Ajker Patrika

গণগ্রন্থাগার ধ্বংসের পথে

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২৬
গণগ্রন্থাগার ধ্বংসের পথে

মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বই। বারান্দার টিনের ছাউনি ভাঙা। দরজা ও জানালা নড়বড়ে। এ চিত্র চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির। অথচ এক সময় জীবননগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিটি সব বয়সের মানুষের কাছে জ্ঞান অর্জনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল। বিকেল হলেই লাইব্রেরির সামনে বইপ্রেমীদের আনাগোনা ছিল চোখেপড়ার মতো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লাইব্রেরি ঘরটি জরাজীর্ণ। ভেঙে গেছে বারান্দার টিনের ছাউনি। দরজা ও জানালাও নড়বড়ে। লাইব্রেরি বন্ধ থাকার ফলে স্যাঁতসেঁতে আর বিকট গন্ধ আসছে ভেতর থেকে। অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ বই।

জানা যায়, লাইব্রেরিয়ান হিসেবে জীবননগর পাইলট হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শেখ সেলিম উদ্দিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, এক সময় লাইব্রেরিটি সব বয়সের মানুষের কাছে জ্ঞান অর্জনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল। বিকেল হলেই বইপ্রেমীদের আনাগোনা ছিল। এখন আর লাইব্রেরির দিকে মনের ভুলেও কেউ তাকায় না। পাবলিক লাইব্রেরি দেখা–শোনার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে একজন লোক নিয়োগ দেওয়া আছে। লাইব্রেরিটিতে রয়েছে বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকে লেখা, একুশের চেতনা ও মুক্তিযোদ্ধাভিত্তিক অসংখ্য বইসহ বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থ।

বইপ্রেমী কবির আল চপল বলেন, আমাদের এই লাইব্রেরিটি সংস্কার না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। তাই আমরা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।

বইপ্রেমী ও সমাজসেবক কাজী বদরুদ্দোজা বলেন, জীবননগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিটি এলাকার সব বয়সী মানুষের জন্য জ্ঞান অর্জনের অন্যতম স্থান। বইপ্রেমীরা বেঁচে থাকে বইপড়া নিয়ে। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন দ্রুত পাঠাগারটি সংস্কার করা হোক।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিটি এখান থেকে সরিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে নতুনভাবে করা হচ্ছে। লাইব্রেরির কাজ দ্রুত শেষ করে পুনরায় জীবননগর উপজেলার বইপ্রেমী মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত