থান করেন এবং আহ্বায়কের চেয়ারে বসে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, যে চেয়ারটিতে বসে সাজ্জাদুল হক রেজা মতবিনিময় করছেন, তাঁর ঠিক মাথার ওপরেই একই সারিতে, সমান্তরালে টানানো হয়েছে চারটি ছবি। চারটি ছবির ডান থেকে প্রথম ছবিটি আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির, দ্বিতীয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, তৃতীয়টি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং চতুর্থ ছবিটি সাজ্জাদুল হক রেজার।
জানা গেছে, নানা বিতর্কিত কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়া ও করোনা বিধিনিষেধ অমান্য করে সমাবেশ করায় ২০২০ সালের ২৬ জুন বেলকুচি যুবলীগের তৎকালীন আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র। ওই সময় থেকেই বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের বহুতল ভবনে বরাদ্দ দেওয়া যুবলীগের কক্ষটি তালাবদ্ধ ছিল।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সরকার বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মতি নিয়ে যুবলীগের কক্ষটি খোলা হয়েছে। নতুন কমিটি না থাকায় আমরা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছি। আর অনেক বছর আগে ঝোলানো ছবি টানানো ঠিক আছে। প্রধানমন্ত্রীর ছবির একটু নিচেই তৎকালীন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের ছবি ঝোলানো হয়েছে। ছবিতে হয়তো একই মাপে টানানো মনে হচ্ছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল রহমান বলেন, ‘যুবলীগের কক্ষটি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়নি। যুবলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কারও কোনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকেন না। উপজেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত দিলে তো আমরা জানতাম। আর জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে একই কাতারে ছবি টানানো চরম ধৃষ্টতা।’
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও যুবলীগের কর্মীদের বসার জায়গা দিতে কক্ষটি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে যুবলীগের কক্ষে একই সারিতে টাঙানো ছবিগুলো দেখলাম। সেখানে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়কের ছবি একই সারিতে দেখা গেছে। এটি অগ্রহণযোগ্য, ঘৃণ্য ও শিষ্টাচার বিবর্জিত কাজ।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫