Ajker Patrika

চাল-আটার জন্য বাড়ছে সারি, হিমশিম দোকানি

দুর্গাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৪
চাল-আটার জন্য বাড়ছে সারি, হিমশিম দোকানি

রাস্তার বিভিন্ন মোড়ের সামনে দীর্ঘ সারি। স্বল্প মূল্যে চাল ও আটা কিনতে সারিতে ভিড় শিশু, কিশোর, নারী ও বৃদ্ধদের। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও বরাদ্দ কম হওয়ায় স্বল্পমূল্যে চাল আটা কিনতে না পেরে অনেকেই ফিরছেন শূন্য হাতে।

বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খোলাবাজারে বিক্রির ওএমএসের চাল-আটা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতা। যদিও পরিবেশকেরা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা।

সরেজমিন দেখা যায়, দুর্গাপুর পৌর এলাকায় গত ২০ জানুয়ারি থেকে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। ভোগান্তি কমাতে পরিবেশক বাড়ানোর দাবি করেছেন গরিব মানুষ। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে দুর্গাপুর পৌর এলাকার শালঘরিয়া বদিরমোড়ে পরিবেশক বজলুর রহমানের দোকানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিক্রি করা হচ্ছে চাল ও আটা। এই রকম উপচে পড়া ভিড় বাকি দুই ডিলারের দোকানেও। ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনতে দেখা গেছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ছয় দিন (শুক্রবার ব্যতীত) সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা বাজারে চাল বিক্রি হওয়ার কথা। একজন ডিলার প্রতিদিন এক টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা কিনতে পারেন। ক্রেতারা সকাল নয়টার আগেই ডিলারের দোকানের সামনে এসে ভিড় করেন। দুপুরের আগেই বরাদ্দ হওয়া চাল ও আটা বিক্রি হয়ে যায়। অনেক ক্রেতা খালি হাতে ফেরত যান।

পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের ভ্যানচালক সালাউদ্দিন বলেন, ‘চাল আটার বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। খোলাবাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের কথা বলা হলেও সব শ্রেণির মানুষ চাল আটা পেতে চায়। এমনকি ইউনিয়নের লোকজনও চাল আটা পেতে পৌরসভায় ভিড় করছেন।’ তিনি বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই কম। এ কারণে প্রতিদিন চাল আটা পেতে নাভিশ্বাস উঠে মানুষের।’

তিত্তরকুড়ি গ্রামের আছিয়া বেগম জানান, সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে বেলা ১২টার দিকে চাল পেয়েছেন। গত দিন আসতে দেরি হওয়ায় তিনি চাল পাননি। তিনি বলেন, ‘চাল আটার মান ভালো হওয়ায় ধনিরাও কিনতে ভিড় করে। এ কারণে লড়াই করে চাল আটা কিনতে হয়।’

পৌর এলাকার শালঘরিয়ার পরিবেশক বজলুর রহমান বলেন, ‘খোলাবাজারে কম দামের চাল ও আটার মান খুবই ভালো। এ কারণে সব শ্রেণির লোকজন ভিড় করে। তবে আমরা গরিব মানুষের কাছে চাল আটা বিক্রি করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন এক টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পাচ্ছি। কিন্তু বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি। ফলে পণ্য কিনতে একটু ভোগান্তি পোহাতে হয় ক্রেতাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত