বর্তমান কৃষিবিপ্লবের যুগে পেশা হিসেবে লাইভস্টকের (প্রাণিসম্পদ) চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তীব্র ব্যথায় জর্জরিত, নীরবে সহ্য করা অব্যক্ত কষ্টে কাতর প্রাণিকুলের প্রাথমিক সেবার ব্রত নিয়ে একজন লাইভস্টক শিক্ষার্থীর যাত্রা শুরু হয়। নিবন্ধিত লাইভস্টক ডিগ্ৰিধারীরা মূলত এ পেশার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হন। ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক শিক্ষক ডিভিএম ড. মো. কামরুজ্জামানের পরামর্শের আলোকে লিখেছেন নাহিদুল ইসলাম গাজী।
নাহিদুল ইসলাম গাজী
একজন নিবন্ধিত ও সনদপ্রাপ্ত লাইভস্টক ডিগ্রিধারীর প্রধান কাজ হচ্ছে, প্রাণীর কষ্ট লাঘব ও ব্যথা উপশমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া। তাঁদের কাজ টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন, বার্ডিজ দ্বারা খোজাকরণ, ওয়ার্ড ড্রেসিং ইত্যাদি। এ ছাড়া ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সেবাও তাঁরা প্রদান করেন, যা প্রাণিসম্পদ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
লাইভস্টক ডিগ্রি দেওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ
দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি সরকারি ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি লাইভস্টক ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো
১. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, গাইবান্ধা।
২. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নেত্রকোনা।
৪. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
৫. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, গোপালগঞ্জ।
৬. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, লালমনিরহাট।
৭. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সিলেট।
কী কী পড়ানো হয়
লাইভস্টক ডিগ্রি কোর্সে একজন শিক্ষার্থীকে পড়তে হয়:
ক্যারিয়ার
কারিকুলামের অংশে লাইভস্টক শিক্ষার্থীদের সাতটি সেমিস্টার একাডেমিক পড়াশোনা ও একটি সেমিস্টার (ছয় মাস) মাঠসংযুক্তি করতে হয়। মাঠসংযুক্তিতে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ডেইরি ফার্ম, সাভার, ঢাকা; কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি সাভার, ঢাকা; প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা; সরকারি হাঁস-মুরগির খামার, মিরপুর, ঢাকা; বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর, ঢাকার সঙ্গে কাজের সুযোগ পান।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল, ঢাকা; বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, ঢাকা এবং পছন্দ অনুযায়ী দেশের যেকোনো উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে মাঠসংযুক্তি সম্পূর্ণ করতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। লাইভস্টক ডিগ্রি পাস করার পর নিজস্ব বিষয়সহ দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজি, অ্যানিমেল সায়েন্স, পোলট্রি সায়েন্স, ডেইরি সায়েন্স, জেনেটিকস, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ফার্মেসিসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
চাকরি
একজন লাইভস্টক ডিগ্ৰিধারী ব্যক্তি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধিত লাইভস্টক ডিগ্ৰিধারীদের জন্য চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক ও বিভিন্ন সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ফিড মিল, হ্যাচারিতে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। যেমন কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব গ্ৰুপ, প্যারাগন, নারিশ, অ্যাংকর ফিডস, আমান ফিড, ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন, তামিম গ্ৰুপ, ঢাকা হ্যাচারি ইত্যাদি। দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশে সম্মানজনক চাকরির সুযোগ রয়েছে। নিবন্ধিত লাইভস্টক ডিগ্রিধারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কোম্পানি যেমন স্কয়ার, ইনসেপ্টা, রেনাটা, অপসোনিন ফার্মা ইত্যাদি ফার্মাসিউটিক্যালসের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে পেশা হিসেবে লাইভস্টক প্র্যাকটিস পছন্দ করা একটি যুগোপযোগী ও স্মার্ট সিদ্ধান্ত। লাইভস্টক বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একটি পেশা। এই পেশার মাধ্যমে প্রাণিসেবার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে জানা ও মানবকল্যাণে তাঁদের কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে এ পেশায়। একজন দক্ষ লাইভস্টক ডিগ্রিধারী ব্যক্তি দেশের প্রাণিসম্পদ এবং মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়ে সমৃদ্ধশালী, সুস্থবান জাতি ও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
একজন নিবন্ধিত ও সনদপ্রাপ্ত লাইভস্টক ডিগ্রিধারীর প্রধান কাজ হচ্ছে, প্রাণীর কষ্ট লাঘব ও ব্যথা উপশমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া। তাঁদের কাজ টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন, বার্ডিজ দ্বারা খোজাকরণ, ওয়ার্ড ড্রেসিং ইত্যাদি। এ ছাড়া ভেটেরিনারি কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সেবাও তাঁরা প্রদান করেন, যা প্রাণিসম্পদ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
লাইভস্টক ডিগ্রি দেওয়া প্রতিষ্ঠানসমূহ
দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি সরকারি ইনস্টিটিউটে চার বছর মেয়াদি লাইভস্টক ডিগ্রি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো
১. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, গাইবান্ধা।
২. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
৩. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, নেত্রকোনা।
৪. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, খুলনা।
৫. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, গোপালগঞ্জ।
৬. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, লালমনিরহাট।
৭. ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সিলেট।
কী কী পড়ানো হয়
লাইভস্টক ডিগ্রি কোর্সে একজন শিক্ষার্থীকে পড়তে হয়:
ক্যারিয়ার
কারিকুলামের অংশে লাইভস্টক শিক্ষার্থীদের সাতটি সেমিস্টার একাডেমিক পড়াশোনা ও একটি সেমিস্টার (ছয় মাস) মাঠসংযুক্তি করতে হয়। মাঠসংযুক্তিতে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় ডেইরি ফার্ম, সাভার, ঢাকা; কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি সাভার, ঢাকা; প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মহাখালী, ঢাকা; সরকারি হাঁস-মুরগির খামার, মিরপুর, ঢাকা; বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা, মিরপুর, ঢাকার সঙ্গে কাজের সুযোগ পান।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতাল, ঢাকা; বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল, ঢাকা এবং পছন্দ অনুযায়ী দেশের যেকোনো উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে মাঠসংযুক্তি সম্পূর্ণ করতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখে। লাইভস্টক ডিগ্রি পাস করার পর নিজস্ব বিষয়সহ দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজি, অ্যানিমেল সায়েন্স, পোলট্রি সায়েন্স, ডেইরি সায়েন্স, জেনেটিকস, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ফার্মেসিসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
চাকরি
একজন লাইভস্টক ডিগ্ৰিধারী ব্যক্তি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নিবন্ধিত লাইভস্টক ডিগ্ৰিধারীদের জন্য চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক ও বিভিন্ন সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার ইত্যাদিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ফিড মিল, হ্যাচারিতে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে। যেমন কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব গ্ৰুপ, প্যারাগন, নারিশ, অ্যাংকর ফিডস, আমান ফিড, ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন, তামিম গ্ৰুপ, ঢাকা হ্যাচারি ইত্যাদি। দেশের বাইরেও বিভিন্ন দেশে সম্মানজনক চাকরির সুযোগ রয়েছে। নিবন্ধিত লাইভস্টক ডিগ্রিধারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কোম্পানি যেমন স্কয়ার, ইনসেপ্টা, রেনাটা, অপসোনিন ফার্মা ইত্যাদি ফার্মাসিউটিক্যালসের আকর্ষণীয় বেতনে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে পেশা হিসেবে লাইভস্টক প্র্যাকটিস পছন্দ করা একটি যুগোপযোগী ও স্মার্ট সিদ্ধান্ত। লাইভস্টক বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একটি পেশা। এই পেশার মাধ্যমে প্রাণিসেবার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে জানা ও মানবকল্যাণে তাঁদের কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে এ পেশায়। একজন দক্ষ লাইভস্টক ডিগ্রিধারী ব্যক্তি দেশের প্রাণিসম্পদ এবং মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়ে সমৃদ্ধশালী, সুস্থবান জাতি ও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। গত ১৬ জুলাই বুয়েটে আয়োজিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা–২০২৫ এর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৭ ঘণ্টা আগেভোকাবুলারিতে দুর্বলতা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে শুরু করে বাস্তব জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই বড় একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা অনেক সময় শব্দ মুখস্থ করি, কিন্তু কিছুদিন পরে ভুলে যাই।
১ দিন আগে২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের ফলে ব্যাপক বিপর্যয় হয়েছে। বিশেষ করে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি যে কতটা দুর্বল ও নড়বড়ে, তা অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে।
১ দিন আগেআগামী আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ও শাবিপ্রবির পক্ষে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। সেখানে সায়েম তাঁর গবেষণা "Synthesis and Characterization of Nanocellulose Phosphate as a Novel Biomaterial for Bone Tissue Engineering" বিষয়ে উপস্থাপন করবেন, যা হাড়ের...
২ দিন আগে