Ajker Patrika

মিষ্টি আলুর ভালো দাম, ফের চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৭: ৫৫
Thumbnail image

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মিষ্টি আলু চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন চাষিরা। দাম কম পাওয়ায় এ ফসলের চাষ করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এখন ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা আবার মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

কয়েক বছর ধরে মিষ্টি আলুর ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। এখন মৌসুমি সময়ে বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মৌসুম ছাড়া মিষ্টি আলু ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়। ফলে পুনরায় কৃষকেরা মিষ্টি আলুর চাষ শুরু করেছেন।

যমুনা ও বাঙ্গালী নদীবিধৌত সারিয়াকান্দির মাটি বেলে দোআঁশ হওয়ায় এখানে আগে থেকেই মিষ্টি আলুর ভালো ফলন হয়। নব্বইয়ের দশকের দিকে মিষ্টি আলুর কেজি ছিল ২ টাকা। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সবকিছুর দাম বাড়লেও মিষ্টি আলুর দাম সেভাবে বাড়েনি। তাই কৃষকেরা মিষ্টি আলু চাষ থেকে প্রায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন।

চরের পতিত জমিগুলোতে চাষিরা মিষ্টি আলু চাষ করেন। এটি চাষে জমিতে বাড়তি কোনো সার দিতে হয় না। শুধু কৃষকেরা জমিতে দু-একটি চাষ দিয়ে মিষ্টি আলুর কাণ্ড রোপণ করেন এবং কয়েক মাস পর পরিপক্ব আলু উত্তোলন করেন। এ ক্ষেত্রে বলা যায়, কোনো পরিচর্যা ছাড়াই কৃষকেরা এর ফলন পান।

উপজেলার নারচী ইউনিয়নের চর গোদাগাড়ী গ্রামে প্রায় ১৫০ বিঘা জমির সুবিশাল মিষ্টি আলুর পাথার রয়েছে। সেখানে কথা হয় মিষ্টি আলুচাষি শাহজাহান আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, এ বছর আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু লাগিয়েছিলেন। সবটুকু জমির মিষ্টি আলু উত্তোলন করে তিনি ১২০ মণ আলু পেয়েছেন। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় তিনি খুশি।

কাজলা ইউনিয়নের উত্তর টেংরাকুড়া চরের ইস্কর চৌধুরী বলেন, মিষ্টি আলু চাষে কোনো ঝামেলাই নেই। চাষ দিয়ে জমিত কাণ্ড রোপণ করার পর আর কোনো পরিচর্যা হয়নি। কয়েক মাস পর শুধু জমি থেকে মিষ্টি আলু উত্তোলন করতে হয়। তিনি এ বছর ২৫ শতাংশ জমি থেকে ৪০ মণ মিষ্টি আলু পেয়েছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি বছরে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫১৫ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৫১০ হেক্টর। হেক্টরপ্রতি মিষ্টি আলুর ফলন ১৩ টন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের দিকে মিষ্টি আলুর কাণ্ড জমিতে রোপণ করতে হয়। মার্চ-এপ্রিল মাসের দিকে জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, ‘মিষ্টি আলু একটি ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার। এটি আমাদের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবং অন্য ফসলের তুলনায় এ ফসলে ভালো লাভের কারণে কৃষকেরা এখন মিষ্টি আলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত