রাজশাহী প্রতিনিধি
ঈদের আগে রাজশাহীতে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা তেল পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে বেশি দামে। বেশির ভাগ দোকানি বলছেন, পাইকারি বাজারে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। মাসখানেক ধরেই এ অবস্থা চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর মোড়, বেলদারপাড়া মোড় ও শিরোইল এলাকার মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে কোথাও বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। সাহেববাজার এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি মুদি দোকানের কোনটিতেই বোতলজাত সয়াবিন তেল সাজানো দেখা যায়নি। তবে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সাহেববাজারের হাবিব স্টোরের বিক্রয়কর্মী সারোয়ার আলী জানান, এক মাস ধরে পরিবেশক বোতলজাত সয়াবিন তেল দিতে পারছেন না। কোনো কোম্পানিরই তেল মিলছে না। তিনি নিজের বাড়ির জন্য দোকানে দোকানে ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি। এখন ১৮৫ টাকা লিটারে সয়াবিন ও ১৭৫ টাকা দরে পাম ওয়েল কিনে বিক্রি করছেন।
দারুল হাবিব নামের একটি দোকানের মালিক শাহাদাত হোসেন জানালেন, এক মাস আগে শেষবার বোতলজাত সয়াবিন তেল পেয়েছিলেন। লিটারে এই তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ১৬০ টাকা। বাজারে এখন খোলা তেলই বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা লিটারে। শাহাদাত বলেন, কারও কাছে যদি এখন বোতলজাত তেল থেকেও থাকে তাহলে সেটা বের করে খোলা হিসেবেই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভ বেশি। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ধরে বিক্রি করলে লাভ কম।
সাহেববাজারের পাইকারি তেল বিক্রেতা মেসার্স সাব্বির স্টোরের মালিক সাব্বির হোসেন বলেন, প্রায় সব কোম্পানিই এখন তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিচ্ছে। বলছে, তেলের সঙ্গে ময়দা বা চিনিও নিতে হবে। এভাবে তো বিক্রি করা যায় না। সে জন্য তেলই নিচ্ছি না। কোম্পানিও শুধু তেল দিচ্ছে না। তাই সংকট।
তবে এখনো কোথাও কোথাও বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন জলিল অ্যান্ড সন্স নামের এক দোকানের মালিক আবদুল জাব্বার রানা। তিনি বলেন, এক মাস ধরেই আমরা কিনতে গেলে বোতলের তেল পাচ্ছি না। অথচ দু’একজন ক্রেতাকে বোতল হাতে নিয়ে যেতে দেখছি। বেশি দাম দিলে বোতলজাত তেলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোনো দোকানে তেলের বোতল সাজানো নেই। আমরা খোলা তেল এনে বিক্রি করছি।
বোতলজাত তেলের জন্য পর পর আট থেকে দশটি দোকান ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি আবদুর রহমান। শেষে ১০ টাকায় দুই লিটারের একটা বোতল কিনে তাতে খোলা তেলই ভরে নিচ্ছিলেন সাহেববাজারের এক দোকানে। আবদুর রহমান বলেন, ‘আজব এক ব্যাপার! সামনে ঈদ বলে বোতলের তেল উধাও। বোতলের তেলে মূল্য লেখা থাকে। বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ধরা পড়ার ভয় আছে। সে জন্য এখন বোতল থেকে তেল বের করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বোতলজাত তেলের সংকটের কথা তাঁর জানা নেই। শুক্রবার থেকে লম্বা ছুটিও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তাঁরা একা অভিযানে নামতে চান না। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তেলের সংকট হলে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। কিছু করার থাকলে তারা সমন্বয় করেই করতে চান।
ঈদের আগে রাজশাহীতে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা তেল পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে বেশি দামে। বেশির ভাগ দোকানি বলছেন, পাইকারি বাজারে বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না। মাসখানেক ধরেই এ অবস্থা চলছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কোনো তৎপরতাও দেখা যায়নি।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর মোড়, বেলদারপাড়া মোড় ও শিরোইল এলাকার মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে কোথাও বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। সাহেববাজার এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি মুদি দোকানের কোনটিতেই বোতলজাত সয়াবিন তেল সাজানো দেখা যায়নি। তবে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সাহেববাজারের হাবিব স্টোরের বিক্রয়কর্মী সারোয়ার আলী জানান, এক মাস ধরে পরিবেশক বোতলজাত সয়াবিন তেল দিতে পারছেন না। কোনো কোম্পানিরই তেল মিলছে না। তিনি নিজের বাড়ির জন্য দোকানে দোকানে ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি। এখন ১৮৫ টাকা লিটারে সয়াবিন ও ১৭৫ টাকা দরে পাম ওয়েল কিনে বিক্রি করছেন।
দারুল হাবিব নামের একটি দোকানের মালিক শাহাদাত হোসেন জানালেন, এক মাস আগে শেষবার বোতলজাত সয়াবিন তেল পেয়েছিলেন। লিটারে এই তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল ১৬০ টাকা। বাজারে এখন খোলা তেলই বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা লিটারে। শাহাদাত বলেন, কারও কাছে যদি এখন বোতলজাত তেল থেকেও থাকে তাহলে সেটা বের করে খোলা হিসেবেই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভ বেশি। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ধরে বিক্রি করলে লাভ কম।
সাহেববাজারের পাইকারি তেল বিক্রেতা মেসার্স সাব্বির স্টোরের মালিক সাব্বির হোসেন বলেন, প্রায় সব কোম্পানিই এখন তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিচ্ছে। বলছে, তেলের সঙ্গে ময়দা বা চিনিও নিতে হবে। এভাবে তো বিক্রি করা যায় না। সে জন্য তেলই নিচ্ছি না। কোম্পানিও শুধু তেল দিচ্ছে না। তাই সংকট।
তবে এখনো কোথাও কোথাও বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন জলিল অ্যান্ড সন্স নামের এক দোকানের মালিক আবদুল জাব্বার রানা। তিনি বলেন, এক মাস ধরেই আমরা কিনতে গেলে বোতলের তেল পাচ্ছি না। অথচ দু’একজন ক্রেতাকে বোতল হাতে নিয়ে যেতে দেখছি। বেশি দাম দিলে বোতলজাত তেলও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কোনো দোকানে তেলের বোতল সাজানো নেই। আমরা খোলা তেল এনে বিক্রি করছি।
বোতলজাত তেলের জন্য পর পর আট থেকে দশটি দোকান ঘুরেও বোতলজাত তেল পাননি আবদুর রহমান। শেষে ১০ টাকায় দুই লিটারের একটা বোতল কিনে তাতে খোলা তেলই ভরে নিচ্ছিলেন সাহেববাজারের এক দোকানে। আবদুর রহমান বলেন, ‘আজব এক ব্যাপার! সামনে ঈদ বলে বোতলের তেল উধাও। বোতলের তেলে মূল্য লেখা থাকে। বেশি দামে বিক্রি করতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ধরা পড়ার ভয় আছে। সে জন্য এখন বোতল থেকে তেল বের করে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বোতলজাত তেলের সংকটের কথা তাঁর জানা নেই। শুক্রবার থেকে লম্বা ছুটিও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে তাঁরা একা অভিযানে নামতে চান না। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তেলের সংকট হলে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। কিছু করার থাকলে তারা সমন্বয় করেই করতে চান।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫