Ajker Patrika

রোজার কাজা ও কাফফারার বিধান

মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
আপডেট : ১২ মে ২০২২, ১৬: ০১
রোজার কাজা ও কাফফারার বিধান

কোনো প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুসলমান শরিয়ত অনুমোদিত ওজরের কারণে রমজানের রোজা না রাখলে বা ভেঙে ফেললে পরে ওই রোজার কাজা আদায় করতে হবে। যেমন মুসাফির ও অসুস্থ ব্যক্তির রোজা রাখতে কষ্ট হলে, অনুরূপ গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারী নারী যদি নিজের বা বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে রমজানে রোজা না রেখে পরে তা কাজা করে নিতে পারবে। এসব ক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবে না। (তিরমিজি)

ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসবের স্রাবের সময় রোজা রাখা বৈধ নয়। তবে ওই দিনগুলোর রোজার কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা আদায় করতে হবে না। রোজা রাখার পর দিনের বেলায় যদি কোনো নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, তার জন্য খাওয়াদাওয়ার অনুমতি আছে। তবে লোকজনের সামনে না খেয়ে নির্জনে খাওয়াদাওয়া করা উত্তম। আর যে নারী ঋতুস্রাবের কারণে রোজা রাখেনি, দিনের যে সময়ে তার ঋতুস্রাব বন্ধ হবে, তখন থেকেই খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে রোজাদারের মতো দিনের অবশিষ্ট অংশ অতিবাহিত করবে এবং পরে ওই দিনের রোজা কাজা করে নেবে। (আল-লুবাব)

শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাজা ও কাফফারা উভয়টিই আবশ্যক। তবে পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হবে না, তবে কাজা করতে হবে। (সারাখসি)

কাফফারা তিনভাবে আদায় করা যায়। প্রথমত, একজন দাস মুক্ত করা; দ্বিতীয়ত, ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা এবং তৃতীয়ত, ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ানো বা সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া। কাফফারার পণ্য বা আহার্য তাদের দেওয়া যাবে, যাদের জাকাত তথা ফরজ ও ওয়াজিব সদকা প্রদান করা যায়।

মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি, মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত