Ajker Patrika

রমজানে মুলাদীতে বেড়েছে চাল ও ডালের দাম

মুলাদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৪৪
রমজানে মুলাদীতে বেড়েছে চাল ও ডালের দাম

মুলাদীতে চাল ও ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সবজির বাজার। গত কয়েক দিন মুলাদী বন্দর এলাকার বাজার ও বিভিন্ন দোকান ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। টিসিবি, খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। তবে তাঁরা সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, রমজানের আগে এবং রমজানের মধ্যে মুলাদী উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার সুবিধাভোগীর কাছে টিসিবির কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া খোলা বাজার বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন একজন ব্যক্তি ন্যায্যমূল্যে ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা কিনতে পারেন। এতে বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

মুলাদী বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, সরু চাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৫৫-৫৬ টাকা, মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা, আগে ছিল ৮৫-৯০ টাকা। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ টাকা, যা কিছুদিন আগে বিক্রি হতো ২৮-৩০ টাকা। প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি বুট ৬৫-৭০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৩৮-৪০ টাকা, মোটা চাল ৪৪-৪৮ টাকা।

বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকায় দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। কাঁচা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার ৫ কেজির সয়াবিন তেল ৭৬০ টাকায় বিক্রি করছিলেন দোকানদার।

বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান, পাইকারি মূল্য এবং পরিবহন খরচের সঙ্গে লাভ হিসেব করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। অনেক সময় পাইকারি বাজারের দাম বেড়ে গেলে খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হয়। পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ থাকলে এবং কৃত্রিম সংকট তৈরি না হলে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকে সমস্যায় পড়তে হয় না।

চরডিক্রী গ্রামের আমিরুল ইসলাম জানান, টিসিবি, খোলা বাজার বিক্রয় কেন্দ্র, ভিজিএফ, ভিজিডির কার্যক্রম চালু থাকায় সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। রমজানে বাজারমূল্য তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজারে নজরদারি এবং অভিযান চালালে আরও নিয়ন্ত্রণে থাকত।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রিয়াজুর রহমান জানান, বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করা হয়েছিল। স্যানিটারি পরিদর্শক এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চাহিদা থাকলে কিংবা ক্রেতাদের অভিযোগ পেলে বাজারে আবার অভিযান চালানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত