সাব্বির হোসেন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, লেখনশৈলী ও বিশ্লেষণ–ক্ষমতার প্রকাশ।
এটি একজন শিক্ষার্থীকে কেবল পড়ুয়া নয়, বরং গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার পথে আগ্রহী করে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়টিকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেন না বা কীভাবে সঠিকভাবে একটি মানসম্পন্ন অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়, তা জানেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে করা অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীর প্রাপ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত করে। ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির ধাপগুলো তুলে ধরা হলো—
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা
অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পাওয়ার পর সবচেয়ে আগে প্রয়োজন সেটি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া। বিষয়বস্তু কী, কী ধরনের প্রশ্ন রয়েছে, কোন দিকগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে অ্যাসাইনমেন্টের গঠন সঠিক হয় না। তাই শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজন হলে বাড়তি ব্যাখ্যা নিয়ে নিতে হবে।
তথ্যের উৎস হতে হবে নির্ভরযোগ্য
একটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রাণ হচ্ছে তথ্য বা কনটেন্ট। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া একটি অ্যাসাইনমেন্ট কখনোই মানসম্পন্ন হতে পারে না। এ জন্য বই, গবেষণা নিবন্ধ, সরকারি প্রতিবেদন, রেফারেন্সযুক্ত ওয়েবসাইট ও লাইব্রেরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণ গুগল সার্চ দিয়ে মেলে এমন ব্লগ বা অব্যবস্থাপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। তথ্য যাচাই করে ব্যবহার করা একজন দক্ষ শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য।
রূপরেখা বা আউটলাইন তৈরি
অনেকে সরাসরি লেখায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু ভালো লেখার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা খুব জরুরি। এতে লেখার মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে এবং বিষয়বস্তুর গঠন হয় স্পষ্ট। রূপরেখা তিন ভাগে ভাগ করা যায়—ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার। ভূমিকায় বিষয়টি পরিচয় করিয়ে দিন, মূল অংশে বিশ্লেষণ করুন এবং উপসংহারে পুরো লেখার সারসংক্ষেপ ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করুন।
নিজের ভাষায় লেখাই শ্রেয়
তথ্য সংগ্রহ করে হুবহু কপি করে লেখার চেয়ে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই বেশি মূল্যবান। এতে আপনার বিশ্লেষণী ও বোধশক্তির প্রকাশ ঘটে। যেখান থেকে তথ্য নিচ্ছেন, সেখানে ‘উদ্ধৃতি’ চিহ্ন দিয়ে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রয়োজনে পাদটীকা বা রেফারেন্স যুক্ত করতে হবে। প্লেজারিজম বা চুরি করে লেখা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
রেফারেন্সিং ও উদ্ধৃতির ব্যবহার
একটি অ্যাসাইনমেন্টে তথ্য বা মতামতের উৎস জানানো খুব জরুরি। এ জন্য অ্যাসাইনমেন্টের শেষে রেফারেন্স লিস্ট যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক যেই স্টাইল চায় (APA, MLA, Chicago, Harvard ইত্যাদি), সেই অনুসারে রেফারেন্স দিতে হবে। এটি কেবল অ্যাসাইনমেন্টের গঠনগত সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং আপনাকে একজন দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বানান ও ভাষার শুদ্ধতা
ভাষাগত শুদ্ধতা হলো একটি ভালো লেখার অন্যতম শর্ত। বাংলা হোক বা ইংরেজি—যে ভাষাতেই লেখেন না কেন, সঠিক বানান, ব্যাকরণ এবং বাক্যগঠন বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ হওয়ার পর একাধিকবার পড়ে দেখুন এবং কোনো বানান বা তথ্যগত ভুল আছে কি না যাচাই করুন। আজকাল বিভিন্ন স্পেল চেকার বা গ্রামার চেকার অ্যাপও ব্যবহার করা যায়।
উপস্থাপনার দিন বাড়তি গুরুত্ব
একটি সুন্দরভাবে সাজানো অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাই টাইপ করা, পরিষ্কারভাবে ছাপানো এবং প্রাসঙ্গিক কভার পেজসহ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিন। কভার পেজে আপনার নাম, রোল নম্বর, বিষয়, কোর্স কোড, শিক্ষকের নাম ও তারিখ উল্লেখ করুন। কেউ চাইলে ডিজাইন করা কভার পেজও যুক্ত করতে পারেন, তবে সেটি যেন পেশাদারভাবে হয়।
সময়মতো জমা দিন
বলা হয়ে থাকে, ‘সময়মতো কাজ না করলে ভালো কাজও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তাই যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। বিলম্বে জমা দিলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হবে না, অথবা নম্বর কেটে নেওয়া হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, লেখনশৈলী ও বিশ্লেষণ–ক্ষমতার প্রকাশ।
এটি একজন শিক্ষার্থীকে কেবল পড়ুয়া নয়, বরং গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার পথে আগ্রহী করে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়টিকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেন না বা কীভাবে সঠিকভাবে একটি মানসম্পন্ন অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়, তা জানেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে করা অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীর প্রাপ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত করে। ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির ধাপগুলো তুলে ধরা হলো—
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা
অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পাওয়ার পর সবচেয়ে আগে প্রয়োজন সেটি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া। বিষয়বস্তু কী, কী ধরনের প্রশ্ন রয়েছে, কোন দিকগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে অ্যাসাইনমেন্টের গঠন সঠিক হয় না। তাই শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজন হলে বাড়তি ব্যাখ্যা নিয়ে নিতে হবে।
তথ্যের উৎস হতে হবে নির্ভরযোগ্য
একটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রাণ হচ্ছে তথ্য বা কনটেন্ট। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া একটি অ্যাসাইনমেন্ট কখনোই মানসম্পন্ন হতে পারে না। এ জন্য বই, গবেষণা নিবন্ধ, সরকারি প্রতিবেদন, রেফারেন্সযুক্ত ওয়েবসাইট ও লাইব্রেরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণ গুগল সার্চ দিয়ে মেলে এমন ব্লগ বা অব্যবস্থাপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। তথ্য যাচাই করে ব্যবহার করা একজন দক্ষ শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য।
রূপরেখা বা আউটলাইন তৈরি
অনেকে সরাসরি লেখায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু ভালো লেখার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা খুব জরুরি। এতে লেখার মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে এবং বিষয়বস্তুর গঠন হয় স্পষ্ট। রূপরেখা তিন ভাগে ভাগ করা যায়—ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার। ভূমিকায় বিষয়টি পরিচয় করিয়ে দিন, মূল অংশে বিশ্লেষণ করুন এবং উপসংহারে পুরো লেখার সারসংক্ষেপ ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করুন।
নিজের ভাষায় লেখাই শ্রেয়
তথ্য সংগ্রহ করে হুবহু কপি করে লেখার চেয়ে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই বেশি মূল্যবান। এতে আপনার বিশ্লেষণী ও বোধশক্তির প্রকাশ ঘটে। যেখান থেকে তথ্য নিচ্ছেন, সেখানে ‘উদ্ধৃতি’ চিহ্ন দিয়ে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রয়োজনে পাদটীকা বা রেফারেন্স যুক্ত করতে হবে। প্লেজারিজম বা চুরি করে লেখা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
রেফারেন্সিং ও উদ্ধৃতির ব্যবহার
একটি অ্যাসাইনমেন্টে তথ্য বা মতামতের উৎস জানানো খুব জরুরি। এ জন্য অ্যাসাইনমেন্টের শেষে রেফারেন্স লিস্ট যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক যেই স্টাইল চায় (APA, MLA, Chicago, Harvard ইত্যাদি), সেই অনুসারে রেফারেন্স দিতে হবে। এটি কেবল অ্যাসাইনমেন্টের গঠনগত সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং আপনাকে একজন দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বানান ও ভাষার শুদ্ধতা
ভাষাগত শুদ্ধতা হলো একটি ভালো লেখার অন্যতম শর্ত। বাংলা হোক বা ইংরেজি—যে ভাষাতেই লেখেন না কেন, সঠিক বানান, ব্যাকরণ এবং বাক্যগঠন বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ হওয়ার পর একাধিকবার পড়ে দেখুন এবং কোনো বানান বা তথ্যগত ভুল আছে কি না যাচাই করুন। আজকাল বিভিন্ন স্পেল চেকার বা গ্রামার চেকার অ্যাপও ব্যবহার করা যায়।
উপস্থাপনার দিন বাড়তি গুরুত্ব
একটি সুন্দরভাবে সাজানো অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাই টাইপ করা, পরিষ্কারভাবে ছাপানো এবং প্রাসঙ্গিক কভার পেজসহ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিন। কভার পেজে আপনার নাম, রোল নম্বর, বিষয়, কোর্স কোড, শিক্ষকের নাম ও তারিখ উল্লেখ করুন। কেউ চাইলে ডিজাইন করা কভার পেজও যুক্ত করতে পারেন, তবে সেটি যেন পেশাদারভাবে হয়।
সময়মতো জমা দিন
বলা হয়ে থাকে, ‘সময়মতো কাজ না করলে ভালো কাজও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তাই যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। বিলম্বে জমা দিলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হবে না, অথবা নম্বর কেটে নেওয়া হতে পারে।
সাব্বির হোসেন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, লেখনশৈলী ও বিশ্লেষণ–ক্ষমতার প্রকাশ।
এটি একজন শিক্ষার্থীকে কেবল পড়ুয়া নয়, বরং গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার পথে আগ্রহী করে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়টিকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেন না বা কীভাবে সঠিকভাবে একটি মানসম্পন্ন অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়, তা জানেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে করা অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীর প্রাপ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত করে। ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির ধাপগুলো তুলে ধরা হলো—
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা
অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পাওয়ার পর সবচেয়ে আগে প্রয়োজন সেটি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া। বিষয়বস্তু কী, কী ধরনের প্রশ্ন রয়েছে, কোন দিকগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে অ্যাসাইনমেন্টের গঠন সঠিক হয় না। তাই শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজন হলে বাড়তি ব্যাখ্যা নিয়ে নিতে হবে।
তথ্যের উৎস হতে হবে নির্ভরযোগ্য
একটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রাণ হচ্ছে তথ্য বা কনটেন্ট। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া একটি অ্যাসাইনমেন্ট কখনোই মানসম্পন্ন হতে পারে না। এ জন্য বই, গবেষণা নিবন্ধ, সরকারি প্রতিবেদন, রেফারেন্সযুক্ত ওয়েবসাইট ও লাইব্রেরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণ গুগল সার্চ দিয়ে মেলে এমন ব্লগ বা অব্যবস্থাপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। তথ্য যাচাই করে ব্যবহার করা একজন দক্ষ শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য।
রূপরেখা বা আউটলাইন তৈরি
অনেকে সরাসরি লেখায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু ভালো লেখার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা খুব জরুরি। এতে লেখার মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে এবং বিষয়বস্তুর গঠন হয় স্পষ্ট। রূপরেখা তিন ভাগে ভাগ করা যায়—ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার। ভূমিকায় বিষয়টি পরিচয় করিয়ে দিন, মূল অংশে বিশ্লেষণ করুন এবং উপসংহারে পুরো লেখার সারসংক্ষেপ ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করুন।
নিজের ভাষায় লেখাই শ্রেয়
তথ্য সংগ্রহ করে হুবহু কপি করে লেখার চেয়ে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই বেশি মূল্যবান। এতে আপনার বিশ্লেষণী ও বোধশক্তির প্রকাশ ঘটে। যেখান থেকে তথ্য নিচ্ছেন, সেখানে ‘উদ্ধৃতি’ চিহ্ন দিয়ে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রয়োজনে পাদটীকা বা রেফারেন্স যুক্ত করতে হবে। প্লেজারিজম বা চুরি করে লেখা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
রেফারেন্সিং ও উদ্ধৃতির ব্যবহার
একটি অ্যাসাইনমেন্টে তথ্য বা মতামতের উৎস জানানো খুব জরুরি। এ জন্য অ্যাসাইনমেন্টের শেষে রেফারেন্স লিস্ট যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক যেই স্টাইল চায় (APA, MLA, Chicago, Harvard ইত্যাদি), সেই অনুসারে রেফারেন্স দিতে হবে। এটি কেবল অ্যাসাইনমেন্টের গঠনগত সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং আপনাকে একজন দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বানান ও ভাষার শুদ্ধতা
ভাষাগত শুদ্ধতা হলো একটি ভালো লেখার অন্যতম শর্ত। বাংলা হোক বা ইংরেজি—যে ভাষাতেই লেখেন না কেন, সঠিক বানান, ব্যাকরণ এবং বাক্যগঠন বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ হওয়ার পর একাধিকবার পড়ে দেখুন এবং কোনো বানান বা তথ্যগত ভুল আছে কি না যাচাই করুন। আজকাল বিভিন্ন স্পেল চেকার বা গ্রামার চেকার অ্যাপও ব্যবহার করা যায়।
উপস্থাপনার দিন বাড়তি গুরুত্ব
একটি সুন্দরভাবে সাজানো অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাই টাইপ করা, পরিষ্কারভাবে ছাপানো এবং প্রাসঙ্গিক কভার পেজসহ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিন। কভার পেজে আপনার নাম, রোল নম্বর, বিষয়, কোর্স কোড, শিক্ষকের নাম ও তারিখ উল্লেখ করুন। কেউ চাইলে ডিজাইন করা কভার পেজও যুক্ত করতে পারেন, তবে সেটি যেন পেশাদারভাবে হয়।
সময়মতো জমা দিন
বলা হয়ে থাকে, ‘সময়মতো কাজ না করলে ভালো কাজও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তাই যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। বিলম্বে জমা দিলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হবে না, অথবা নম্বর কেটে নেওয়া হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থীর চিন্তাশক্তি, লেখনশৈলী ও বিশ্লেষণ–ক্ষমতার প্রকাশ।
এটি একজন শিক্ষার্থীকে কেবল পড়ুয়া নয়, বরং গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার পথে আগ্রহী করে তোলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অনেক শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়টিকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দেন না বা কীভাবে সঠিকভাবে একটি মানসম্পন্ন অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হয়, তা জানেন না। ফলে শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে করা অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীর প্রাপ্য নম্বর থেকে বঞ্চিত করে। ভালো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির ধাপগুলো তুলে ধরা হলো—
বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা
অ্যাসাইনমেন্ট হাতে পাওয়ার পর সবচেয়ে আগে প্রয়োজন সেটি ভালোভাবে বুঝে নেওয়া। বিষয়বস্তু কী, কী ধরনের প্রশ্ন রয়েছে, কোন দিকগুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে—এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে অ্যাসাইনমেন্টের গঠন সঠিক হয় না। তাই শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজন হলে বাড়তি ব্যাখ্যা নিয়ে নিতে হবে।
তথ্যের উৎস হতে হবে নির্ভরযোগ্য
একটি অ্যাসাইনমেন্টের প্রাণ হচ্ছে তথ্য বা কনটেন্ট। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া একটি অ্যাসাইনমেন্ট কখনোই মানসম্পন্ন হতে পারে না। এ জন্য বই, গবেষণা নিবন্ধ, সরকারি প্রতিবেদন, রেফারেন্সযুক্ত ওয়েবসাইট ও লাইব্রেরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সাধারণ গুগল সার্চ দিয়ে মেলে এমন ব্লগ বা অব্যবস্থাপনার ওয়েবসাইটের তথ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। তথ্য যাচাই করে ব্যবহার করা একজন দক্ষ শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট্য।
রূপরেখা বা আউটলাইন তৈরি
অনেকে সরাসরি লেখায় ঝাঁপিয়ে পড়েন, কিন্তু ভালো লেখার জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করা খুব জরুরি। এতে লেখার মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে এবং বিষয়বস্তুর গঠন হয় স্পষ্ট। রূপরেখা তিন ভাগে ভাগ করা যায়—ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার। ভূমিকায় বিষয়টি পরিচয় করিয়ে দিন, মূল অংশে বিশ্লেষণ করুন এবং উপসংহারে পুরো লেখার সারসংক্ষেপ ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করুন।
নিজের ভাষায় লেখাই শ্রেয়
তথ্য সংগ্রহ করে হুবহু কপি করে লেখার চেয়ে নিজের ভাষায় উপস্থাপন করাই বেশি মূল্যবান। এতে আপনার বিশ্লেষণী ও বোধশক্তির প্রকাশ ঘটে। যেখান থেকে তথ্য নিচ্ছেন, সেখানে ‘উদ্ধৃতি’ চিহ্ন দিয়ে উল্লেখ করতে হবে এবং প্রয়োজনে পাদটীকা বা রেফারেন্স যুক্ত করতে হবে। প্লেজারিজম বা চুরি করে লেখা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়।
রেফারেন্সিং ও উদ্ধৃতির ব্যবহার
একটি অ্যাসাইনমেন্টে তথ্য বা মতামতের উৎস জানানো খুব জরুরি। এ জন্য অ্যাসাইনমেন্টের শেষে রেফারেন্স লিস্ট যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক যেই স্টাইল চায় (APA, MLA, Chicago, Harvard ইত্যাদি), সেই অনুসারে রেফারেন্স দিতে হবে। এটি কেবল অ্যাসাইনমেন্টের গঠনগত সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং আপনাকে একজন দায়িত্বশীল লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
বানান ও ভাষার শুদ্ধতা
ভাষাগত শুদ্ধতা হলো একটি ভালো লেখার অন্যতম শর্ত। বাংলা হোক বা ইংরেজি—যে ভাষাতেই লেখেন না কেন, সঠিক বানান, ব্যাকরণ এবং বাক্যগঠন বজায় রাখা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ হওয়ার পর একাধিকবার পড়ে দেখুন এবং কোনো বানান বা তথ্যগত ভুল আছে কি না যাচাই করুন। আজকাল বিভিন্ন স্পেল চেকার বা গ্রামার চেকার অ্যাপও ব্যবহার করা যায়।
উপস্থাপনার দিন বাড়তি গুরুত্ব
একটি সুন্দরভাবে সাজানো অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করে। তাই টাইপ করা, পরিষ্কারভাবে ছাপানো এবং প্রাসঙ্গিক কভার পেজসহ অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিন। কভার পেজে আপনার নাম, রোল নম্বর, বিষয়, কোর্স কোড, শিক্ষকের নাম ও তারিখ উল্লেখ করুন। কেউ চাইলে ডিজাইন করা কভার পেজও যুক্ত করতে পারেন, তবে সেটি যেন পেশাদারভাবে হয়।
সময়মতো জমা দিন
বলা হয়ে থাকে, ‘সময়মতো কাজ না করলে ভালো কাজও মূল্যহীন হয়ে পড়ে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তাই যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। বিলম্বে জমা দিলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হবে না, অথবা নম্বর কেটে নেওয়া হতে পারে।
আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২
১০ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১ দিন আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেশ্রেয়া ঘোষ
আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন
লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন
লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
বানানের দিকে খেয়াল রাখুন
লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।
স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন
রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।
কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন
প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।
সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন
লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন
রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।
মক টেস্ট দিন
পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র
আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন
লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন
লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
বানানের দিকে খেয়াল রাখুন
লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।
স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন
রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।
কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন
প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।
সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন
লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন
রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।
মক টেস্ট দিন
পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।
লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৪ মে ২০২৫দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২
১০ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১ দিন আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির দায়েগু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। আধুনিক গবেষণাগার, উন্নত অবকাঠামো ও বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তিটির আওতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। তবে প্রতি সেমিস্টার শেষে শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী সেমিস্টারে বৃত্তি নবায়ন করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি (ডক্টরাল) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর এবং যৌথ মাস্টার্স-পিএইচডি প্রোগ্রামের মেয়াদ চার বছর। যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির অফার থাকতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও স্টাডি প্ল্যান, সুপারিশপত্র (অবশ্যই অধ্যাপকের মাধ্যমে সরাসরি জমা দিতে হবে অথবা সিল করা খামে সংযুক্ত থাকতে হবে), পূর্বে অধ্যয়ন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সনদ, অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষাগত দক্ষতার সনদ, কোরিয়ান ভাষা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকলে ভর্তি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্টের কপি ও জন্মসনদ।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ অক্টোবর ২০২৫।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির দায়েগু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। আধুনিক গবেষণাগার, উন্নত অবকাঠামো ও বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
সুযোগ-সুবিধা
বৃত্তিটির আওতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। তবে প্রতি সেমিস্টার শেষে শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী সেমিস্টারে বৃত্তি নবায়ন করা হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি (ডক্টরাল) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর এবং যৌথ মাস্টার্স-পিএইচডি প্রোগ্রামের মেয়াদ চার বছর। যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির অফার থাকতে হবে।
আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য
আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও স্টাডি প্ল্যান, সুপারিশপত্র (অবশ্যই অধ্যাপকের মাধ্যমে সরাসরি জমা দিতে হবে অথবা সিল করা খামে সংযুক্ত থাকতে হবে), পূর্বে অধ্যয়ন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সনদ, অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষাগত দক্ষতার সনদ, কোরিয়ান ভাষা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকলে ভর্তি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্টের কপি ও জন্মসনদ।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ অক্টোবর ২০২৫।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৪ মে ২০২৫আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১ দিন আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’
এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।
‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৪ মে ২০২৫আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।
সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।
এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে শিক্ষার্থীরা কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানার্জন করেন না, বরং গবেষণা, বিশ্লেষণ ও নানা স্কিল গঠনের সুযোগ পান। এই দক্ষতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি। অ্যাসাইনমেন্ট শুধু পরীক্ষার বিকল্প কিংবা নম্বর তোলার মাধ্যম নয়, বরং এটি একজন শিক্ষার্থী
১৪ মে ২০২৫আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২
১০ ঘণ্টা আগেআজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।
১ দিন আগে