Ajker Patrika

গুগলের সিইও হওয়া অনেকটা স্বপ্নের মতোই

মুসাররাত আবির
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৭
গুগলের সিইও হওয়া অনেকটা স্বপ্নের মতোই

২০০৪ সালে গুগলে যোগ দেন সুন্দর পিচাই। সেই থেকে তাঁর সাফল্যের যাত্রা শুরু। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে বড় হওয়া সুন্দর ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একদিন সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করবেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গুগলের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ঘোষণা দেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হবেন সুন্দর পিচাই।

সিইও হওয়া অনেকটা স্বপ্নের মতোই

গুগলের এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফলভাবে একটি কোম্পানী চালানোর ব্যাপারে বিবিসিকে বলেন, ‘প্রতিটি উদ্যোক্তার উচিত নিজের মনের কথা অনুসরণ করা এবং এমন কিছু খুঁজে বের করুন, যা আপনাকে উদ্দীপ্ত করে।’

স্বপ্ন মানে না কোনো সংখ্যা

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। খুবই সাধারণ সহজ-সরল জীবন যাপন ছিল আমাদের। আমার মনে এই সরলতাই আমাকে গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হতে সাহায্য করেছে। আমার কাছে ৪৭ বছর বয়সে এসে এত বড় একটা প্রতিষ্ঠানের সিইও হওয়া অনেকটা স্বপ্নের মতোই।’

শোনো তোমার মনের কথা

একজন প্রধান নির্বাহী তখনই সফল হবেন, যখন তিনি যা মনে করেন, সেটাই তার কাজে প্রতিফলিত হয়।

আপনার মস্তিষ্ক যা বলে তার চেয়ে বেশি-আপনার মন কী দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়, তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। এটি একটি ভ্রমণ এবং আপনি যখন এটি খুঁজে পাবেন, তখনই আপনি জানতে পারবেন ঠিক কোন জিনিসটা আপনাকে উদ্দীপ্ত করছে। কেবল এটিই পারে আপনার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এভাবেই বলছিলেন সুন্দর পিচাই। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের তৈরি এটিই আগামী দিনের সবচেয়ে দক্ষ প্রযুক্তি হয়ে উঠবে।’

কিশোর বয়স থেকেই সিলিকন ভ্যালিতে কাজ করতে চেয়েছিলেন তিনি তাই তাঁর ফ্লাইট ও স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনার খরচ বহন করার জন্য তাঁর বাবা এক বছরের একটি ঋণও নিয়েছিলেন।

যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে কীভাবে গুগলে চাকরি পাওয়া যায়, তখন তিনি তাঁর ২০০৪ সালে গুগলে চাকরির জন্য আবেদন ও সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়াটা তুলে ধরেন।

পিচাই বলেন, ‘২০০৪-এ গুগলপ্লেক্সে আমি যেদিন প্রথম ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম, সেদিন ছিল এপ্রিলের ১ তারিখ, অর্থাৎ এপ্রিল ফুল দিবস! মনে হচ্ছিল কেউ আমার সঙ্গে রসিকতা করছে। কাকতালীয়ভাবে সেদিনই জিমেইল চালু করে গুগল। ইন্টারভিউ বোর্ডে একসঙ্গে অনেকজন সাক্ষাৎকার নিতে বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন যে জিমেইল সম্পর্কে আমার চিন্তাভাবনা কী? যেহেতু সেদিনই সেটা বের হয়, তাই সে-সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সবশেষে একজন প্রশ্নকর্তা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি জিমেইল দেখেছি নাকি? আমি বললাম, না। তখন তিনি তাঁর কম্পিউটারে আমাকে জিমেইল দেখান। এরপরই আমি তাঁদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলাম।’

অতি সাধারণ ব্যক্তিগত জীবন

পিচাই বিশ্বের অন্যতম বড় কোম্পানির সিইও হিসেবে নিজের কিছু ব্যক্তিগত অভ্যাসও তরুণদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।

তাঁর সকাল শুরু হয় সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে এবং তিনি সপ্তাহে তিন বা চারবার ব্যায়াম করার চেষ্টা করেন। পিচাই নিরামিষভোজী, সকালে চা এবং বিকেলে কফি পান করেন। তিনি ইংরেজি, হিন্দি ও তামিল—এই তিনটি ভাষায় কথা বলেন।

অনুবাদ: মুসাররাত আবির

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

গাজীপুরে ইট দিয়ে সাংবাদিকের পা থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত