Ajker Patrika

বিএনপিপন্থীদের বর্জন তবু ভোটারের উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
বিএনপিপন্থীদের বর্জন তবু ভোটারের উৎসব

নির্বাচনের আগের দিন গত শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি-সমর্থিত সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদ নির্বাচন বর্জন করায় খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন একতরফা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি-সমর্থিত খোকন-শহিদ পরিষদ নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ হয়।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল।

গত শনিবার সন্ধ্যায় বর্জনের ঘোষণা দিয়ে খোকন-শহিদ পরিষদের পক্ষ থেকে আইনজীবী সমিতির সামনের সড়কে নির্বাচনী প্যান্ডেল রাতেই সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আইনজীবী সমিতি এলাকায় এবং সড়কে টাঙানো সব ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়।

গতকাল সরেজমিন আইনজীবী সমিতি এলাকা ও ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক আইনজীবী ভোটার লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। এ সময় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোকন-শহিদ পরিষদ ভোট বর্জন করলেও তাঁদের সমর্থক অনেক আইনজীবী ভোট দিয়েছেন।

রের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী মোল্লা জানান, খুলনা বারে এবার ভোটার ১ হাজার ৩৮৭ জন। এর বিপরীতে ভোট কাস্ট হয়েছে ১ হাজার ১৮৪। তিনি জানান, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটে অংশ নিয়েছেন। বিএনপি-সমর্থিত খোকন-শহিদ পরিষদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁদের অভিযোগ সঠিক নয়। সাইফুল-তারা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়নি বলে তিনি জানান। কী কারণে তাঁরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন, তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন।

গত শনিবার দুপুরে খোকন-শহিদ পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাইফুল-তারা পরিষদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে কয়েক দফা লিখিতভাবে জানালেও কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বিএনপি-সমর্থিত পরিষদের পক্ষ থেকে শনিবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নির্বাচন কমিশনকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় পাঁচটি চিঠি দিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছে। সাইফুল ইসলাম ও তারেক মাহমুদ তারা পরিষদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করলেও নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পরে খোকন-শহিদ পরিষদের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের গত শনিবার সন্ধ্যায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়, সাইফুল-তারা পরিষদ কোনো নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। এই চিঠি পাওয়ার পর খোকন-শহিদ পরিষদ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ভূমিকার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়।

এ ব্যাপারে বিএনপি-সমর্থিত পরিষদের সভাপতি প্রার্থী শরিফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার খোকন বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার কারণে এই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না বিধায় তারা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হন। কমিশনে লিখিত আবেদন দিয়ে তাঁরা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত