Ajker Patrika

সারের দাম বেশি, বিপাকে কৃষক

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ০৪
সারের দাম বেশি, বিপাকে কৃষক

তেরখাদায় সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। বোরো মৌসুমের শুরুতেই সারের এমন দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। দোকানে মূল্যতালিকা না টাঙিয়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে সারের মূল্য বেশি রাখায় সম্প্রতি দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে প্রশাসন। এরপরও কৃষকেরা বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি গুনছেন।

সারা দেশের মতো তেরখাদায়ও পুরোদমে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের বোরো চাষ। উপজেলায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩৭৫ হেক্টর জমি বেশি। এর মধ্যে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ২৯, হীরা, হাইব্রিড, উফশী ইত্যাদি জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে।

সব ধরনের সারেই সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। জানা গেছে, মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) ৫০ কেজির ১ বস্তা সারে সরকারনির্ধারিত মূল্য ৮০০ টাকা হলেও কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে ডায়ামনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সারের ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বস্তাপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগে জানান।

গত ২১ ডিসেম্বর দোকানে মূল্যতালিকা না টাঙিয়ে কৃষকদের কাছে সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করায় উপজেলা সদরের কাটেংগা ও জয়সেনা বাজারের দুটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করছেন বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি এলাকার কৃষক মোস্তাফিজুর জানান, ৩ বস্তা এমওপি সারের সরকারনির্ধারিত মূল্য ২ হাজার ৪০০ টাকা হলেও এক ব্যবসায়ী তাঁর কাছ থেকে নিয়েছেন ৩ হাজার ৯০০ টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএডিসির বাপার গুদাম থেকে চাহিদা অনুযায়ী সময়মতো সার সরবরাহ না করায় ব্যবসায়ীরা সংকট দেখিয়ে সারের মূল্য বেশি নিচ্ছেন। ডিলাররা জানান, চাহিদাপত্র ও টাকা পরিশোধ করার পরও বিএডিসির বাপার গুদাম থেকে সময়মতো সার সরবরাহ হচ্ছে না।

এদিকে চাহিদামতো সার সরবরাহ না করার কারণে বাজারে সংকট দেখা দিচ্ছে এমওপি সারের। এ সংকটকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সার বিক্রি করছেন। উপজেলার জয়সেনা বাজারের তনু ট্রেডার্সের মালিক বিপুল সাহা বলেন, এমওপি সার পাওয়া যাচ্ছে না, আমাদের কাছেও নেই। কৃষকেরা এমওপি সারের জন্য দোকানে এসেও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে এ উপজেলায় ইউরিয়া সারের চাহিদা ছিল ৯০০ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে ৩৮৮ মেট্রিক টন। টিএসপি সারের চাহিদা ছিল ১৫০ মেট্রিক টন, পাওয়া গেছে ১১০ মেট্রিক টন। এমওপি সারের চাহিদা ছিল ১১৭ মেট্রিক টন, পাওয়া গেছে ৫৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন। ডিএপি সারের চাহিদা ছিল ৩৪০ মেট্রিক টন, পাওয়া গেছে ৩০১ মেট্রিক টন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিএডিসির বাপার গুদাম থেকে সার সরবরাহে বিলম্ব হলেও সারের কোনো সংকট নেই। বেশি মূল্য নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী সরকারনির্ধারিত মূল্যে চেয়ে বেশি টাকা নিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত