Ajker Patrika

দেবে গেছে সংযোগ সড়ক দুর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুন ২০২২, ১৩: ৪৮
Thumbnail image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শিশুয়া-বাঘমারা সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে যাওয়ায় ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়ক রক্ষায় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এ কারণে প্রতি বছর সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে শিশুয়া-বাঘমারা সেতু। গত শুক্রবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিতে এ সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে যায়। এতে করে উপজেলা সদরের সঙ্গে সাতপোয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে সাতপোয়া ইউনিয়নের শিশুয়া, বাঘমারা, ছাতারিয়া, আদ্রা, রৌহা, জামিরা, নান্দিনা, চুনিয়াপটল, দাসেরবাড়ি, পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ ও কাজীপুরের শালদহ, বামুনজানি, কয়ড়া, শ্যামগঞ্জ, আদারভিটা, শালগ্রামসহ অন্তত ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।

এদিকে গতকাল শনিবার সকালে সংযোগ সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। সকাল থেকে মাটি ফেলে ওই সেতুর সংযোগ সড়ক মেরামতের কাজ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) উপমা ফারিসা শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ধানাটা-জামিরা রাস্তায় ঝিনাই নদীর ওপর ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি শিশুয়া-বাঘমারা সেতু নামে পরিচিত।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, স্বপন, হৃদয়, হারুন, শিপনসহ অনেকেরই অভিযোগ—কর্তৃপক্ষ সেতুর সংযোগ সড়ক রক্ষায় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেয়নি। তাঁরা জানান, সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। অন্যান্য সেতুর চেয়ে এ সেতুর ধারণ ক্ষমতা অনেক কম। প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় শিশুয়া-বাঘমারা সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে যায়। ফলে এ পথে চলাচলকারীদের প্রতি বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

এ ব্যাপারে সাতপোয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক দেবে গিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ পথে চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়েছে। এ কারণে তড়িঘড়ি করে সংযোগ সড়ক মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেতুর সংযোগ সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। খুব দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত