জুবায়ের ইবনে কামাল
শৈশব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব
দেশ ছেড়ে আসার সময় আমি নিতান্তই কিশোরী। ২০১৩ সালে আমার বয়স ছিল ১৪ বছর। দেশে কোরবানির ঈদ হতো ঢাকা-চট্টগ্রাম-টাঙ্গাইল মিলিয়ে। ছোট বয়সের স্মৃতি হাতড়ে যা পাই, সেই ঈদগুলো ছিল পরিবারের সবার স্নেহ পাওয়ার ঈদ; বিশেষ করে ঈদের দিন নতুন জামা আর সালামি পাওয়াটাই ছিল যেন ঈদের সব। এখানে দাদা-দাদু—কেউই নেই, সেই চমৎকার শৈশবও নেই। আমি কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছি। এখানকার ঈদের অভিজ্ঞতা একদমই আলাদা। তবে এবারের ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল। কারণ, এবার ঈদে আমার দাদু কানাডায় ঘুরতে এসেছেন। তাই এবারের ঈদটা দেশ থেকে এত দূরে হলেও ভিন্নভাবে কাটবে। এখানে আমাদের যে আত্মীয়রা আছে, সবাই একত্র হব। আর শৈশবটা ফিরিয়ে আনার একটা ছোট্ট চেষ্টা করব।
সারাফ ওয়াসিমা সিদ্দিক, টরন্টো, কানাডা
পশু কিনতে হাটে যাওয়া নেই
বছরখানেক আগে যখন আমি বিদেশ পাড়ি দিচ্ছিলাম, তখনো মনে হয়নি এভাবে এতটা দিন কেটে যাবে। আমি অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম শহর সিডনিতে থাকি। টরেন্স ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করছি ব্যাচেলর অব কমিউনিটি সার্ভিসে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এটাই আমার প্রথম কোরবানির ঈদ। অস্ট্রেলিয়ায় কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে যাওয়ার ব্যাপারটি একদম অনুপস্থিত। এখানে ঈদ অভিজ্ঞতা বেশ আলাদা। পরিবার থেকে বহুদূরে আছি। মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে ছোট পরিসরে উৎসব উদ্যাপন করা হবে। তবু স্থানীয় মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করব, কমিউনিটি ফাংশনে অংশগ্রহণ করব এবং অনলাইনে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলব। এখানে পরিবার ছাড়া ঈদ উদ্যাপন করতে হবে। মায়ের হাতের মজার মজার খাবার মিস করব। বাবা, ছোট ভাই আর আমি একসঙ্গে একই রকম পাঞ্জাবি পরে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সেই দিনগুলো খুব মিস করব।
তাসনিম ফেরদৌস, সিডনি, অস্ট্রেলিয়াপরিবারের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতির হাতছানি
আমি দেশ ছেড়ে এসেছি দশ মাস হবে। পরিবার ছাড়া এটা আমার দ্বিতীয় ঈদ। আমি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের হানইয়াং ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অব বিজনেসে পড়ি। দেশে থাকার সময় আমরা রোজার ঈদ কাটাতাম ঢাকায় আর কোরবানির ঈদে যেতাম গ্রামে। আমাদের পরিবার বেশ বড় হওয়ায় যেখানেই ঈদ করি না কেন, সেখানেই একটা উৎসবের আমেজ লেগে যেত। এবার কোরবানির ঈদ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী গ্রামে হওয়ার কথা। কিন্তু আমি এখন গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে। এখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম, তাই ঈদের অভিজ্ঞতা একদম অন্য রকম। রোজার ঈদে আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা চলায় মনে হয়েছে স্বাভাবিক একটি দিন। এবারের কোরবানি ঈদও বেশ স্বাভাবিক দিনের মতো কাটবে। হয়তো রাতে ভিডিও কলে আম্মুর কাছ থেকে শুনে পোলাও-কোরমা রান্না করব। এই জীবনকে মেনে নিতে চাই বটে, কিন্তু দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতি আমাকে হাতছানি দেয়।
জেসিয়া আফরিন, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
ব্রুকলিন ব্রিজ দিয়ে একা একা হাঁটব
পরিবার ছাড়া এটাই আমার প্রথম কোরবানির ঈদ। বিদেশে ঈদের অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। আমি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ইকোনমিকস ও ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করি। দেশে থাকতে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে ঈদ করতাম। সেটা ছিল এক সুন্দর মিলনমেলা। এই প্রথম হইহুল্লোড় ও আত্মীয়স্বজন ছাড়া একা একা ঈদ কাটাতে হবে। তবে নিউইয়র্কে বাঙালিদের আনাগোনা বেশি। জ্যাকসন হাইটসের মতো জায়গায় শুনেছি, ঈদের আগে মেলা বসে। অসংখ্য মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আনন্দ করে। তারা একে অপরকে চেনে না, কিন্তু একসঙ্গে আনন্দ করে। আমার পরিকল্পনা আছে ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কে ঈদের নামাজ আদায় করার। ঘরে বানানো খাবার খুব মিস করব। ঈদে গ্রামে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতাম সবাই মিলে। এবারও চিন্তা করেছি, ব্রুকলিন ব্রিজ দিয়ে একা একা হাঁটব। তখন নিশ্চয়ই হাডসন নদী দেখে মনে পড়ে যাবে যমুনা নদীর কথা।
মেহেদী হাসান আশিক, নিউইয়র্ক, আমেরিকা
শৈশব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব
দেশ ছেড়ে আসার সময় আমি নিতান্তই কিশোরী। ২০১৩ সালে আমার বয়স ছিল ১৪ বছর। দেশে কোরবানির ঈদ হতো ঢাকা-চট্টগ্রাম-টাঙ্গাইল মিলিয়ে। ছোট বয়সের স্মৃতি হাতড়ে যা পাই, সেই ঈদগুলো ছিল পরিবারের সবার স্নেহ পাওয়ার ঈদ; বিশেষ করে ঈদের দিন নতুন জামা আর সালামি পাওয়াটাই ছিল যেন ঈদের সব। এখানে দাদা-দাদু—কেউই নেই, সেই চমৎকার শৈশবও নেই। আমি কানাডার ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছি। এখানকার ঈদের অভিজ্ঞতা একদমই আলাদা। তবে এবারের ঈদটা আমার জন্য স্পেশাল। কারণ, এবার ঈদে আমার দাদু কানাডায় ঘুরতে এসেছেন। তাই এবারের ঈদটা দেশ থেকে এত দূরে হলেও ভিন্নভাবে কাটবে। এখানে আমাদের যে আত্মীয়রা আছে, সবাই একত্র হব। আর শৈশবটা ফিরিয়ে আনার একটা ছোট্ট চেষ্টা করব।
সারাফ ওয়াসিমা সিদ্দিক, টরন্টো, কানাডা
পশু কিনতে হাটে যাওয়া নেই
বছরখানেক আগে যখন আমি বিদেশ পাড়ি দিচ্ছিলাম, তখনো মনে হয়নি এভাবে এতটা দিন কেটে যাবে। আমি অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম শহর সিডনিতে থাকি। টরেন্স ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করছি ব্যাচেলর অব কমিউনিটি সার্ভিসে। বিদেশ-বিভুঁইয়ে এটাই আমার প্রথম কোরবানির ঈদ। অস্ট্রেলিয়ায় কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে যাওয়ার ব্যাপারটি একদম অনুপস্থিত। এখানে ঈদ অভিজ্ঞতা বেশ আলাদা। পরিবার থেকে বহুদূরে আছি। মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে ছোট পরিসরে উৎসব উদ্যাপন করা হবে। তবু স্থানীয় মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করব, কমিউনিটি ফাংশনে অংশগ্রহণ করব এবং অনলাইনে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলব। এখানে পরিবার ছাড়া ঈদ উদ্যাপন করতে হবে। মায়ের হাতের মজার মজার খাবার মিস করব। বাবা, ছোট ভাই আর আমি একসঙ্গে একই রকম পাঞ্জাবি পরে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার সেই দিনগুলো খুব মিস করব।
তাসনিম ফেরদৌস, সিডনি, অস্ট্রেলিয়াপরিবারের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতির হাতছানি
আমি দেশ ছেড়ে এসেছি দশ মাস হবে। পরিবার ছাড়া এটা আমার দ্বিতীয় ঈদ। আমি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের হানইয়াং ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অব বিজনেসে পড়ি। দেশে থাকার সময় আমরা রোজার ঈদ কাটাতাম ঢাকায় আর কোরবানির ঈদে যেতাম গ্রামে। আমাদের পরিবার বেশ বড় হওয়ায় যেখানেই ঈদ করি না কেন, সেখানেই একটা উৎসবের আমেজ লেগে যেত। এবার কোরবানির ঈদ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী গ্রামে হওয়ার কথা। কিন্তু আমি এখন গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে। এখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম, তাই ঈদের অভিজ্ঞতা একদম অন্য রকম। রোজার ঈদে আমাদের মিডটার্ম পরীক্ষা চলায় মনে হয়েছে স্বাভাবিক একটি দিন। এবারের কোরবানি ঈদও বেশ স্বাভাবিক দিনের মতো কাটবে। হয়তো রাতে ভিডিও কলে আম্মুর কাছ থেকে শুনে পোলাও-কোরমা রান্না করব। এই জীবনকে মেনে নিতে চাই বটে, কিন্তু দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতি আমাকে হাতছানি দেয়।
জেসিয়া আফরিন, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
ব্রুকলিন ব্রিজ দিয়ে একা একা হাঁটব
পরিবার ছাড়া এটাই আমার প্রথম কোরবানির ঈদ। বিদেশে ঈদের অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। আমি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে ইকোনমিকস ও ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করি। দেশে থাকতে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে ঈদ করতাম। সেটা ছিল এক সুন্দর মিলনমেলা। এই প্রথম হইহুল্লোড় ও আত্মীয়স্বজন ছাড়া একা একা ঈদ কাটাতে হবে। তবে নিউইয়র্কে বাঙালিদের আনাগোনা বেশি। জ্যাকসন হাইটসের মতো জায়গায় শুনেছি, ঈদের আগে মেলা বসে। অসংখ্য মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আনন্দ করে। তারা একে অপরকে চেনে না, কিন্তু একসঙ্গে আনন্দ করে। আমার পরিকল্পনা আছে ওয়াশিংটন স্কয়ার পার্কে ঈদের নামাজ আদায় করার। ঘরে বানানো খাবার খুব মিস করব। ঈদে গ্রামে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতাম সবাই মিলে। এবারও চিন্তা করেছি, ব্রুকলিন ব্রিজ দিয়ে একা একা হাঁটব। তখন নিশ্চয়ই হাডসন নদী দেখে মনে পড়ে যাবে যমুনা নদীর কথা।
মেহেদী হাসান আশিক, নিউইয়র্ক, আমেরিকা
ঢাকার সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ চারটি স্কুলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হবে। এর মধ্যে স্কুল অব সায়েন্সের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস; স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউমিনিটিসের জন্য সরকারি বাংলা কলেজ এবং স্কুল অব
১২ ঘণ্টা আগেবিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে বাংলাদেশের মেধাবী কিশোরেরা। এর অনন্য এক উদাহরণ হিসেবে ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে (আইবিও) অংশ নিয়ে তিনটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে বাংলাদেশ দল। ব্রোঞ্জজয়ী তিন শিক্ষার্থী হলো—সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরিজ আনাস, মাস্টারম
২ দিন আগেবিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক রোবোটিকস প্রতিযোগিতা আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জ (এআরসি) ২০২৫ সালে বড় সাফল্য পেয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘ইউআইইউ মার্স রোভার টিম’। গত ২৩-২৭ জুলাই তুরস্কের আনাতোলিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেপথের দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীন দালানগুলো যেন সেদিন হঠাৎ প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। ধুলো মাখা জানালা, খসে পড়া দেয়াল, পোড়া ইটের গায়ে তুলির আঁচড় পড়ে ছিল। অতীতের গল্প যেন ফিরে এসেছে রঙে, রেখায়, অনুভবে। বলছি ঐতিহাসিক পানাম নগরের কথা।
২ দিন আগে