Ajker Patrika

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

ড. মো. শাহজাহান কবীর
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৫: ৫১
শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

আরবি চান্দ্র বছরের দশম মাস শাওয়াল। এ মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। ‘শাওয়াল’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, পাল্লা ভারী হওয়া ইত্যাদি। প্রতিটি অর্থের সঙ্গেই শাওয়াল মাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। শাওয়াল মাসের আমলে উন্নতি লাভ হয়, নেকির পাল্লা ভারী হয়, আমলে সাফল্য আসে, কল্যাণ প্রত্যাশীরা আল্লাহর কাছে দুই হাত প্রসারিত করে প্রার্থনায় মগ্ন হয়। এ মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখার বরকতে বছরজুড়ে রোজা রাখার সওয়াব মিলে।

মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘যারা রমজানের রোজা পালন করে এবং শাওয়ালে আরও ছয়টি রোজা রাখে, তারা যেন সারা বছরই রোজা পালন করে।’ (মুসলিম) শাওয়াল মাসের এ ছয়টি রোজা পালন করা সুন্নত। কারণ মহানবী (সা.) নিজেই তা পালন করেছেন এবং অন্যদেরও পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। শাওয়ালের ছয় রোজা রমজানের কাজা রোজা আদায়ের আগেও রাখা যাবে। যেমন হজরত আয়েশা (রা.) এমনটিই করতেন। তবে সম্ভব হলে আগে ফরজ রোজার কাজা আদায় করাই উত্তম। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ)

মাসের যেকোনো সময় এ রোজা আদায় করা যাবে। ধারাবাহিকভাবে বা মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েও আদায় করা যাবে। রমজান মাসের ফরজ রোজা ছাড়া অন্য সব রোজার নিয়ত সাহরির সময়ের মধ্যেই করতে হয়। ঘুমানোর আগে বা তারও আগে যদি এই দিনের রোজার ইচ্ছা বা দৃঢ় সংকল্প থাকে, তাহলে নতুন নিয়ত না হলেও চলবে এবং সাহরি না খেতে পারলেও রোজা হবে।

লেখক: চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত