ঢাকা: সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে চলেই গেলেন মিষ্টি মেয়ে' কবরী। বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আজ শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
করোনাভাইরাসের এই মহামারি কেড়ে নিল বাংলাদেশের আরেক তারকাকে। এই মহামারি আমাদের থেকে কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক গুণি মানুষকে। মাত্র কয়েকদিন আগেই করোনার কাপছে লড়তে লড়তে চলে গেলেন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। চলে গেলেন রবীন্দ্র সংগীতের গুণি শিল্পী মিতা হক। চলে গেলেন শামসুজ্জামান খানও। বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন শিল্পী ফরিদা পারভিন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইসিসি জয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খানসহ আরও অনেকে। এই তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন প্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, যাকে কবরী নামেই সবাই চেনেন।
সাবেক সংসদ সদস্য কবরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এ সম্পর্কিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীল শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশপাশি রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কবরী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনেমা জগতে সক্রিয় ছিলেন। ক্যামেরার সামনে থেকে চলে গিয়েছিলেন পেছনে, পরিচালকের আসনে। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। কিন্তু এ বয়সেও নতুন করে চ্যঅলেঞ্জ নিয়েছিলেন। নতুন একটি সিনেমার শুটিং মাত্রই শেষ করে এনেছিলেন। বাকি ছিল ডাবিং ও সম্পাদনার কাজগুলো। এতে অভীনয়ও করেছেন তিনি।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। পরের বছর অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়, ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’ চলচ্চিত্রে। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ছবিগুলো। শুধু সিনেমা নয় সক্রিয় ছিলেন সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগতেও। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় অবস্থানকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে কবরীর জুটি ছিল অনবদ্য। অনেকের দৃষ্টিতেই বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা জুটি ধরা হয় তাঁদের। রাজ্জাক-কবরী অভিনীত রংবাজ' বাংলা সিনেমার ইতিহাসেই মাইলফলক হয়ে আছে। জনপ্রিয় নায়ক ফারুক, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবালসহ তাঁর সময়ের সেরা নায়কদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এই ফুলের বালা'। হ্যাঁ, সুজন-সখী সিনেমার বিখ্যাত গান সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা' গানে রুনা লায়লার প্লেব্যাকে নিজেকে তিনি এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, খুসখুসে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষায় দেন সারাহ বেগম কবরী। ৫ এপ্রিল দুপুরে পরীক্ষার ফল এলে দেখা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। ওই রাতেই তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পরদিন দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে কবরীর জন্য আইসিইউ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
আরো পড়ুন:
ঢাকা: সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে চলেই গেলেন মিষ্টি মেয়ে' কবরী। বাংলা সিনেমার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী আজ শুক্রবার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছেলে শাকের চিশতী।
করোনাভাইরাসের এই মহামারি কেড়ে নিল বাংলাদেশের আরেক তারকাকে। এই মহামারি আমাদের থেকে কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক গুণি মানুষকে। মাত্র কয়েকদিন আগেই করোনার কাপছে লড়তে লড়তে চলে গেলেন শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশী। চলে গেলেন রবীন্দ্র সংগীতের গুণি শিল্পী মিতা হক। চলে গেলেন শামসুজ্জামান খানও। বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন শিল্পী ফরিদা পারভিন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইসিসি জয়ী দলের অধিনায়ক আকরাম খানসহ আরও অনেকে। এই তালিকা দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। এবার এই তালিকায় যোগ হলেন প্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী, যাকে কবরী নামেই সবাই চেনেন।
সাবেক সংসদ সদস্য কবরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এ সম্পর্কিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী, নির্মাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীল শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের চলচ্চিত্রে কবরী এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অভিনয়ের পাশপাশি রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
কবরী মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সিনেমা জগতে সক্রিয় ছিলেন। ক্যামেরার সামনে থেকে চলে গিয়েছিলেন পেছনে, পরিচালকের আসনে। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। কিন্তু এ বয়সেও নতুন করে চ্যঅলেঞ্জ নিয়েছিলেন। নতুন একটি সিনেমার শুটিং মাত্রই শেষ করে এনেছিলেন। বাকি ছিল ডাবিং ও সম্পাদনার কাজগুলো। এতে অভীনয়ও করেছেন তিনি।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কবরীর। পরের বছর অভিনয় করেন ‘জলছবি’ ও ‘বাহানা’য়, ১৯৬৮ সালে ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘আবির্ভাব’, ‘বাঁশরি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’ চলচ্চিত্রে। ১৯৭০ সালে মুক্তি পায় ‘দীপ নেভে নাই’, ‘দর্পচূর্ণ, ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘বিনিময়’ ছবিগুলো। শুধু সিনেমা নয় সক্রিয় ছিলেন সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক জগতেও। মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় অবস্থানকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন তিনি।
নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে কবরীর জুটি ছিল অনবদ্য। অনেকের দৃষ্টিতেই বাংলা চলচ্চিত্রের সেরা জুটি ধরা হয় তাঁদের। রাজ্জাক-কবরী অভিনীত রংবাজ' বাংলা সিনেমার ইতিহাসেই মাইলফলক হয়ে আছে। জনপ্রিয় নায়ক ফারুক, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবালসহ তাঁর সময়ের সেরা নায়কদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন এই ফুলের বালা'। হ্যাঁ, সুজন-সখী সিনেমার বিখ্যাত গান সব সখীরে পার করিতে নেব আনা আনা' গানে রুনা লায়লার প্লেব্যাকে নিজেকে তিনি এভাবেই বর্ণনা করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, খুসখুসে কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষায় দেন সারাহ বেগম কবরী। ৫ এপ্রিল দুপুরে পরীক্ষার ফল এলে দেখা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। ওই রাতেই তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। পরদিন দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে কবরীর জন্য আইসিইউ পাওয়া যায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।
আরো পড়ুন:
সৌদি আরবের প্রথম দিকের কয়েকজন নারী র্যাপারের একজন জারা। সংগীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সৌদির সীমানা পেরিয়ে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকছেন। আরবি, ইংরেজির পাশাপাশি সুইডিশ ভাষাতেও সাবলীল এই তরুণী। জানান, আরও একটি ভাষা শেখার ইচ্ছা আছে তাঁর। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান...
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও ও নাচের মঞ্চে মামনুন ইমন ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি জুটি হয়েছিলেন আগে। এবার এই জুটিকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে বড় পর্দায়। সরকারি অনুদানের ‘দেনাপাওনা’ সিনেমায় অভিনয় করবেন তাঁরা।
১৮ ঘণ্টা আগেঅত ভালো ছাত্র ছিলেন না সুরিয়া। টেনেটুনে পাস করতেন। ফেল ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সেই গড়পড়তা ছাত্র এখন হাজারো শিক্ষার্থীর ভরসা। ২০০৬ সালে তামিল এই অভিনেতা গড়ে তোলেন আগারাম ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি থেকে তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করেন তি
১৮ ঘণ্টা আগেএকসময় টিভি নাটকে ছিল পারিবারিক গল্পের রাজত্ব। মাঝে প্রেম আর কমেডি গল্পের ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছিল এই ধরনের নাটক। সংখ্যায় কম হলেও সম্প্রতি আবার ফিরছে পারিবারিক গল্পের নাটক। গত বছরের শেষ দিকে কে এম সোহাগ রানা শুরু করেন ‘দেনা পাওনা’ নামের ধারাবাহিকের কাজ। শুরুতে ইউটিউবে ৮ পর্বের মিনি সিরিজ হিসেবে পরিকল্
১৮ ঘণ্টা আগে