Ajker Patrika

কুমারখালীতে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

 কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪০
কুমারখালীতে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পারিবারিক কলহ, অর্থসংকট, পরকীয়া, প্রেমে ব্যর্থ ও ভৌগোলিক কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যা। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ জনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, যুবক ও নারী।

স্থানীয় প্রশাসনের ধারণা, করোনাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় কাটানোই বাগ্‌বিতণ্ডা, সরকারি ও বেসরকারিভাবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বন্ধ থাকা, মান-অভিমানসহ নানাবিধ কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

কুমারখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় এক মাসে ৭টি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ২০২১ সালে থানায় এ মামলার সংখ্যা ছিল ৭১ টি। আর ২০২০ সালে অপমৃত্যুর মামলা করা হয় ৬৩ টি। সূত্রে আরও জানা যায়, পারিবারিক কলহ, পরিবারে অর্থ সংকট, পরকীয়া, প্রেমে ব্যর্থ, ভৌগোলিক অবস্থান, স্মার্ট ফোন না পেয়ে অভিমান, অসুস্থতাসহ নানাবিধ কারণে এখানকার মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। শিশু থেকে শুরু করে ৭৮ বছর বয়সের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধারাও এখানে আত্মহত্যার রেকর্ডে রয়েছেন।

কুমারখালী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক বকুল চৌধুরী বলেন, ‘আত্মহত্যা রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হবে। যেকোনো পরিবেশে মানুষের মনোবল স্বাভাবিক রাখতে কাউন্সেলিং করতে হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রেমে ব্যর্থ, খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ, পরিবারে অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানাবিধ কারণে মানুষ একাকিত্ববোধ করে। সমাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়। একপর্যায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমীন ফেরদৌস বলেন, এক মাসে সাতটি অপমৃত্যু মামলা খুবই দুঃখজনক। যেকোনো পরিস্থিতিতে নারীদের সাহস জোগাতে, প্রতিবাদী মন তৈরি করতে উঠান বৈঠকসহ নানান কর্মসূচি করে থাকি। তবে করোনায় অনেক কার্যক্রম বন্ধ আছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গত এক মাসে ৭টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। গত বছর এ মামলা ছিল ৭১ টি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, আত্মহত্যার নির্দিষ্ট কারণ বলা মুশকিল। কিন্তু পারিবারিক কলহ অনেকাংশে প্রধান কারণ। এ ছাড়া করোনায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি বন্ধ থাকা এবং করোনায় পরিবারে অর্থনৈতিক মন্দা থাকায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত