Ajker Patrika

বাংলাদেশও প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১১: ৫০
বাংলাদেশও  প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ের শিকার

কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং নিয়ে কম হইচই হয়নি। বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন অকপটেই। এবার বাংলাদেশ সিরিজেও সেই একই ছবি। দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার মুমিনুলরা।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ৫.৩ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলটা প্রোটিয়া ওপেনার ডিন এলগার প্যাডে লাগলে জোরালো আবেদন করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার ম্যারাইস এরাসমাস কোনো সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। রিভিউতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বেঁচে যান এলগার। গতকাল ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিনে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে কয়েকবার। প্রশ্ন উঠেছে প্রোটিয়া আম্পায়ারদের নির্ভুল সিদ্ধান্ত দেওয়ার দক্ষতা নিয়েই।

প্রশ্ন ওঠার অবশ্য কারণও আছে। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরাতে নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনেছিল আইসিসি। ভ্রমণজটিলতা থাকায় আন্তর্জাতিক সিরিজে নিরপেক্ষ আম্পায়ারের বদলে ম্যাচ পরিচালনায় স্থানীয় আম্পায়ারদের আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ করে দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেটাই যেন এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সফরকারী দলগুলোর জন্য।

গতকাল দিনের শুরু থেকেই তাঁদের বেশ কয়েকটি আবেদনে সাড়া দেননি মাঠের দুই আম্পায়ার এরাসমাস ও এড্রিয়ান হোল্ডস্টক। তিনটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে দুটিতে সফল হলেও অন্যটি চলে যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পক্ষে। সিদ্ধান্ত পক্ষে না আসায় হতাশ মুমিনুল কয়েকবার আবেদনই করেননি। এতে একবার বেঁচেও যান এলগার। তবে সেই এলগার ও আরেক ওপেনার সারেল এরউয়ি—দুই প্রোটিয়া ব্যাটারকেই রিভিউ নিয়ে আউট করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের চারটি আবেদনের বিপক্ষে কোনো সাড়া না দিলেও একটি আবেদনে একটু বিরক্তির সঙ্গেই সাড়া দেন হোল্ডস্টক। যদিও মিরাজের করা সেই বল কাইল ভেরেইনার প্যাডে লাগলেও টার্ন করে বেরিয়ে গিয়েছিল। মাঠের আম্পায়ারদের প্রশ্নবিদ্ধ সব সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সাকিব আল হাসান। পারিবারিক কারণে টেস্ট সিরিজে না থাকা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আইসিসির এখন আগের মতো নিরপেক্ষ আম্পায়ার ফেরানোর সময় হয়েছে। কারণ, ক্রিকেট খেলা দেশগুলোয় এখন করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে।’

দিন শেষে দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় একাদশে না থাকা তামিম ইকবালকে।

স্বাগতিক দলের পক্ষে আম্পায়ারদের এমন একপেশে সিদ্ধান্তে হতাশ বিকেএসপির ক্রিকেট পরামর্শক নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। ফেসবুকে দেশের স্বনামধন্য এই ক্রিকেট বিশ্লেষক লিখেছেন, ‘ক্লোজ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা পরিষ্কারভাবে স্বাগতিক দলের পক্ষ নিচ্ছেন।’

ভারত সিরিজে আলোচনায় ছিলেন আইসিসির প্যানেলে থাকা আম্পায়ার এরাসমাসও। বাংলাদেশ সিরিজেও বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে হতাশ ফাহিম গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারত সিরিজেও আমরা আম্পায়ারিং নিয়ে অনেক কথা শুনেছি। এখন আমরা এই সিরিজে দেখছি। এটা শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পারফরম্যান্সেই নয়, ক্রিকেট-খেলুড়ে জাতি হিসেবে তাদের জন্য বিষয়টা অসম্মানজনক। তারা যদি ভালো আম্পায়ারিং করতে না পারে, তবে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত