মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহে শ্রমিক সংকটের কারণে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। অতিরিক্ত মজুরি দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, উপজেলায় বোরো ধান চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। প্রায় ৭০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন বেশির ভাগ শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় চলে গেছে। তাই শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এই সংকটের মধ্যে দফায় দফায় বৃষ্টিতে পানি জমে পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন বৃষ্টির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আদ্রা, ঘোষেরপাড়া, ফুলকোচ, ঝাউগড়া ইউনিয়নের কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। খেতে পাকা ধান শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না। ঝড়-বৃষ্টিতে মাটিতে পড়ে গেছে ধান। নিচু খেতে বৃষ্টির পানি জমে ধান নষ্ট হতে শুরু করেছে।
আদ্রা ইউনিয়নের কৃষক শেখ ফরিদ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছরের শ্রমিকের মজুরি বেশি। এ বছর একজন শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার-১ হাজার ২০০ টাকা। দিনে একজন শ্রমিক ৫-৬ শতাংশ জমির ধান কাটতে পারেন। আমি ৫২ শতাংশ জমিতে ধান লাগিয়েছি।’
ধান হবে ৩০-৩৫ মণ। শ্রমিক লাগবে ১০ জন। ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা মণ। ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে টাকা খরচ হয়। তা হিসেব করে দেখি ধান বিক্রি করেও লাভ হয় না।’
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি ৭ পাহি (৩৬৪ শতাংশ) জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান আরও ৭ দিন আগে পাকছে। শ্রমিকের অভাবে ধান কাটবার পারতাছি না। আমরা দুই ভাই এখন কাটা শুরু করেছি। দুই দিন শ্রমিকের বাজারে গেলাম শ্রমিক নিতে। কিন্তু মজুরি এক হাজার টাকা করে। সব খেতের ধান মাটিতে পড়ে গেছে। ধান কাটার অভাবে খেতেই নষ্ট হবে।’
ছবিলাপুর এলাকার কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘আমি ৫২ শতাংশ জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ধান কাটার খরচ লাগবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ধান হবে ৩৫ মণ। ৭০০ টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে হিসেব করে দেখলে বোরো ধান লাগিয়ে লাভ হয় না।’
ধান কাটার শ্রমিক মোস্তফা বলেন, ‘সব খেতের ধান একসঙ্গে পাকছে। আর বৃষ্টিতে সব ধান মাটিতে পড়ে গেছে। খেতে পানি জমে আছে, মাটিতে পড়া ধান এখন পচতে শুরু করেছে।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ২০ হাজার ২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২০ হেক্টর চাষ কম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কথা শোনা যাচ্ছে। বেশির ভাগ শ্রমিক অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।’
জামালপুরের মেলান্দহে শ্রমিক সংকটের কারণে বোরো ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। অতিরিক্ত মজুরি দিয়েও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকেরা পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, উপজেলায় বোরো ধান চাষ হয়েছে ৩০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। প্রায় ৭০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন বেশির ভাগ শ্রমিক বিভিন্ন পেশায় চলে গেছে। তাই শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এই সংকটের মধ্যে দফায় দফায় বৃষ্টিতে পানি জমে পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে। প্রতিদিন বৃষ্টির আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার আদ্রা, ঘোষেরপাড়া, ফুলকোচ, ঝাউগড়া ইউনিয়নের কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। খেতে পাকা ধান শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে পারছেন না। ঝড়-বৃষ্টিতে মাটিতে পড়ে গেছে ধান। নিচু খেতে বৃষ্টির পানি জমে ধান নষ্ট হতে শুরু করেছে।
আদ্রা ইউনিয়নের কৃষক শেখ ফরিদ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছরের শ্রমিকের মজুরি বেশি। এ বছর একজন শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার-১ হাজার ২০০ টাকা। দিনে একজন শ্রমিক ৫-৬ শতাংশ জমির ধান কাটতে পারেন। আমি ৫২ শতাংশ জমিতে ধান লাগিয়েছি।’
ধান হবে ৩০-৩৫ মণ। শ্রমিক লাগবে ১০ জন। ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা মণ। ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে টাকা খরচ হয়। তা হিসেব করে দেখি ধান বিক্রি করেও লাভ হয় না।’
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আমি ৭ পাহি (৩৬৪ শতাংশ) জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। ধান আরও ৭ দিন আগে পাকছে। শ্রমিকের অভাবে ধান কাটবার পারতাছি না। আমরা দুই ভাই এখন কাটা শুরু করেছি। দুই দিন শ্রমিকের বাজারে গেলাম শ্রমিক নিতে। কিন্তু মজুরি এক হাজার টাকা করে। সব খেতের ধান মাটিতে পড়ে গেছে। ধান কাটার অভাবে খেতেই নষ্ট হবে।’
ছবিলাপুর এলাকার কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘আমি ৫২ শতাংশ জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ধান কাটার খরচ লাগবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ধান হবে ৩৫ মণ। ৭০০ টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে হিসেব করে দেখলে বোরো ধান লাগিয়ে লাভ হয় না।’
ধান কাটার শ্রমিক মোস্তফা বলেন, ‘সব খেতের ধান একসঙ্গে পাকছে। আর বৃষ্টিতে সব ধান মাটিতে পড়ে গেছে। খেতে পানি জমে আছে, মাটিতে পড়া ধান এখন পচতে শুরু করেছে।’
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষ হয়েছে ২০ হাজার ২০০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২০ হেক্টর চাষ কম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ‘প্রায় ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কথা শোনা যাচ্ছে। বেশির ভাগ শ্রমিক অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় এই সংকট দেখা দিয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫