নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের ত্রুটির দায় স্বীকার করেছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। এ জন্য তাঁরা দায় স্বীকার করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারা দেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মতামত বিভাগে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘‘অনুসন্ধানী পাঠ’’ বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। এই বইয়ের কোনো কোনো অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।’
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাঁদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এইসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।’
বিবৃতিতে বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। বলেন, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে অভিযোগটি উঠেছে তা লেখকদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন। বইটি এখন পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে। মূল সংস্করণে সব ধরনের ভুল-ভ্রান্তি ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, পাঠ্যপুস্তক হচ্ছে মূলত একটি সংকলন। এখানে অনেক লেখকের লেখা যুক্ত করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়েই পাঠ্যবই তৈরি করা হয়। বইয়ের মধ্যে লেখা কারও নিজের তা কেউ দাবি করেননি। তাই এটাকে চৌর্যবৃত্তি বলা যাবে না। এখানে সোর্স উল্লেখ না করাটা ভুল ছিল। আর অনুবাদ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা যৌক্তিক।
উল্লেখ্য, বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। আর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের ত্রুটির দায় স্বীকার করেছেন বইটির রচনা ও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক হাসিনা খান। এ জন্য তাঁরা দায় স্বীকার করে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারা দেশে ২০২৩ সালে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক ছাপা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার মতামত বিভাগে সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ‘‘অনুসন্ধানী পাঠ’’ বইটির ব্যাপারে একটি অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে। এই বইয়ের কোনো কোনো অধ্যায়ের অংশবিশেষ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এডুকেশনাল সাইট থেকে নিয়ে হুবহু অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়েছে। বইয়ের এই নির্দিষ্ট অংশটুকু এবং ওয়েবসাইটটির একই লেখাটুকু তুলনা করে অভিযোগটি আমাদের কাছে সত্য বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।’
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একই পাঠ্যপুস্তক রচনার সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকেন, যাঁদের শ্রম ও নিষ্ঠার ফলাফল হিসেবে বইটি প্রকাশিত হয়। বিশেষত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনার ক্ষেত্রে এইসব লেখকের কাছ থেকেই এক ধরনের দায়িত্বশীলতা আশা করা হয়। সেখানে কোনো একজন লেখকের লেখা নিয়ে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তা আমাদের টিমের জন্য হতাশার এবং মন খারাপের কারণ হয়। ওই অধ্যায়ের আলোচিত অংশটুকু লেখার দায়িত্বে আমরা দুজন না থাকলেও সম্পাদক হিসেবে এর দায় আমাদের ওপরও বর্তায়, সেটি আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি। অবশ্যই পরবর্তী সংস্করণে বইটির প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করা হবে।’
বিবৃতিতে বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। বলেন, এ বছর বইটির পরীক্ষামূলক সংস্করণ চালু হয়েছে এবং সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে এতে যথেষ্ট পরিমার্জন ও সম্পাদনার সুযোগ রয়েছে। কাজেই উল্লিখিত অভিযোগের বাইরেও যেকোনো যৌক্তিক মতামতকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হবে এবং সে অনুযায়ী পাঠ্যবইয়ের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন করা হবে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, যে অভিযোগটি উঠেছে তা লেখকদের জানানো হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন। বইটি এখন পরীক্ষামূলক সংস্করণ চলছে। মূল সংস্করণে সব ধরনের ভুল-ভ্রান্তি ঠিক করা হবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, পাঠ্যপুস্তক হচ্ছে মূলত একটি সংকলন। এখানে অনেক লেখকের লেখা যুক্ত করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়েই পাঠ্যবই তৈরি করা হয়। বইয়ের মধ্যে লেখা কারও নিজের তা কেউ দাবি করেননি। তাই এটাকে চৌর্যবৃত্তি বলা যাবে না। এখানে সোর্স উল্লেখ না করাটা ভুল ছিল। আর অনুবাদ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা যৌক্তিক।
উল্লেখ্য, বইটি রচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ড. হাসিনা খান, ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব ও রনি বসাক। আর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমোদনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনজেইউ) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে বুয়েটের ইসিই ভবনের রাইজের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স
১০ ঘণ্টা আগেযাঁরা একাডেমিক বা পেশাগত ক্ষেত্রে গবেষণার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করতে হয়। এ গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়। গবেষণা জার্নালগুলো সেই জ্ঞানের প্রচার ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে, প্রবন্ধ প্রকাশের প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল, সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের প্রয়োজন...
২১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি ২০২৫-২৬-এর জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
২১ ঘণ্টা আগে