নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এখন পৌষ মাস। শীতের সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে সরবরাহও ভালো। কিন্তু দাম কমার খবর নেই। উল্টো এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে সব সবজির দাম। শীতের সবজি মুলা গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে দাম ৫০-৬০ এ ঠেকেছে। একইভাবে শিম, বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মেরাদিয়া, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে শিম প্রতি কেজি ৫৫-৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৮৫ ও করলা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকায়।
বাজারে নতুন আলু উঠেছে। এতে দাম কমার কথা হলেও উল্টো কিছুটা বেড়ে কেজিতে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেরাদিয়া বাজারে আলু কিনতে এসেছিলেন তাসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শীতে আলুর এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। এই সময়ে নতুন আলুতে বাজার ভরে যায়। এত দাম থাকবে কেন?’ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আলুর দাম বেশি বলেই অন্যান্য সবজির দামও কমছে না। অসময়ে বৃষ্টি এবং হরতাল-অবরোধকেও মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করলেন সাব্বির আহমেদ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘গরুর সঙ্গে যেন সমান্তরালে চলছে মুরগি, সবজির দাম। গরুর দাম কমলে মুরগি, সবজিও কমতেছে। আবার গরু বাড়লে মুরগি, সবজিও বেড়ে যাচ্ছে।’ আবাসন খাতের একটি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে তিনি ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনেছিলেন। আর ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলেন ১৯০ টাকায়, সঙ্গে লাউ ৭০। এ সপ্তাহে গরুর মাংস কিনেছেন ৬৮০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লায় মুরগি ও লাউ যথাক্রমে ২০০ ও ৯০ টাকায়। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মেরাদিয়া, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে সাব্বির আহমেদের কথার সত্যতা মেলে।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকায় নির্ধারণ করলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মেরাদিয়া বাজারে ৬৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন আনোয়ার হোসেন। দাম বেশি নিচ্ছেন কেন জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘৬৫০ টাকায় বিক্রি কইরা পোষাইতে পারি না। ৬৮০ টাকায়ও আমাদের লস হইতেছে। একেকটা গরুতে তিন চার হাজার টাকা লস।’
গরুর মাংসের সঙ্গে বাড়ছে মুরগির দামও। গতকাল রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কারওয়ান বাজারে ১৮০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি মিলেছে। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৩০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সবজি, মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে মাছের দামে খুব একটা পরিবর্তন নেই। চাষের ছোট রুই ৩০০-৩২০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা আর কই ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় গতকাল। তবে খাসির মাংস আগের মতোই ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও পণ্যটির ঝাঁজ কমেনি। বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০-১৪০, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এখন পৌষ মাস। শীতের সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে সরবরাহও ভালো। কিন্তু দাম কমার খবর নেই। উল্টো এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে সব সবজির দাম। শীতের সবজি মুলা গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে দাম ৫০-৬০ এ ঠেকেছে। একইভাবে শিম, বেগুনসহ অন্যান্য সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মেরাদিয়া, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে শিম প্রতি কেজি ৫৫-৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৮৫ ও করলা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকায়।
বাজারে নতুন আলু উঠেছে। এতে দাম কমার কথা হলেও উল্টো কিছুটা বেড়ে কেজিতে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেরাদিয়া বাজারে আলু কিনতে এসেছিলেন তাসলিমা আক্তার। তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরের শীতে আলুর এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। এই সময়ে নতুন আলুতে বাজার ভরে যায়। এত দাম থাকবে কেন?’ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে আলুর দাম বেশি বলেই অন্যান্য সবজির দামও কমছে না। অসময়ে বৃষ্টি এবং হরতাল-অবরোধকেও মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
রামপুরা বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে কিছুটা বিরক্তিই প্রকাশ করলেন সাব্বির আহমেদ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘গরুর সঙ্গে যেন সমান্তরালে চলছে মুরগি, সবজির দাম। গরুর দাম কমলে মুরগি, সবজিও কমতেছে। আবার গরু বাড়লে মুরগি, সবজিও বেড়ে যাচ্ছে।’ আবাসন খাতের একটি প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে তিনি ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনেছিলেন। আর ব্রয়লার মুরগি কিনেছিলেন ১৯০ টাকায়, সঙ্গে লাউ ৭০। এ সপ্তাহে গরুর মাংস কিনেছেন ৬৮০ টাকা কেজি দরে। আর ব্রয়লায় মুরগি ও লাউ যথাক্রমে ২০০ ও ৯০ টাকায়। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মেরাদিয়া, রামপুরাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে সাব্বির আহমেদের কথার সত্যতা মেলে।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতি গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকায় নির্ধারণ করলেও গতকাল বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মেরাদিয়া বাজারে ৬৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন আনোয়ার হোসেন। দাম বেশি নিচ্ছেন কেন জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘৬৫০ টাকায় বিক্রি কইরা পোষাইতে পারি না। ৬৮০ টাকায়ও আমাদের লস হইতেছে। একেকটা গরুতে তিন চার হাজার টাকা লস।’
গরুর মাংসের সঙ্গে বাড়ছে মুরগির দামও। গতকাল রামপুরা ও মেরাদিয়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কারওয়ান বাজারে ১৮০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি মিলেছে। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৩০ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সবজি, মুরগির দাম বাড়লেও বাজারে মাছের দামে খুব একটা পরিবর্তন নেই। চাষের ছোট রুই ৩০০-৩২০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা আর কই ২৫০-২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় গতকাল। তবে খাসির মাংস আগের মতোই ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও পণ্যটির ঝাঁজ কমেনি। বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০-১৪০, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১১০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪