মো. আশিকুর রহমান
২০১৬ সালে ৩৫ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ। শুরু থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফিল্ম নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আট বছরের ব্যবধানে তাঁরা নির্মাণ করেছেন ছোট-বড় শতাধিক ভিজুয়াল প্রোডাকশন। তাঁদের সেসব কাজ প্রচারিত হয়েছে জাতীয় টেলিভিশন, ওটিটিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। সেসব কাজের কিছু পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের জন্য নির্মাণ করেছিল ‘৭ দু-গুণে ১৪’ শিরোনামে ১৪টি শর্ট ফিল্ম। এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল নতুন ১৩ জন পরিচালক এবং তাঁদের সবাই তখন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এর আগেও তাঁরা ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি নির্মাণ করেছিলেন। সেসব নিয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে। অনেকে জিতেছিলেন পুরস্কার। পরবর্তী সময়ে বিভাগটির অনেক শিক্ষার্থী টিভি, ওটিটি এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উৎসবের জন্য শর্ট ফিল্ম, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের জন্য তাঁরা নির্মাণ করেন ‘গাইব বিজয়েরই গান’ শিরোনামে পাঁচটি শর্ট ফিল্ম। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জন্য ‘একজন তেলাপোকা’ নামের ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করেন গোলাম মুনতাকিম। টিভি নাটকের মধ্যে মানব মিত্রের পরিচালনায় ‘কাটাকুটি খেলা’ ও মুনসিফ মীমের পরিচালনায় ‘মরীচিকা মন’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া আছে আহসাবুল ইয়ামিনের ‘যায় যায় দিন’, ‘বিষ পিঁপড়া’, ইকবাল হোসেন খানের ‘বাড়ি ফিরে বুদ্ধ’, ইমন বিন আনোয়ারের ‘যাত্রা বিরতি’, ইশতিয়াক জিহাদের ‘রানওয়ে’, গোলাম মুনতাকিমের ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন’, ‘হিলিয়াম মানকি বেলুন’সহ আরও অনেক নাটক ও শর্ট ফিল্ম। আহসাবুল ইয়ামিনের ‘যায় যায় দিন’ পেয়েছিল স্টুডেন্ট ওয়ার্ল্ড ইমপ্যাক্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘অনারেবল মেনশন’ স্বীকৃতি।
শুধু পরিচালনা নয়, চিত্রনাট্য রচনা, সম্পাদনা কিংবা চিত্রগ্রহণ—সিনেমা তৈরির সব ক্ষেত্রেই এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উন্নতি করছেন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কাজ করে দক্ষতা বৃদ্ধিতে একে অন্যকে সহায়তা করছেন। হাতে-কলমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিত্রনাট্য লেখা, অভিনয়, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, পরিচালনা প্রভৃতি বিষয় শিখতে হয়। সিনেমা তৈরি শেখার প্রায় সবকিছুই রয়েছে বিভাগটিতে। আছে এডিটিং প্যানেল, মিডিয়া ল্যাব, নিজস্ব লাইব্রেরি এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ল্যাব।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘যারা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার সঙ্গেই আমার কাজ করা হয়েছে। তারা খুব বুঝেশুনে পরিষ্কার হয়ে কাজ করে—এটুকু মনে হয়েছে। তাদের এই ম্যাচিউরিটির ওপর ভরসা আছে। আর আমি যাদের পড়াচ্ছি, তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে ভীষণ আনন্দ হয়।’
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, চলচ্চিত্রে জীবনের যে বার্তা দেওয়া হয়, তার কোনো পরিবর্তন হয় না। চলচ্চিত্রকে জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদের আরও বেশি গবেষণায় যুক্ত হতে হবে।
২০১৬ সালে ৩৫ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ। শুরু থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফিল্ম নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আট বছরের ব্যবধানে তাঁরা নির্মাণ করেছেন ছোট-বড় শতাধিক ভিজুয়াল প্রোডাকশন। তাঁদের সেসব কাজ প্রচারিত হয়েছে জাতীয় টেলিভিশন, ওটিটিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। সেসব কাজের কিছু পেয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের জন্য নির্মাণ করেছিল ‘৭ দু-গুণে ১৪’ শিরোনামে ১৪টি শর্ট ফিল্ম। এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিল নতুন ১৩ জন পরিচালক এবং তাঁদের সবাই তখন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী। এর আগেও তাঁরা ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম, শর্ট ফিল্ম ইত্যাদি নির্মাণ করেছিলেন। সেসব নিয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে। অনেকে জিতেছিলেন পুরস্কার। পরবর্তী সময়ে বিভাগটির অনেক শিক্ষার্থী টিভি, ওটিটি এবং বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উৎসবের জন্য শর্ট ফিল্ম, ডকুমেন্টারি ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বায়োস্কোপের জন্য তাঁরা নির্মাণ করেন ‘গাইব বিজয়েরই গান’ শিরোনামে পাঁচটি শর্ট ফিল্ম। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জন্য ‘একজন তেলাপোকা’ নামের ওয়েব ফিল্ম নির্মাণ করেন গোলাম মুনতাকিম। টিভি নাটকের মধ্যে মানব মিত্রের পরিচালনায় ‘কাটাকুটি খেলা’ ও মুনসিফ মীমের পরিচালনায় ‘মরীচিকা মন’ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া আছে আহসাবুল ইয়ামিনের ‘যায় যায় দিন’, ‘বিষ পিঁপড়া’, ইকবাল হোসেন খানের ‘বাড়ি ফিরে বুদ্ধ’, ইমন বিন আনোয়ারের ‘যাত্রা বিরতি’, ইশতিয়াক জিহাদের ‘রানওয়ে’, গোলাম মুনতাকিমের ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন’, ‘হিলিয়াম মানকি বেলুন’সহ আরও অনেক নাটক ও শর্ট ফিল্ম। আহসাবুল ইয়ামিনের ‘যায় যায় দিন’ পেয়েছিল স্টুডেন্ট ওয়ার্ল্ড ইমপ্যাক্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘অনারেবল মেনশন’ স্বীকৃতি।
শুধু পরিচালনা নয়, চিত্রনাট্য রচনা, সম্পাদনা কিংবা চিত্রগ্রহণ—সিনেমা তৈরির সব ক্ষেত্রেই এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উন্নতি করছেন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কাজ করে দক্ষতা বৃদ্ধিতে একে অন্যকে সহায়তা করছেন। হাতে-কলমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে চিত্রনাট্য লেখা, অভিনয়, চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, পরিচালনা প্রভৃতি বিষয় শিখতে হয়। সিনেমা তৈরি শেখার প্রায় সবকিছুই রয়েছে বিভাগটিতে। আছে এডিটিং প্যানেল, মিডিয়া ল্যাব, নিজস্ব লাইব্রেরি এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ল্যাব।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষকতা করেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘যারা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার সঙ্গেই আমার কাজ করা হয়েছে। তারা খুব বুঝেশুনে পরিষ্কার হয়ে কাজ করে—এটুকু মনে হয়েছে। তাদের এই ম্যাচিউরিটির ওপর ভরসা আছে। আর আমি যাদের পড়াচ্ছি, তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে ভীষণ আনন্দ হয়।’
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, চলচ্চিত্রে জীবনের যে বার্তা দেওয়া হয়, তার কোনো পরিবর্তন হয় না। চলচ্চিত্রকে জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত, তাদের আরও বেশি গবেষণায় যুক্ত হতে হবে।
প্রতিদিনই আমরা নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিই। এই যেমন কি পরব, কোথায় যাব, কাকে বিশ্বাস করব কিংবা কোন পেশা বেছে নেব। কিন্তু এসব সিদ্ধান্তে যুক্তির চেয়ে আবেগ বা সামাজিক চাপ কতটা প্রভাব ফেলে?
৪ ঘণ্টা আগেছাত্ররাজনীতি থেকে মুক্ত হলেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বরাবরই রাজনীতিসচেতন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়ে ওঠে দক্ষিণবঙ্গের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।
১৮ ঘণ্টা আগে১৫ জুলাই, ২০২৪, সন্ধ্যায় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে গিয়ে দেখি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের বর্বর হামলা চালিয়েছে। মনে হলো, এত দিন কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে অংশ নিয়েছি যেসব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, আর এখন সেসব শিক্ষার্থীরাই নির্যাতিত; তাদের পাশে দাঁড়ানোই হবে সত্যিকারের
১৯ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের জুলাইয়ের শুরুতে কোটা আন্দোলন আমাদের কাছে ছিল শুধুই টিভি স্ক্রিন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডের দৃশ্য। কিন্তু ১০ জুলাইয়ের পর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিবেশ; ছোট ছোট অবরোধ, স্লোগান আর পোস্টারে শহর যেন বদলে যেতে লাগল। ১৪ জুলাইয়ের পর তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বেফাঁস মন্তব্য আগুনে
২১ ঘণ্টা আগে