বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
বছর দশেক আগে যে উপজেলায় তামাক চাষ হতো, এখন সেখানে গেলে চোখে পড়ে মাঠজুড়ে হলুদের ঢেউ। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় এবার প্রথম ১৫৫ একর জমিতে দুই শ কৃষক তামাক বাদ দিয়ে সরিষার আবাদ করছেন।
উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। আর এই ফুল ঘিরে মৌমাছির ঝাঁক, রংবেরঙের প্রজাপতির আনাগোনা আকৃষ্ট করছে সৌন্দর্যপিয়াসী দর্শনার্থীদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ১৫৫ একর জমিতে দুই শ কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। তার মধ্যে কিছু কিছু জমিতে মধু আহরণের জন্য চাষিরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেলবীজ, মধুর পাশাপাশি কৃষকেরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের সিজুক বটতলা ও দুরছড়ি, রূপকারী, মুসলিম ব্লক এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে। অনেকে ছবি তোলার জন্য ভিড় জমাচ্ছে সরিষাখেতে। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মধু আহরণের জন্য সরিষা ফুলে ওড়াউড়ি করছে।
সারোয়াতলী ইউনিয়নের চাষি বরুণ বিকাশ চাকমা বলেন, ‘আগে এই জমিতে আমি তামাক চাষ করতাম, পরে জানতে পারলাম, তামাক থেকে সরিষা চাষে বেশি লাভ। তা ছাড়া তামাক খুবই ক্ষতিকর। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৫ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি; পাশাপাশি কিছু ভুট্টা ও মৌসুমি ফসল চাষাবাদ করেছি। ফলন খুবই চমৎকার হয়েছে। আশা করছি সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব।’
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মুসলিম ব্লক এলাকার চাষি নাছের উদ্দিন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বীজ সার পেয়ে আমি প্রথমবারের মতো ১০ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। তা ছাড়া মধু সংগ্রহ করতে মধুর বাক্স বসিয়েছি। সরকার যদি আরও বেশি সহায়তা দেয়, তাহলে আরও বৃহৎ আকারে সরিষা চাষ করা যেত। চাষিরাও সরিষা চাষে উৎসাহিত হতো।’
বাঘাইছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ অলি হালদার বলেন, তামাক চাষ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য কৃষি অফিস কৃষকদের সরিষার বীজ, সার, মধু সংগ্রহ করার বাক্স ইত্যাদি উপকরণ সহায়তা দিয়েছে। সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা, সরিষার শাক, সরিষা থেকে ভালো মানের তেল উৎপাদন এবং তেল নেওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ গরুর খৈল হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। পরীক্ষামূলক ফলন ভালো হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
বছর দশেক আগে যে উপজেলায় তামাক চাষ হতো, এখন সেখানে গেলে চোখে পড়ে মাঠজুড়ে হলুদের ঢেউ। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় এবার প্রথম ১৫৫ একর জমিতে দুই শ কৃষক তামাক বাদ দিয়ে সরিষার আবাদ করছেন।
উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। আর এই ফুল ঘিরে মৌমাছির ঝাঁক, রংবেরঙের প্রজাপতির আনাগোনা আকৃষ্ট করছে সৌন্দর্যপিয়াসী দর্শনার্থীদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ১৫৫ একর জমিতে দুই শ কৃষক সরিষার আবাদ করেছেন। তার মধ্যে কিছু কিছু জমিতে মধু আহরণের জন্য চাষিরা মধু সংগ্রহের বাক্স বসিয়েছেন। তেলবীজ, মধুর পাশাপাশি কৃষকেরা সরিষা থেকে উন্নত গো-খাদ্যও তৈরি করতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের সিজুক বটতলা ও দুরছড়ি, রূপকারী, মুসলিম ব্লক এলাকায় বিস্তীর্ণ মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে। অনেকে ছবি তোলার জন্য ভিড় জমাচ্ছে সরিষাখেতে। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি মধু আহরণের জন্য সরিষা ফুলে ওড়াউড়ি করছে।
সারোয়াতলী ইউনিয়নের চাষি বরুণ বিকাশ চাকমা বলেন, ‘আগে এই জমিতে আমি তামাক চাষ করতাম, পরে জানতে পারলাম, তামাক থেকে সরিষা চাষে বেশি লাভ। তা ছাড়া তামাক খুবই ক্ষতিকর। তাই কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৫ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি; পাশাপাশি কিছু ভুট্টা ও মৌসুমি ফসল চাষাবাদ করেছি। ফলন খুবই চমৎকার হয়েছে। আশা করছি সরিষা চাষে লাভবান হতে পারব।’
এদিকে বাঘাইছড়ি পৌরসভার মুসলিম ব্লক এলাকার চাষি নাছের উদ্দিন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও বীজ সার পেয়ে আমি প্রথমবারের মতো ১০ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। তা ছাড়া মধু সংগ্রহ করতে মধুর বাক্স বসিয়েছি। সরকার যদি আরও বেশি সহায়তা দেয়, তাহলে আরও বৃহৎ আকারে সরিষা চাষ করা যেত। চাষিরাও সরিষা চাষে উৎসাহিত হতো।’
বাঘাইছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ অলি হালদার বলেন, তামাক চাষ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য কৃষি অফিস কৃষকদের সরিষার বীজ, সার, মধু সংগ্রহ করার বাক্স ইত্যাদি উপকরণ সহায়তা দিয়েছে। সরিষার চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা, সরিষার শাক, সরিষা থেকে ভালো মানের তেল উৎপাদন এবং তেল নেওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ গরুর খৈল হিসেবে খাওয়ানো হয়। এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে। পরীক্ষামূলক ফলন ভালো হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪