Ajker Patrika

বন্যায় বিনষ্ট ফসল, ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনা

চিলমারী ও নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২২, ১৫: ২০
Thumbnail image

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যায় ৯৪২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। নাগেশ্বরী উপজেলায় এই ক্ষতির পরিমাণ ৪৩১ হেক্টর। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে আমন ধানের বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে।

চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ৭৭ হেক্টর আমন বীজতলা, ১০৫ হেক্টর রোপা আউশ ধান, ১২৫ হেক্টর শাকসবজি, ২৫ হেক্টর তিল, ১৫ হেক্টর মরিচ ও ৬২০ হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়েছে।

বজরাতবকপুর গাবেরতল এলাকার কৃষক সাজু মিয়া জানান, তাঁর ১০ একর জমিতে রোপণ করা আমনের বীজতলা বন্যায় তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

পুটিমারী এলাকার বাদশা মিয়া বলেন, একই কারণে ২ একর জমির তোষা পাট সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়েছে।

বকুলতলা এলাকার কৃষক মেহের আলী এবার ৪২ শতাংশ জমিতে তোষা পাটের আবাদ করেছিলেন। বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় পাট পোক্ত হওয়ার আগেই কেটে জাগ দেন। এখন যে পরিমাণ আঁশ পেয়েছেন তাতে আবাদের খরচই উঠবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৫৫০ কৃষকের মধ্যে ৫ মেট্রিক টন সার এবং ২ হাজার ৭৫০ কেজি আমন বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের আমন বীজতলা তৈরির জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, আবাদি জমিতে দুই দফা বন্যা আঘাত হানে। টানা বেশ কয়েক দিন ডুবে থাকে ফসল। প্রখর রোদে পানি গরম হয়ে পচে যায় ৯ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৮০ হেক্টর আউশ ধানখেত, ২৭৩ হেক্টর পাট ও ৬৯ হেক্টরের শাকসবজি। ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

পূর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার কৃষক আনিছুর রহমান স্বপন জানান, বন্যায় তাঁর আমনের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।

কেদার ইউনিয়নের সবজিচাষি ছামাদ আলী জানান, তাঁর দুই বিঘা পটোল ও এক বিঘা করলার ক্ষতি হয়েছে। পানি ওঠায় সব গাছ মরে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘যদি নতুন করে বন্যা অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শে চাষাবাদ করলে কৃষকদের এ ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতে পারে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। তাঁদের পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তা পেলে বিতরণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত