আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
মুলাদীতে সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি টাকায়ও মিলছে না ভোজ্যতেল। বাজারে সয়াবিন, পাম অয়েল না থাকায় অনেকেই তেল কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে বোতলজাত কিংবা খোলা সয়াবিন তেল খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। উপজেলায় দীর্ঘদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দামে তেল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত চললেও মুলাদী উপজেলায় প্রশাসনের কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি নেই বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেউই বাজারে অভিযান চালাননি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, রমজান শুরুর আগেই সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই মুলাদী উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কেউ কেউ বেশি করে তেল কিনে রাখতে শুরু করেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে ভোজ্যতেল সরিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার বন্দরগুলো প্রশাসনের তদারকি না থাকায় রমজানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২১০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দু-একজন বেশি দামের প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি। ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কেনার অজুহাত দিয়ে অতিরিক্ত লাভ করে নিয়েছেন। এখনো তাঁরা সরকারনির্ধারিত দামের বেশি দরে তেল, আটা, পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি করছে না বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।
তেরচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টেলিভিশন-পত্রপত্রিকায় দেখি সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে। অথচ আমরা ২০০ টাকায়ও কিনতে পারছি না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বলে দেন, খোলা কিংবা বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও লিটারপ্রতি ২১০ থেকে ২৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জানিয়ে দিচ্ছেন।’
চরকালেখান গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারা মালামাল সরবরাহ না দিলে খুচরা পর্যায়ে সংকট তৈরি হয়। অনেক সময় ডিলার ও পাইকার অতিরিক্ত লাভের জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে তেল জব্দ হলেও মুলাদীতে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীরা হয়তো সুযোগ পাচ্ছেন।’
গলইভাঙা গ্রামের ভ্যানচালক মজিবুর ফকির বলেন, ‘এক কেজি খোলা আটা ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলে দিয়েছেন, চাল, আটা, পেঁয়াজ ও তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। আমাদের মতো যাদের রোজগার কম, তাদের চলবে কী দিয়ে?’
চরডিক্রী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম জানান, মুলাদী বন্দরের বেশির ভাগ দোকানেই মূল্যতালিকা নেই। ভোজ্যতেল, আটা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাজারে ইউএনও, এসিল্যান্ডের অভিযান চললে তাঁরা বাড়তি দাম নিতে ভয় পেতেন। আগে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন এখন অভিযান চালায় না।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী মজনু খান বলেন, ‘ডিলারদের কাছে চাহিদা দিয়েও ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো ডিলার তেল দিতে রাজি হলেও বাড়তি দাম চান। তাই ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই কিছুটা দাম নিচ্ছেন। এ ছাড়া দুই-তিন দিনের মধ্যে আটা ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। ডিলাররা ব্যবসায়ীদের যে তথ্য দেন, সেই হিসেবে ভোক্তাদের জানানো হয়। সেখানে কাউকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবসায়ীরা কিছু বলেন না।’
উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম বলেন, ‘বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপজেলায় না আসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ। উপজেলার সব ডিলারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোনো সময় অভিযানে নামা হতে পারে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী জানান, বাড়তি মূল্যের বিষয়ে ভোক্তাদের কেউ অভিযোগ করেননি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত অভিযান চালালে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হতো। শিগগির উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।
মুলাদীতে সরকারনির্ধারিত মূল্যের বেশি টাকায়ও মিলছে না ভোজ্যতেল। বাজারে সয়াবিন, পাম অয়েল না থাকায় অনেকেই তেল কিনতে পারছেন না। বিশেষ করে বোতলজাত কিংবা খোলা সয়াবিন তেল খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও প্রতি লিটার সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। উপজেলায় দীর্ঘদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দামে তেল, আটাসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দেশের বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত চললেও মুলাদী উপজেলায় প্রশাসনের কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি নেই বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। গত মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেউই বাজারে অভিযান চালাননি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, রমজান শুরুর আগেই সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর থেকেই মুলাদী উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। দাম বেড়ে যাওয়ার ভয়ে কেউ কেউ বেশি করে তেল কিনে রাখতে শুরু করেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে ভোজ্যতেল সরিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলার বন্দরগুলো প্রশাসনের তদারকি না থাকায় রমজানে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২১০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। দু-একজন বেশি দামের প্রতিবাদ করলেও কোনো লাভ হয়নি। ব্যবসায়ীরা বেশি দামে কেনার অজুহাত দিয়ে অতিরিক্ত লাভ করে নিয়েছেন। এখনো তাঁরা সরকারনির্ধারিত দামের বেশি দরে তেল, আটা, পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন কোনো তদারকি কিংবা নজরদারি করছে না বলে জানান সাধারণ ভোক্তারা।
তেরচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘টেলিভিশন-পত্রপত্রিকায় দেখি সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে। অথচ আমরা ২০০ টাকায়ও কিনতে পারছি না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বলে দেন, খোলা কিংবা বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। দু-চারটি দোকানে পাওয়া গেলেও লিটারপ্রতি ২১০ থেকে ২৪০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের জানিয়ে দিচ্ছেন।’
চরকালেখান গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারা মালামাল সরবরাহ না দিলে খুচরা পর্যায়ে সংকট তৈরি হয়। অনেক সময় ডিলার ও পাইকার অতিরিক্ত লাভের জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। দেশের বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে তেল জব্দ হলেও মুলাদীতে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীরা হয়তো সুযোগ পাচ্ছেন।’
গলইভাঙা গ্রামের ভ্যানচালক মজিবুর ফকির বলেন, ‘এক কেজি খোলা আটা ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৩০-৩২ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলে দিয়েছেন, চাল, আটা, পেঁয়াজ ও তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। আমাদের মতো যাদের রোজগার কম, তাদের চলবে কী দিয়ে?’
চরডিক্রী গ্রামের মো. আব্দুস সালাম জানান, মুলাদী বন্দরের বেশির ভাগ দোকানেই মূল্যতালিকা নেই। ভোজ্যতেল, আটা, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। বাজারে ইউএনও, এসিল্যান্ডের অভিযান চললে তাঁরা বাড়তি দাম নিতে ভয় পেতেন। আগে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন এখন অভিযান চালায় না।
মুলাদী বন্দরের ব্যবসায়ী মজনু খান বলেন, ‘ডিলারদের কাছে চাহিদা দিয়েও ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো ডিলার তেল দিতে রাজি হলেও বাড়তি দাম চান। তাই ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই কিছুটা দাম নিচ্ছেন। এ ছাড়া দুই-তিন দিনের মধ্যে আটা ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে। ডিলাররা ব্যবসায়ীদের যে তথ্য দেন, সেই হিসেবে ভোক্তাদের জানানো হয়। সেখানে কাউকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবসায়ীরা কিছু বলেন না।’
উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক জাহানারা বেগম বলেন, ‘বরিশাল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপজেলায় না আসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ। উপজেলার সব ডিলারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। যেকোনো সময় অভিযানে নামা হতে পারে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী জানান, বাড়তি মূল্যের বিষয়ে ভোক্তাদের কেউ অভিযোগ করেননি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নিয়মিত অভিযান চালালে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হতো। শিগগির উপজেলা প্রশাসন থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫