Ajker Patrika

হস্তান্তরের আগেই দেবে গেছে ভবনের মেঝে

নাজিম উদ্দিন ইমন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ১১: ৩৬
হস্তান্তরের আগেই দেবে গেছে ভবনের মেঝে

ঢাকার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তরের আগেই দেবে গেছে নবনির্মিত শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মেঝে। নির্মাণকাজ শেষে ভবনটি হস্তান্তরের আগেই গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তড়িঘড়ি করে ভবনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, কিছুদিন না যেতেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কারণে মেঝে দেবে গেছে। তা ছাড়া ভবনটির নকশায় সেবাগ্রহীতাদের জন্য রাখা হয়নি বসার ব্যবস্থা।

ভূমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভূমিসেবা ডিজিটালাইজড হলেও অফিসটিতে নেই ইন্টারনেট সংযোগ ও ফটোকপি মেশিন। ভবনটির তিন কামরার মধ্যে একটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর কক্ষ, একটি কম্পিউটার রুম ও অপরটি রেকর্ডরুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটার রুমে গাদাগাদি করে বসেছে দুজন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা। ভবনের ওই কক্ষের মেঝে দেবে গেছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি ওয়াশরুমের দরজার ছিটকিনি ভেঙে গেছে, নেই বেসিনের কল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুভাঢ্যা ভূমি অফিসটি ছিল আগানগর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ভূমি অফিস সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য সরকার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কাচারীপাড়া এলাকায় নতুন ভূমি অফিস নির্মাণের কাজ শুরু করে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৪৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে কাচারীপাড়া এলাকার নির্ধারিত স্থানে আড়াই শতাংশ জায়গায় তিন কামরার একতলা ভবনটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন আহম্মেদ।

শুভাঢ্যা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার রঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছি। ভবনটি কয়েক দিন ব্যবহারের পরই মেঝে দেবে গেছে। এ ছাড়া এখানে নিরাপত্তাদেয়ালের একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা। দেয়ালের ওপরের গ্রিলগুলো হাত দিয়েই খুলে ফেলা যায়। রেকর্ডরুমের পাশের জানালার গ্রিলেরও একই অবস্থা। এতে যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাতে ভবনটি পাহারা দেওয়ার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একজন নৈশপ্রহরী রাখা হয়েছে।’

ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন আহম্মেদের পরিচালক মো. সান্টু বলেন, ‘আমরা একই সঙ্গে কেরানীগঞ্জের তিনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের কার্যাদেশ পেয়েছি। ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো ভবনগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দিইনি। তা ছাড়া ভবন বুঝিয়ে দেওয়ার পরও এক বছর পর্যন্ত ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের। তবে মেঝে দেবে যাওয়ার বিষয়ে আমরা জেনেছি, দ্রুতই মেঝে মেরামতের ব্যবস্থা করছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি, তারপরও খোঁজ নিয়ে যতটুকু জেনেছি, ঠিকাদারের কাছ থেকে আমরা এখনো ভবন বুঝে নিইনি। এ ছাড়া ভূমি অফিস বরাবর আমরা এখনো ভবনটি বুঝিয়ে দিইনি। এখনো ঠিকাদারের সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করা হয়নি।’

হস্তান্তরের আগেই ভবনটি কীভাবে ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, জানতে চাইলে কাজী মাহমুদ উল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

সহকারী কমিশনার (ভূমি) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ সার্কেল আবু রিয়াদ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এখনো আমাদের ভবনটি বুঝিয়ে দেয়নি। তবে গত মাসে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরিদর্শন থাকায় আমরা তড়িঘড়ি করে ভবনে উঠে গেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় ভবনের মেঝে সংস্কার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত