আমাদের সাঈদ ইতিহাসের শহীদ
সাঈদ আমার অনেক দিনের বন্ধু। সে ছিল হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। আমাদের একটি ব্যান্ড ছিল ‘টঙের গান’ নামে। সাঈদের সঙ্গে দেখা হলেই ব্যান্ড-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতো। আন্দোলনের শুরু থেকে আমরা একসঙ্গে ছিলাম, মিছিলে যেতাম। একদিন মিছিলে যাওয়ার সময় সে মারধরের শিকার হয়েছিল। এরপর সে সবার নজরে আসে। আন্দোলনের সব খবর সে আমাদের দিত। তবে নির্মম বুলেটের আঘাতে তার এভাবে জীবনাবসান হবে, সেটা ভাবনাতেও ছিল না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করা সাঈদ চিরদিন বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে। শহীদ হিসেবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
মাহমুদুল হাসান আবির, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
সে কোনো দলীয় রাজনীতি করত না
সাঈদ চশমা ও ক্যাপ পরত। কিন্তু সেদিন এর কোনোটিই পরেনি সে। একদম নিশ্চুপ হয়ে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই পুলিশের সঙ্গে তর্ক করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এবং যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আমি মেসে চলে যাই। গিয়েই শুনি, আমাদের একজন গুলিতে মারা গেছে। একটু পরে জানতে পারি, সেই একজন আমার শৈশবের বন্ধু সাঈদ। এরপর হাসপাতালে গিয়ে দেখি, স্ট্রেচারে সাঈদের নিথর দেহ পড়ে আছে।
সাঈদের শূন্যতা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ সম্ভব নয়। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আমাদের বন্ধুদের এখন একটাই চাওয়া রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুকে যেন ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া না হয়।
মাহিদ হাসান শাকিল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না
আমি আবু সাঈদের সঙ্গে ২০২০ সাল থেকে একই মেসে থাকতাম। সাঈদ ছিল অমায়িক। আমাদের দুজনের মধ্যে মানসিক ও আদর্শিক দিক দিয়ে অনেক মিল ছিল। যেকোনো প্রয়োজনে ডাকলে সে ছুটে আসত। আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি যখন রাজপথে ছিলাম, তখন একটা ফোন কল পাই এক বন্ধুর কাছ থেকে। আমাকে বলা হয়, আবু সাঈদের গুলি লেগেছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। তখন মেসের এক বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করে যে আবু সাঈদ আর নেই।
আমার চোখে এখনো ভাসছে তার সঙ্গে কাটানো হাজারো স্মৃতি। অবসর সময়ে আড্ডা, ফোনে লুডু খেলা, রাতে চা খেতে যাওয়াসহ সব আমরা একসঙ্গে করতাম। সাঈদ কখনো একা কিছু খেত না। ফলমূল খেলে আমাদের ডাক দিত। একসঙ্গে তাকে নিয়ে আর কিছু করা হবে না। আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না।
মো. ইব্রাহীম খলিল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
আমাদের সাঈদ ইতিহাসের শহীদ
সাঈদ আমার অনেক দিনের বন্ধু। সে ছিল হাস্যোজ্জ্বল মানুষ। আমাদের একটি ব্যান্ড ছিল ‘টঙের গান’ নামে। সাঈদের সঙ্গে দেখা হলেই ব্যান্ড-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হতো। আন্দোলনের শুরু থেকে আমরা একসঙ্গে ছিলাম, মিছিলে যেতাম। একদিন মিছিলে যাওয়ার সময় সে মারধরের শিকার হয়েছিল। এরপর সে সবার নজরে আসে। আন্দোলনের সব খবর সে আমাদের দিত। তবে নির্মম বুলেটের আঘাতে তার এভাবে জীবনাবসান হবে, সেটা ভাবনাতেও ছিল না। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করা সাঈদ চিরদিন বেঁচে থাকবে মানুষের হৃদয়ে। শহীদ হিসেবে তার নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
মাহমুদুল হাসান আবির, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
সে কোনো দলীয় রাজনীতি করত না
সাঈদ চশমা ও ক্যাপ পরত। কিন্তু সেদিন এর কোনোটিই পরেনি সে। একদম নিশ্চুপ হয়ে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই পুলিশের সঙ্গে তর্ক করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এবং যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আমি মেসে চলে যাই। গিয়েই শুনি, আমাদের একজন গুলিতে মারা গেছে। একটু পরে জানতে পারি, সেই একজন আমার শৈশবের বন্ধু সাঈদ। এরপর হাসপাতালে গিয়ে দেখি, স্ট্রেচারে সাঈদের নিথর দেহ পড়ে আছে।
সাঈদের শূন্যতা কোনো কিছু দিয়েই পূরণ সম্ভব নয়। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আমাদের বন্ধুদের এখন একটাই চাওয়া রাজনৈতিক ট্যাগ দিয়ে শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুকে যেন ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া না হয়।
মাহিদ হাসান শাকিল, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না
আমি আবু সাঈদের সঙ্গে ২০২০ সাল থেকে একই মেসে থাকতাম। সাঈদ ছিল অমায়িক। আমাদের দুজনের মধ্যে মানসিক ও আদর্শিক দিক দিয়ে অনেক মিল ছিল। যেকোনো প্রয়োজনে ডাকলে সে ছুটে আসত। আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি যখন রাজপথে ছিলাম, তখন একটা ফোন কল পাই এক বন্ধুর কাছ থেকে। আমাকে বলা হয়, আবু সাঈদের গুলি লেগেছে। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। তখন মেসের এক বড় ভাই আমাকে নিশ্চিত করে যে আবু সাঈদ আর নেই।
আমার চোখে এখনো ভাসছে তার সঙ্গে কাটানো হাজারো স্মৃতি। অবসর সময়ে আড্ডা, ফোনে লুডু খেলা, রাতে চা খেতে যাওয়াসহ সব আমরা একসঙ্গে করতাম। সাঈদ কখনো একা কিছু খেত না। ফলমূল খেলে আমাদের ডাক দিত। একসঙ্গে তাকে নিয়ে আর কিছু করা হবে না। আবু সাঈদের মতো বন্ধু হয় না।
মো. ইব্রাহীম খলিল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আই ক্যাম্প–২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের চক্ষু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচীনের জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ দিচ্ছে। ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গবেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প দেশে আঘাত হানবে।
১০ ঘণ্টা আগেগত দুই দশকে উচ্চশিক্ষায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বেড়েছে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন বা আন্তদেশীয় শিক্ষার চাহিদা। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশে থেকেই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন।
১০ ঘণ্টা আগে