Ajker Patrika

কুষ্টিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িতদের বিচার দাবি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ১৪
কুষ্টিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণে জড়িতদের বিচার দাবি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে (১৪) অপহরণ ও দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার পরিবার।

গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৪ জুলাই মধ্যরাতে আমার একমাত্র কন্যা সন্তান মিরপুর বর্ডার গার্ড স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী উম্মে ফাতেমাকে তাঁর শয়নকক্ষ থেকে অপহরণ হয়। পরদিন উপজেলার ভাঙা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টাখেত থেকে আমার কন্যার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারে দলবেঁধে ধর্ষণ এবং অজ্ঞাতনামায় মামলা রেকর্ড করে। আমার আপত্তি থাকা সত্ত্বেও মামলায় একমাত্র আসামি হিসেবে মিরপুর পৌর এলাকার কুরিপোল মধ্যপাড়ার আপনকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার মোটিভ উদ্ধার করেছেন দাবি করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খায়রুল আলম সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময় আমি পুলিশকে বলেছিলাম, এত বড় ঘটনায় একমাত্র আসামি আপনের পক্ষে ঘটানো অসম্ভব। অথচ আমার আর্তনাদকে কোনো গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।’

এদিকে গত ৯ নভেম্বর আদালতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ছাত্রী (১৪) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে প্যাঁচানোর কারণে তাঁর গলায় গোলাকার দাগ রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাতের কারণে রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। পেটে দুটি, গলায় পাঁচটি ও পেছন দিকে কোমরে তিনটি ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে।’

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ছাত্রীর ঘাড়ের পেছন দিকে ছয়টি ও ডান পায়ের পাতার ওপর ছয়টি স্থানে পোড়ার ক্ষত রয়েছে। যা দেখে বোঝা যায় জ্বলন্ত সিগারেট জাতীয় কিছু দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। ঘাড়ের নিচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ফুটন্ত তরল পদার্থ ঢেলে পোড়ানো হয়েছে। মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।’

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সুতপা রায়, মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কোনো এক কারণে তাঁর মেয়ের হত্যার মূল ঘটনাকে পুলিশ আড়াল করছে বলে দাবি করে মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে। সেখানে দলবেঁদে ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে হত্যা করার বিষয়টি স্পষ্ট হলেও, এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদের আড়ালের চেষ্টা করা হয়েছে।

এ সময় তিনি মামলাটির তদন্তের ভার সিআইডি অথবা পিবিআইকে দেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফাতেমার বাবা খন্দকার সাইফুল ইসলাম, মা হালিমা খাতুন, চাচি মোমেনা আফরোজ মনি, চাচা মাহফুজুর রহমান, খন্দকার সোহেল রানা এবং মামা রাজু আহমেদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

বরিশাল-১: স্বপন-কুদ্দুসের দ্বন্দ্বে নির্বাচনের আগে দলে অস্থিরতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত