Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি কাজের সুযোগ

তালহা চৌধুরী
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১৩: ৩১
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি কাজের সুযোগ

বিশ্বের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। উচ্চশিক্ষার এই পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থাকে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। সঠিক সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপের জোরে অনেকেই দ্রুত পৌঁছে যান তাঁদের লক্ষ্যে। আবার সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেককেই বারবার হতে হয় ব্যর্থ। যাঁরা আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে চান, তাঁদের জন্য গাইডলাইনস্বরূপ প্রেসিডেনশিয়াল ফুল ফ্রি স্কলার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড মিউজিক, বেনিংটন কলেজ, ইউএসএর শিক্ষার্থী তালহা চৌধুরীর দুই পর্বের ধারাবাহিক আলোচনার আজকে থাকছে শেষ পর্ব।

আবেদন কখন শুরু, কখন শেষ
প্রতিবছর আগস্ট মাসে আবেদন শুরু হয় বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পরবর্তী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। কয়েকভাবে আবেদন করা যায় এবং বিস্তারিত গুগলে পাওয়া যাবে। একজন শিক্ষার্থী যদি কোনো গ্যাপ ইয়ার ছাড়া আবেদন করতে চান, তাহলে তাঁকে যে বছর এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ থাকবে, তার আগের বছর আগস্টের দিকে আবেদন শুরু করতে হবে।

আবেদন করতে এজেন্সির সাহায্য জরুরি নয়। কেউ যদি সেগুলো সঠিকভাবে রিসার্চ করতে পারেন, তাহলে তিনি নিজে নিজেই সঠিকভাবে আবেদন করতে পারবেন। তবে কেউ যদি সাহায্য চান পুরো প্রসেসে কিছু কনসালট্যান্সি বা এজেন্সির, তাহলে সেটাও অ্যাভেইলেবল। তবে নিজে থেকে চেষ্টা করে আবেদন করতেই উপদেশ দেব, যেটা আমি নিজেই করেছি।

স্টুডেন্ট ভিসায় গিয়ে কাজ
অনেকে আমেরিকার পুরো প্রক্রিয়াকে ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ হিসেবে মনে করেন এবং এতে অনেক কনফিউশন সৃষ্টি হয়। আমি এটাকে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব।  

আমেরিকার অ্যাডমিশন প্রসেস আর ‘বিদেশ’-এর অ্যাডমিশন প্রসেসের অনেক পার্থক্য হতে পারে। কারণ বিদেশ বলে বাংলাদেশ বাদে যেকোনো দেশকেই বোঝানো যায়। আমেরিকার অ্যাডমিশন প্রসেসে ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ হলো সব থেকে শেষ পদক্ষেপ। সবার প্রথমে আগে শিক্ষার্থীকে ওপরোল্লিখিত পদ্ধতিতে অ্যাডমিশন লেটার পেতে হবে। যদি সেটায় তিনি সফল হন, তবেই তিনি স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তাঁর সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, এরপর তাঁর ভিসা হয়। তাই কেউ আমেরিকার জন্য উচ্চশিক্ষায় গেলে, ‘স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে চলে গেছে’ বলার থেকে, সঠিক হবে ‘বৃত্তি নিয়ে চলে গেছে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে’ বলা। শুধু IELTS করে আমেরিকায় তখনই যেতে পারবে, যখন তার ওপরে উল্লেখ করা বাকি সব অংশ ফুলফিল হবে। 

উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা
উত্তরটা অনেক বড় করে দেওয়া যায়, তবে সারসংক্ষেপে বলা যায়, আমেরিকায় যেভাবে এডুকেশন নিয়ে ভাবে, অন্য কোনো দেশ তত দূর পৌঁছাতে পারেনি। অপরচুনিটির একটা গোল্ড মাইন হলো আমেরিকা এবং পড়াশোনার পাশাপাশি টপ কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট কোনো সাবজেক্টকে কেন্দ্র করে পড়তে বাধ্য করে না। আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি–বেনিংটন কলেজ, এখানে আমি নিজের পড়ার বিষয় নিজে বানাতে পারি ইচ্ছামতো কোর্স নিয়ে। আমি বর্তমানে পড়ছি কম্পিউটার সায়েন্স, মিউজিক ও ইকোনমিকস নিয়ে। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে এ রকম?

পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ
পড়াশোনার পাশাপাশি জবের সুযোগ রয়েছে এখানে; তবে সেটা সীমিত আকারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সর্বোচ্চ সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করা যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালে সর্বোচ্চ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করা যায়। এ ছাড়া আমেরিকায় আসার পর প্রথম ৯ মাস ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা যায় না। এসব জব থেকে আয় সীমিত এবং বেশির ভাগ সময়ে এই জবের টাকা দিয়ে থাকা-খাওয়া পুরোটা ম্যানেজ করা যায় না। 

পড়াশোনা শেষে স্থায়িত্ব
আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ভিসা চার বছরের হয় এবং এক বছর থাকে জব খোঁজার জন্য। যারা সায়েন্স, টেকনোলজি, ম্যাথ, অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ে, তারা আরও তিন বছর সুযোগ পায় জব ট্রেনিংয়ের জন্য। এখানে সেটেল হওয়া বিষয়টা অন্যান্য দেশের থেকে কঠিন এবং সময় লাগে অনেক আর প্রসেসটাও প্রতিযোগিতামূলক।

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

বরিশাল-১: স্বপন-কুদ্দুসের দ্বন্দ্বে নির্বাচনের আগে দলে অস্থিরতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত