Ajker Patrika

মৌসুমি ফল আল্লাহর দান

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৫: ০৬
মৌসুমি ফল আল্লাহর দান

ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ফলমূল উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এ দেশে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসেই সবচেয়ে বেশি মৌসুমি ফলের ফলন হয়। আম, জাম, কাঁঠাল, তরমুজ, লিচুসহ আরও কত ফল। এসব মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ। তিনি বলেন, ‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্ব প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। আর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টি বর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উৎপন্ন করি, যেগুলোর ফল ও ফসল আহরণ করা হয়।’ (সুরা কাফ: ৭-৯)

জান্নাতের নেয়ামতের বর্ণনা দিয়ে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন ফলের কথা বলেছেন। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে মানুষ যখন অস্থির হয়ে ওঠে, তখন মহান আল্লাহ বিভিন্ন স্বাদের ফলের মাধ্যমে তাদের স্বস্তি দেন। তাই এসব ফল নিঃসন্দেহে জান্নাতি নেয়ামত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষ্য মতে, মৌসুমি ফল অসংখ্য রোগবালাই থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম। রয়েছে আরও অসংখ্য উপকারিতা। তাই এসব নেয়ামতের জন্য তাঁর কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। কৃতজ্ঞতার কারণে আল্লাহ নেয়ামত বাড়িয়ে দেন এবং অকৃতজ্ঞতার কারণে নেয়ামত কমিয়ে দেন।

তাই ফলমূল খাওয়ার সময় আল্লাহকে কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করতে হবে। মহানবী (সা.) ফল খাওয়ার সময় একটি দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করতেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি ছামারিনা; ওয়া বারিকলানা ফি মাদিনাতিনা; ওয়া বারিকলানা ফি সা-ইনা ওয়া ফি মুদ্দিনা’ অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ফলসমূহে আমাদের জন্য বরকত দিন; আমাদের শহরে আমাদের জন্য বরকত দিন; আমাদের জন্য আমাদের ‘সা’ এবং আমাদের ‘মুদ্দ’ (ফলমূল ও শস্য)-এ বরকত দিন। (হিসনুল হাসিন)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত