রিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর কালুরডাইং গ্রামের বাবু শেখ আগে বছরে একবার ধান এবং একবার সবজি চাষ করতেন। এখন সারা বছর শুধু সবজিই চাষ করেন। গত রোববার সকালে তাঁর জমি থেকে বাঁধাকপি তুলে ট্রাকভর্তি করা হচ্ছিল।
তখন বাবু শেখ জানালেন, এই ট্রাক সোজা চলে যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে। পাইকারের কাছে তিনি জমি থেকেই প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি করে দিয়েছেন ১২ টাকা দরে। সবজিতে অল্প সময়েই হাতে নগদ টাকা আসে। ধানের মতো বেশি সেচও লাগে না। তাই ধান ছেড়ে তিনি সবজি চাষ করছেন এখন। এতে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ সংকটের কারণে চাষিদের ধান ছেড়ে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে এক যুগেই সবজি চাষ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সবজি চলে যাচ্ছে ঢাকার বাজারে। সবজি চাঙা রাখছে রাজশাহীর অর্থনীতি। ২০১৯ সালে সবজি চাষে দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সবজির অতিরিক্ত চাষাবাদে রাজশাহীতে ‘খরিপ-২’ নামে একটি নতুন মৌসুম সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ হিসেবে ধরা হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরেও খরিপ-২ মৌসুমে রাজশাহীতে কোনো সবজি চাষ হতো না। গত কয়েক বছর এই মৌসুমেও সবজি চাষ হচ্ছে।
আগে শুধু ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই সময়ের মধ্যে ‘খরিপ-১’ ও ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রবি মৌসুমে সবজি চাষ হতো। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ১১ হাজার ২২৫ হেক্টর এবং খরিপ-১ মৌসুমে ৮ হাজার ১৮৩ হেক্টর মিলে মোট ১৯ হাজার ৪০৮ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে চাষ হয়েছে ৩১ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চলতি রবি মৌসুমে ১৮ হাজার ১৫০ হেক্টর, খরিপ-১ মৌসুমে ১০ হাজার ৬৭৭ এবং খরিপ-২ মৌসুমে ২ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। এক যুগে সবজি চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এখন সারা বছরই সবজিতে ভরপুর থাকছে রাজশাহীর মাঠ। নতুন সৃষ্টি হওয়া খরিপ-২ মৌসুমে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, ঢ্যাঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন এবং কিছু পরিমাণে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বরবটি ও করলা। খরিপ-১ মৌসুমে খরিপ-২-এর সবজিগুলো ছাড়াও চাষ হয় কচু, পেঁপে, শজনে, পালংশাক, পুদিনা, ওল, মান, ধুন্দুল, পটোল, চিচিঙ্গা ও শসা। আর শীতকালে রবি মৌসুমে শুধু পটোল ও কচু বাদ দিয়ে থাকছে অন্য দুই মৌসুমের সব সবজি। এ ছাড়া নতুন করে যোগ হচ্ছে টমেটো, মুলা, গাজর, ব্রকলি, স্কোয়াসসহ আরও কিছু সবজি। রবি মৌসুমেই থাকে সবচেয়ে বেশি সবজি।
দেশে সবচেয়ে বেশি শীতকালীন সবজি চায় হয় এখন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। গোদাগাড়ীর বিজয়নগর গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর তিনি চার-পাঁচ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেন। বাজার ভালো থাকলে বিঘায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। গোদাগাড়ীর বহু কৃষক ধান ছেড়ে টমেটো চাষ করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কে জে এম আবদুল আউয়াল বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে প্রতিবছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই ধান ছেড়ে সবজি চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। এতে লাভও বেশি। তাই চাষিরা সবজি চাষ করছেন বেশি করে। এক যুগের মধ্যেই এখানে সবজি চাষ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর কালুরডাইং গ্রামের বাবু শেখ আগে বছরে একবার ধান এবং একবার সবজি চাষ করতেন। এখন সারা বছর শুধু সবজিই চাষ করেন। গত রোববার সকালে তাঁর জমি থেকে বাঁধাকপি তুলে ট্রাকভর্তি করা হচ্ছিল।
তখন বাবু শেখ জানালেন, এই ট্রাক সোজা চলে যাবে ঢাকার কারওয়ান বাজারে। পাইকারের কাছে তিনি জমি থেকেই প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি করে দিয়েছেন ১২ টাকা দরে। সবজিতে অল্প সময়েই হাতে নগদ টাকা আসে। ধানের মতো বেশি সেচও লাগে না। তাই ধান ছেড়ে তিনি সবজি চাষ করছেন এখন। এতে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ বলছে, বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ সংকটের কারণে চাষিদের ধান ছেড়ে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে এক যুগেই সবজি চাষ বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে সবজি চলে যাচ্ছে ঢাকার বাজারে। সবজি চাঙা রাখছে রাজশাহীর অর্থনীতি। ২০১৯ সালে সবজি চাষে দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, সবজির অতিরিক্ত চাষাবাদে রাজশাহীতে ‘খরিপ-২’ নামে একটি নতুন মৌসুম সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে খরিপ-২ হিসেবে ধরা হয়। ২০০৯-১০ অর্থবছরেও খরিপ-২ মৌসুমে রাজশাহীতে কোনো সবজি চাষ হতো না। গত কয়েক বছর এই মৌসুমেও সবজি চাষ হচ্ছে।
আগে শুধু ১৬ মার্চ থেকে ১৫ জুলাই সময়ের মধ্যে ‘খরিপ-১’ ও ১৬ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রবি মৌসুমে সবজি চাষ হতো। ২০০৯-১০ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ১১ হাজার ২২৫ হেক্টর এবং খরিপ-১ মৌসুমে ৮ হাজার ১৮৩ হেক্টর মিলে মোট ১৯ হাজার ৪০৮ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে চাষ হয়েছে ৩১ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে চলতি রবি মৌসুমে ১৮ হাজার ১৫০ হেক্টর, খরিপ-১ মৌসুমে ১০ হাজার ৬৭৭ এবং খরিপ-২ মৌসুমে ২ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। এক যুগে সবজি চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এখন সারা বছরই সবজিতে ভরপুর থাকছে রাজশাহীর মাঠ। নতুন সৃষ্টি হওয়া খরিপ-২ মৌসুমে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, ঢ্যাঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন এবং কিছু পরিমাণে বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বরবটি ও করলা। খরিপ-১ মৌসুমে খরিপ-২-এর সবজিগুলো ছাড়াও চাষ হয় কচু, পেঁপে, শজনে, পালংশাক, পুদিনা, ওল, মান, ধুন্দুল, পটোল, চিচিঙ্গা ও শসা। আর শীতকালে রবি মৌসুমে শুধু পটোল ও কচু বাদ দিয়ে থাকছে অন্য দুই মৌসুমের সব সবজি। এ ছাড়া নতুন করে যোগ হচ্ছে টমেটো, মুলা, গাজর, ব্রকলি, স্কোয়াসসহ আরও কিছু সবজি। রবি মৌসুমেই থাকে সবচেয়ে বেশি সবজি।
দেশে সবচেয়ে বেশি শীতকালীন সবজি চায় হয় এখন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়। গোদাগাড়ীর বিজয়নগর গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর তিনি চার-পাঁচ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেন। বাজার ভালো থাকলে বিঘায় ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়। গোদাগাড়ীর বহু কৃষক ধান ছেড়ে টমেটো চাষ করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কে জে এম আবদুল আউয়াল বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে প্রতিবছর ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই ধান ছেড়ে সবজি চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। এতে লাভও বেশি। তাই চাষিরা সবজি চাষ করছেন বেশি করে। এক যুগের মধ্যেই এখানে সবজি চাষ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪