ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অসামান্য আগ্রহ ছিল। ছাত্র অবস্থায় তিনি বিখ্যাত অভিনেতা ও নির্মাতা অহিন্দ্র চৌধুরীর কাছে অভিনয় শিখেছেন। কলেজের ফাইনাল ইয়ারে তিনি শিশির ভাদুরীর অভিনয় দেখে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হন। এরপরই একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুনতে থাকেন সৌমিত্র।
কার্তিক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা ছবি ‘নীলাচলে মহাপ্রভু’র (১৯৫৭) জন্য ২০ বছর বয়সে স্ক্রিন টেস্ট দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চদশ শতকের রহস্যময় চৈতন্য মহাপ্রভুর বায়োপিক ছিল এটি। তবে তাঁকে পছন্দ হয়নি পরিচালকের। পরে এই চরিত্রে অভিনয় করেন অসীম কুমার।
এরপরেই সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’-এ সুযোগ পান তিনি। অপু ট্রিলজিতে নিজের নাম লিখিয়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত জায়গা তৈরি করেন তিনি। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘অপুর সংসার’-এর জন্য যে পরিচালক ওনাকে বেছে নিয়েছেন তা উনি অনেক পরে জেনেছিলেন। তার আগে ‘জলসাঘর-এর শুটিংয়ে দেখা হয় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। তখনো উনি কিছু বলেননি। কিন্তু ‘অপুর সংসার’ থেকে শুরু করে এই বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের মোট ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন সৌমিত্র।
সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘চারুলতা’, ‘ঘরে-বাইরে’, ‘অশনিসংকেত’, ‘দেবী’, ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘গণশত্রু’ ও ‘অপুর সংসার’। ‘অপুর সংসার’-এর পর সত্যজিতের একাধিক ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের বিপরীতে দেখা গেছে তাঁকে।
বাংলা চলচ্চিত্রের আরও দুই খ্যাতিমান নির্মাতা মৃণাল সেন ও তপন সিনহার পরিচালনায় জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের ‘আকাশকুসুম’ (১৯৬৫) সিনেমায় প্রতারক চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা কুড়ায়। তপন সিনহার ‘ঝিন্দের বন্দী’তে (১৯৬১) চালবাজ অশ্বারোহী খলচরিত্রে অনবদ্য নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারে ৩০০টির কাছাকাছি সিনেমায় অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যে আইকন হয়ে গেছেন ‘ফেলুদা’। আজও বাঙালি ‘ফেলুদা’ বলতে বোঝে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেই।
২০০৪ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১১ সালে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফ্রান্স সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘লিজিয়ন অব অনার’ পেয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কখনো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি সৌমিত্র। এর প্রতিবাদে ২০০১ সালে গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘দেখা’র জন্য বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ই নভেম্বর কোভিড-পরবর্তী অসুস্থতার জেরে প্রাণ হারান বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ‘ফেলুদা’।
ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অসামান্য আগ্রহ ছিল। ছাত্র অবস্থায় তিনি বিখ্যাত অভিনেতা ও নির্মাতা অহিন্দ্র চৌধুরীর কাছে অভিনয় শিখেছেন। কলেজের ফাইনাল ইয়ারে তিনি শিশির ভাদুরীর অভিনয় দেখে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হন। এরপরই একজন অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন বুনতে থাকেন সৌমিত্র।
কার্তিক চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা ছবি ‘নীলাচলে মহাপ্রভু’র (১৯৫৭) জন্য ২০ বছর বয়সে স্ক্রিন টেস্ট দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চদশ শতকের রহস্যময় চৈতন্য মহাপ্রভুর বায়োপিক ছিল এটি। তবে তাঁকে পছন্দ হয়নি পরিচালকের। পরে এই চরিত্রে অভিনয় করেন অসীম কুমার।
এরপরেই সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’-এ সুযোগ পান তিনি। অপু ট্রিলজিতে নিজের নাম লিখিয়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত জায়গা তৈরি করেন তিনি। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি।
‘অপুর সংসার’-এর জন্য যে পরিচালক ওনাকে বেছে নিয়েছেন তা উনি অনেক পরে জেনেছিলেন। তার আগে ‘জলসাঘর-এর শুটিংয়ে দেখা হয় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। তখনো উনি কিছু বলেননি। কিন্তু ‘অপুর সংসার’ থেকে শুরু করে এই বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের মোট ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন সৌমিত্র।
সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’, ‘চারুলতা’, ‘ঘরে-বাইরে’, ‘অশনিসংকেত’, ‘দেবী’, ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘গণশত্রু’ ও ‘অপুর সংসার’। ‘অপুর সংসার’-এর পর সত্যজিতের একাধিক ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের বিপরীতে দেখা গেছে তাঁকে।
বাংলা চলচ্চিত্রের আরও দুই খ্যাতিমান নির্মাতা মৃণাল সেন ও তপন সিনহার পরিচালনায় জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের ‘আকাশকুসুম’ (১৯৬৫) সিনেমায় প্রতারক চরিত্রে তাঁর অভিনয় ভূয়সী প্রশংসা কুড়ায়। তপন সিনহার ‘ঝিন্দের বন্দী’তে (১৯৬১) চালবাজ অশ্বারোহী খলচরিত্রে অনবদ্য নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারে ৩০০টির কাছাকাছি সিনেমায় অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যে আইকন হয়ে গেছেন ‘ফেলুদা’। আজও বাঙালি ‘ফেলুদা’ বলতে বোঝে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেই।
২০০৪ সালে ‘পদ্মভূষণ’ ও ২০১১ সালে দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফ্রান্স সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘লিজিয়ন অব অনার’ পেয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কখনো ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি সৌমিত্র। এর প্রতিবাদে ২০০১ সালে গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘দেখা’র জন্য বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ই নভেম্বর কোভিড-পরবর্তী অসুস্থতার জেরে প্রাণ হারান বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ‘ফেলুদা’।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ব্যান্ড তারকা নগর বাউল জেমস। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় জেমসের একটি কনসার্টের আয়ের অংশবিশেষ দেওয়া হবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের।
৫ ঘণ্টা আগেসীমা বিশ্বাসের চরিত্রের সাজপোশাক দেখে অনুমান করা যাচ্ছে, সিনেমায় তাঁকে শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা যাবে। তাঁর অভিব্যক্তি, পরনের ঢাকাই জামদানি শাড়ি এবং মাথায় ঘোমটা দেওয়ার ধরনে তেমনটাই ধারনা করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেসঞ্জয় লীলা বনসালীর আগের ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনমের’ শুটিংয়ের সময় সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রায়ের মধ্যে শুরু হয় তুমুল প্রেম। বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত সেই প্রেমকাহিনিতে ছিল উত্তেজনা, অধিকারবোধ আর দ্বন্দ্বের ছায়া। ‘দেবদাস’-এর শুটিং যখন শুরু হয়, তখন তাদের সম্পর্ক পৌঁছেছে ভাঙনের কিনারায়।
৯ ঘণ্টা আগেবলিউডে টক শোর রাজত্ব এত দিন ছিল করণ জোহরের হাতে। এবার সেই মঞ্চ কেঁপে উঠবে দুই সাহসী আর ঠোঁটকাটা অভিনেত্রীর দাপটে। প্রাইম ভিডিও আনছে নতুন টক শো। সেটির উপস্থাপনায় থাকবেন কাজল ও টুইঙ্কেল খান্না।
৯ ঘণ্টা আগে