কোটা আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার দুপুরে তিনি শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনারা যাঁরা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা স্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সমমর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তাঁরা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা।’
ফারুকী আরও লেখেন, ‘রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয় না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি। পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত প্রতিনিধি বা যেকোনো সরকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সব সময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস। শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।’
এর আগে গত ৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ডিলিট করেন ফারুকী। আজকের পোস্টে সেটার কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্মাতা লেখেন, ‘যাঁরা আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন, তাঁরা জানেন যে; আমি শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ না! ফলে আমার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত। কোটা আন্দোলন নিয়ে আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি। কারণ একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। এবং লিখতে থাকলে যত বেশি এনগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না।’
অন্যদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ফেসবুকে আজ তিনি লেখেন, ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকায় থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কদিনের নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি, হয়েছি শোকাহত। সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতাবহির্ভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তাঁর আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক।’
আরও খবর পড়ুন:
কোটা আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ বুধবার দুপুরে তিনি শিক্ষার্থীদের চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনারা যাঁরা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তাঁরা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা স্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সমমর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা আছেন তাঁদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তাঁরা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা।’
ফারুকী আরও লেখেন, ‘রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয় না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও স্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি। পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত প্রতিনিধি বা যেকোনো সরকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সব সময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। অল পাওয়ার টু দ্য পিপল। অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ। প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস। শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।’
এর আগে গত ৭ জুলাই কোটা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ডিলিট করেন ফারুকী। আজকের পোস্টে সেটার কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্মাতা লেখেন, ‘যাঁরা আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন, তাঁরা জানেন যে; আমি শারীরিকভাবে এখনো পুরোপুরি সুস্থ না! ফলে আমার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সীমিত। কোটা আন্দোলন নিয়ে আমি কিছুদিন আগে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে সরিয়ে ফেলেছি। কারণ একটা স্ট্যাটাস দিলে আমার মাথার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়! পরবর্তীতে আরেকটা কথা লিখতে ইচ্ছা হয়। এবং লিখতে থাকলে যত বেশি এনগেজড হই সেটা আমার শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো না।’
অন্যদিকে কোটা আন্দোলন নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ফেসবুকে আজ তিনি লেখেন, ‘পেশাগত কাজে প্রায় বিশ দিন আমেরিকায় থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কদিনের নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি, হয়েছি শোকাহত। সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতাবহির্ভূত! আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তাঁর আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক।’
আরও খবর পড়ুন:
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ অভিনেত্রী রওশন আরা বেগম ওরফে মৌ শিখা সম্প্রতি এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে নিজের কাজ কমে যাওয়া এবং এর ফলে সৃষ্ট মানসিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর এই আর্তি মিডিয়াপাড়ায় অনেককেই নাড়া দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে একসময় মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করতেন, সেখানে গত আড়াই...
৩ ঘণ্টা আগেপরিচালক মোহিত সুরির নতুন চলচ্চিত্র ‘সায়ারা’ দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। দেশের বক্স অফিসে ২০০ কোটি রুপি আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করার পথে রয়েছে ছবিটি। অভিনেতা আহান পাণ্ডের অভিষেক চলচ্চিত্র ‘সায়ারা’। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করলেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে দারুণ ব্যবসা করছে।
৬ ঘণ্টা আগেগত বছর জুনে পথচলার চার দশক পূর্ণ করেছে দেশের ব্যান্ড ওয়ারফেজ। সে সময় দলটির প্রধান শেখ মনিরুল আলম টিপু জানিয়েছিলেন, চার দশক পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে কনসার্টের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশে কনসার্ট করার পরিকল্পনা আছে তাদের।
৯ ঘণ্টা আগেবাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে