Ajker Patrika

বৃষ্টিতে নগরের সড়কে হাঁটুপানি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১৩: ৩৬
বৃষ্টিতে নগরের সড়কে হাঁটুপানি

টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ময়মনসিংহ মহানগরীর বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। অনেকের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে পানি। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নগরীর ডিবি রোড, কৃষ্টপুর, সাবেহ আলী রোড, নাটক ঘরলেন, সানকিপাড়া, গুলকীবাড়ি রোড, চরপাড়া, নয়াপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

সাধারণ মানুষ ও নাগরিক নেতাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে ড্রেন ও খাল খনন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলমান উন্নয়নকাজ শেষ হলেই নগরবাসীর ভোগান্তি দূর হবে।

গতকাল ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে মহানগরীর মিন্টু কলেজ থেকে শুরু হয়ে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পুরোহিতপাড়ার বাইলেন রোডে হাঁটুপানি জমে মানুষের বাসাবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দিরে ঢুকে পড়ে।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরোহিতপাড়ার বাসিন্দা কায়সার মামুন বলেন, ‘পুরোহিতপাড়ার বাইলেনের রাস্তাটি ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝখান দিয়ে গেছে। এই এলাকায় ৭০-৮০ হাজার লোকের বাস। সকাল থেকে বৃষ্টির পানি অনেকের ঘরবাড়িতে উঠে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। ঘরে রান্না-বান্নাও হচ্ছে না পানির জন্য। রাস্তার মধ্যে পানি ওঠায় যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না। এমন ভোগান্তি আমরা চাই না।’

ডিবি রোড এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের বৃষ্টিতে শুধু বাসাবাড়ি নয় মসজিদ, মাদ্রাসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। রাস্তায় পানির জন্য বাসা থেকে বের হওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

বাবুল সরকার বলেন, ‘আমরা কেমন নগরীতে বাস করছি, তা ভেবে পাই না। নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু সুবিধা কোথায়? ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে দেখছি ছায়াবানী হলের সামনে জলাবদ্ধতা। কোনো প্রতিকার নেই।’

অটোরিকশাচালক হোসেন আলী বলেন, এলাকার ড্রেনগুলো প্রতি বছরেই পর্যায়ক্রমে ছোট হচ্ছে। ময়লায় ভরে যাচ্ছে। তদারকি না থাকায় পানি চলাচল করতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

জেলা জনউদ্যোগ-এর আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘আমরা সবাই জানি সিটি করপোরেশনের ড্রেন সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর হবে তা বলা মুশকিল। আসলে সিটি করপোরেশন যেভাবে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে না যে জলাবদ্ধতা দূর হবে। কাজের মান দেখে মনে হয় পানি জমিয়ে রাখার জন্য তারা তা করছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ড্রেন খনন না হলে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কোনোভাবেই দূর হবে না।’

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল খান বলেন, ‘অতিবৃষ্টিতে আমার ওয়ার্ডসহ শহরের প্রায় জায়গায়তেই জলাবদ্ধতা হয়েছে। তবে এই জলাবদ্ধতার পানি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। আমরা নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করছি। সাধারণ মানুষের যে অভিযোগ জলাবদ্ধতার তা নিরসনে মেয়র বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ পুরো সুফল পাবেন।’

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, বেশি বৃষ্টি হলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত