প্রতিনিধি, রাজশাহী
বাবা-মা তো অনেক আগেই মারা গেছেন। এন্ড্রু কিশোরের অভিভাবক বলতে ছিলেন মাতৃতুল্য বোন শিখা বিশ্বাস আর বোনজামাই প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস। এন্ড্রু কিশোরের জীবনের শেষ কয়েকটা দিনও কেটেছে তাঁদের সঙ্গে। আজ এক বছর হলো এন্ড্রু কিশোর নেই।
প্রিয় বোন আর বোনজামাই বলছেন, এন্ড্রু কিশোরের শূন্যতা তাঁরা মুখে বলে বোঝাতে পারবেন না। এ শূন্যতা শুধু তাঁরাই অনুভব করেন। গত রোববার (৪ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথানে নিজেদের বাসায় আজকের পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা এ কথা বলেন।
এই বাড়িতেই গত বছরের ৬ জুলাই শেষবারের মতো শ্বাস নেন এন্ড্রু কিশোর। এখানেই শেষ হয় তাঁর জীবনের গল্প। শিখা বিশ্বাস ও প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস দুজনেই চিকিৎসক। বাড়ির সঙ্গেই তাঁদের ক্লিনিক। বোন ডা. শিখা বিশ্বাস বললেন, ‘এ বাড়ির সবখানে কিশোরের স্পর্শ। সবই আছে, শুধু কিশোরই নেই। এটা অনেক কষ্টের।’
বোনজামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস বললেন, ‘কিশোরের শূন্যতা কখনো মুখে বলার মতো নয়। এটা অনুভব করার বিষয়। আমরা প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত তাঁকে অনুভব করি। মনে হয়, সে তো আছেই। যখন মনে হয় আসলেই সে নেই, তখনকার অনুভূতিটা আসলে বোঝানোর নয়।’
এন্ড্রু কিশোরের রাজশাহীতে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু রাজশাহী এলে বোন-জামাইয়ের বাড়িতেই থাকতেন। শিখা বিশ্বাসের মেয়ে ঢাকায় এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে থাকতেন। এন্ড্রু কিশোর তাঁকে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন। তাই রাজশাহীতে নিজের একটি ফ্ল্যাট এন্ড্রু কিশোরকে দিয়েছিলেন শিখা বিশ্বাস। চিকিৎসার জন্য এন্ড্রু কিশোরের সেই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দিতে হয়। ৪৫ লাখ টাকায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এই ফ্ল্যাটটি কিনেছেন।
ডা. শিখা বিশ্বাস জানালেন, নিজের জমিতে ডেভেলপারের মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি পেয়েছিলেন তিনটি ইউনিট। এর মধ্য থেকে একটি ফ্ল্যাট তিনি এন্ড্রু কিশোরকে দিয়েছিলেন। ওই ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়ার পর এখন তাঁর দুটি ফ্ল্যাটের দিকে যেতে মন টানে না। সেগুলো ভাড়া দেওয়া আছে। শিখা বলেন, ‘মনে হয় কিশোর এখানে নেই, তার মানে ঢাকায় আছে অথবা ওই ফ্ল্যাটে আছে। কিন্তু ভাবতেই পারি না যে সে নেই।’
সংগীতের বরপূত্র এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দাবি উঠেছিল, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁকে মরণোত্তর এমন কোনো সম্মাননা দেওয়ার, যা আর কাউকেই দেওয়া হবে না। তবে গত এক বছরে তেমন কিছু হয়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে কি না, জানতে চাইলে ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাসের জবাব, ‘রাষ্ট্র তো একটা বিরাট কিছু। অনেক কিছু করতে হয়। আর এখন তো সময়টা খারাপ। মহামারিকাল চলছে। এখনো হয়নি, নিশ্চয় হবে।’
বিপুল বিশ্বাস বলেন, ‘কিশোর যখন সিঙ্গাপুরে ছি,ল তখনো তো করোনা ছিল। এর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন। সিঙ্গাপুরে থাকার সময়ও কিশোর সবার স্নেহ, ভালবাসা ও আন্তরিকতা পেয়েছে। এটা তো অস্বীকার করা যায় না। তাই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের অসন্তুষ্ট হওয়ারও কিছু নেই। সুযোগ এলে নিশ্চয় রাষ্ট্র তাকে অনার করবে।’
বাবা-মা তো অনেক আগেই মারা গেছেন। এন্ড্রু কিশোরের অভিভাবক বলতে ছিলেন মাতৃতুল্য বোন শিখা বিশ্বাস আর বোনজামাই প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস। এন্ড্রু কিশোরের জীবনের শেষ কয়েকটা দিনও কেটেছে তাঁদের সঙ্গে। আজ এক বছর হলো এন্ড্রু কিশোর নেই।
প্রিয় বোন আর বোনজামাই বলছেন, এন্ড্রু কিশোরের শূন্যতা তাঁরা মুখে বলে বোঝাতে পারবেন না। এ শূন্যতা শুধু তাঁরাই অনুভব করেন। গত রোববার (৪ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথানে নিজেদের বাসায় আজকের পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা এ কথা বলেন।
এই বাড়িতেই গত বছরের ৬ জুলাই শেষবারের মতো শ্বাস নেন এন্ড্রু কিশোর। এখানেই শেষ হয় তাঁর জীবনের গল্প। শিখা বিশ্বাস ও প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস দুজনেই চিকিৎসক। বাড়ির সঙ্গেই তাঁদের ক্লিনিক। বোন ডা. শিখা বিশ্বাস বললেন, ‘এ বাড়ির সবখানে কিশোরের স্পর্শ। সবই আছে, শুধু কিশোরই নেই। এটা অনেক কষ্টের।’
বোনজামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস বললেন, ‘কিশোরের শূন্যতা কখনো মুখে বলার মতো নয়। এটা অনুভব করার বিষয়। আমরা প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত তাঁকে অনুভব করি। মনে হয়, সে তো আছেই। যখন মনে হয় আসলেই সে নেই, তখনকার অনুভূতিটা আসলে বোঝানোর নয়।’
এন্ড্রু কিশোরের রাজশাহীতে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু রাজশাহী এলে বোন-জামাইয়ের বাড়িতেই থাকতেন। শিখা বিশ্বাসের মেয়ে ঢাকায় এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে থাকতেন। এন্ড্রু কিশোর তাঁকে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন। তাই রাজশাহীতে নিজের একটি ফ্ল্যাট এন্ড্রু কিশোরকে দিয়েছিলেন শিখা বিশ্বাস। চিকিৎসার জন্য এন্ড্রু কিশোরের সেই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দিতে হয়। ৪৫ লাখ টাকায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এই ফ্ল্যাটটি কিনেছেন।
ডা. শিখা বিশ্বাস জানালেন, নিজের জমিতে ডেভেলপারের মাধ্যমে অ্যাপার্টমেন্ট করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি পেয়েছিলেন তিনটি ইউনিট। এর মধ্য থেকে একটি ফ্ল্যাট তিনি এন্ড্রু কিশোরকে দিয়েছিলেন। ওই ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়ার পর এখন তাঁর দুটি ফ্ল্যাটের দিকে যেতে মন টানে না। সেগুলো ভাড়া দেওয়া আছে। শিখা বলেন, ‘মনে হয় কিশোর এখানে নেই, তার মানে ঢাকায় আছে অথবা ওই ফ্ল্যাটে আছে। কিন্তু ভাবতেই পারি না যে সে নেই।’
সংগীতের বরপূত্র এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দাবি উঠেছিল, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁকে মরণোত্তর এমন কোনো সম্মাননা দেওয়ার, যা আর কাউকেই দেওয়া হবে না। তবে গত এক বছরে তেমন কিছু হয়নি। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে কি না, জানতে চাইলে ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাসের জবাব, ‘রাষ্ট্র তো একটা বিরাট কিছু। অনেক কিছু করতে হয়। আর এখন তো সময়টা খারাপ। মহামারিকাল চলছে। এখনো হয়নি, নিশ্চয় হবে।’
বিপুল বিশ্বাস বলেন, ‘কিশোর যখন সিঙ্গাপুরে ছি,ল তখনো তো করোনা ছিল। এর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন। সিঙ্গাপুরে থাকার সময়ও কিশোর সবার স্নেহ, ভালবাসা ও আন্তরিকতা পেয়েছে। এটা তো অস্বীকার করা যায় না। তাই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের অসন্তুষ্ট হওয়ারও কিছু নেই। সুযোগ এলে নিশ্চয় রাষ্ট্র তাকে অনার করবে।’
ঈদের দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করবে সাত পর্বের ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। বাছাই করা এসব ধারাবাহিকের খবর থাকছে পাঠকের জন্য।
১৩ ঘণ্টা আগে‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমার ব্যর্থতার পর অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমির খান। তবে, তিন বছর পর ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন আমির। অথচ, এই সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল ফারহান আখতারের। শেষ পর্যন্ত আমিরের হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে হতাশ হয়েছিলেন ফারহান।
১৪ ঘণ্টা আগেসেরা নৃত্যশিল্পী হিসেবে এ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ট্র্যাব মিডিয়া আইকনিক অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন উম্মে তাবাসসুম খান মিতিন। নৃত্যের জন্য এটাই মিতিনের প্রথম পুরস্কার নয়। এর আগেও দেশে ও ভারতের মাটিতে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার।
১৫ ঘণ্টা আগে২০২০-২১ অর্থবছরে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পায় ‘জলরঙ’। কবিরুল ইসলাম রানা পরিচালিত সিনেমাটি ২০২৩ সালে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলেও মুক্তি পায়নি এতদিন। অবশেষে প্রায় দুই বছর পর মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। তবে প্রেক্ষাগৃহে নয়, ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে দেখা যাবে জলরঙ।
১৫ ঘণ্টা আগে