সম্পাদকীয়
সে সময় বিনোদিনী দাসী গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটার ছেড়ে বেঙ্গল থিয়েটারে যোগ দিয়েছেন। বেঙ্গল থিয়েটারের মূল ব্যক্তি ছিলেন শরৎচন্দ্র ঘোষ। তিনি বিনোদিনীকে নিজের মেয়ের মতো দেখতেন। সে সময় বেশ কিছু ভালো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মৃণালিনী’ আর ‘দুর্গেশ নন্দিনী’ নিয়েও নাটক হয়েছিল। সবগুলোতেই অভিনয় করতেন বিনোদিনী।
কখনো কখনো একই নাটকে দুটি, এমনকি তিনটি চরিত্রেও অভিনয় করতে হতো বিনোদিনীকে। কোনো অভিনয়শিল্পী অসুস্থ হয়ে গেলে নাটক বাঁচানোর দায় এসে পড়ত তাঁর ওপর।
সেবার নাটকে অভিনয় করার জন্য দলবলসমেত বেঙ্গল থিয়েটার চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। কোনো একটি বড় স্টেশনে এসে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থেমে গেল ট্রেন। শরৎচন্দ্র ঘোষ আরও কয়েকজনকে নিয়ে স্টেশনে নামলেন দলের সবার জন্য খাবার কিনতে। জলখাবারসহ প্রায় সবাই ফিরে এসেছেন। ট্রেনও রওনা দেওয়ার জন্য তৈরি। এ সময় দেখা গেল, উমিচাঁদ নামের একজন তখনো ট্রেনে এসে উঠতে পারেননি। ট্রেন প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে। এ সময় শরৎচন্দ্র ঘোষ চিৎকার করে ডাকছেন, ‘উমিচাঁদ শীঘ্রি এসো। গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে!’ হাঁপাতে হাঁপাতে উমিচাঁদ এসে ট্রেনে উঠলেন। কিন্তু এই দৌড়াদৌড়িতে অবসন্ন হয়ে উমিচাঁদ শুয়ে পড়লেন সটান। আসলেই তাঁর শরীর খারাপ করেছে। সবাই বলছে, ‘জল দাও, জল দাও।’
কিন্তু পুরো ট্রেনে কারও কাছে এক গণ্ডূষ জলও পাওয়া গেল না। এখন জল না পেলে মরে যাবেন উমিচাঁদ। নাটকের দলের ভুনি নামের এক মেয়ে তখন বেঙ্গলে কাজ করতেন। তাঁর ছিল কোলের শিশু। তিনি তখন ঝিনুকে করে তাঁর বুকের দুধ দিলেন উমিচাঁদকে।
সেই দুধ খাওয়ার একটু পর উমিচাঁদ মারা গেলেন। ট্রেনের বগিতে কান্নার রোল উঠল।
সেভাবেই চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছানো গেল এবং বিনোদিনীরা যখন নাটকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন শরৎচন্দ্র ঘোষসহ কয়েকজন উমিচাঁদের দেহ দাহ করে এলেন।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, পৃষ্ঠা ২০-২৪
সে সময় বিনোদিনী দাসী গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটার ছেড়ে বেঙ্গল থিয়েটারে যোগ দিয়েছেন। বেঙ্গল থিয়েটারের মূল ব্যক্তি ছিলেন শরৎচন্দ্র ঘোষ। তিনি বিনোদিনীকে নিজের মেয়ের মতো দেখতেন। সে সময় বেশ কিছু ভালো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মৃণালিনী’ আর ‘দুর্গেশ নন্দিনী’ নিয়েও নাটক হয়েছিল। সবগুলোতেই অভিনয় করতেন বিনোদিনী।
কখনো কখনো একই নাটকে দুটি, এমনকি তিনটি চরিত্রেও অভিনয় করতে হতো বিনোদিনীকে। কোনো অভিনয়শিল্পী অসুস্থ হয়ে গেলে নাটক বাঁচানোর দায় এসে পড়ত তাঁর ওপর।
সেবার নাটকে অভিনয় করার জন্য দলবলসমেত বেঙ্গল থিয়েটার চলেছে চুয়াডাঙ্গায়। কোনো একটি বড় স্টেশনে এসে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থেমে গেল ট্রেন। শরৎচন্দ্র ঘোষ আরও কয়েকজনকে নিয়ে স্টেশনে নামলেন দলের সবার জন্য খাবার কিনতে। জলখাবারসহ প্রায় সবাই ফিরে এসেছেন। ট্রেনও রওনা দেওয়ার জন্য তৈরি। এ সময় দেখা গেল, উমিচাঁদ নামের একজন তখনো ট্রেনে এসে উঠতে পারেননি। ট্রেন প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে। এ সময় শরৎচন্দ্র ঘোষ চিৎকার করে ডাকছেন, ‘উমিচাঁদ শীঘ্রি এসো। গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছে!’ হাঁপাতে হাঁপাতে উমিচাঁদ এসে ট্রেনে উঠলেন। কিন্তু এই দৌড়াদৌড়িতে অবসন্ন হয়ে উমিচাঁদ শুয়ে পড়লেন সটান। আসলেই তাঁর শরীর খারাপ করেছে। সবাই বলছে, ‘জল দাও, জল দাও।’
কিন্তু পুরো ট্রেনে কারও কাছে এক গণ্ডূষ জলও পাওয়া গেল না। এখন জল না পেলে মরে যাবেন উমিচাঁদ। নাটকের দলের ভুনি নামের এক মেয়ে তখন বেঙ্গলে কাজ করতেন। তাঁর ছিল কোলের শিশু। তিনি তখন ঝিনুকে করে তাঁর বুকের দুধ দিলেন উমিচাঁদকে।
সেই দুধ খাওয়ার একটু পর উমিচাঁদ মারা গেলেন। ট্রেনের বগিতে কান্নার রোল উঠল।
সেভাবেই চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছানো গেল এবং বিনোদিনীরা যখন নাটকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন শরৎচন্দ্র ঘোষসহ কয়েকজন উমিচাঁদের দেহ দাহ করে এলেন।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, পৃষ্ঠা ২০-২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫