জাবি প্রতিনিধি
এক শিফটে একজন অন্য শিফটে ১০৪ জন মেধা তালিকায়। এভাবেই ফল প্রকাশ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার। এই চরম বৈষম্যকে প্রশ্নপত্রের অসামঞ্জস্য ও মেধার অবমূল্যায়ন বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ডি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
ডি ইউনিটের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০টি শিফটের মধ্যে ৫ম শিফটে মেধা তালিকায় স্থান পায় সর্বোচ্চ ১০৪ জন, যা মোট আসনের ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ৩য় শিফটে সর্বনিম্ন একজন মেধা তালিকায় স্থান পায়, যা মোট আসনের শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রথম শিফটে ১০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ৭ জন, চতুর্থ শিফটে ১৮, ষষ্ঠ শিফটে ২২, সপ্তম শিফটে ৫৩, অষ্টম শিফটে ২৯, নবম শিফটে ৪৯ এবং দশম শিফটে ২৭ জন শিক্ষার্থী স্থান পায়।
এর মধ্যে শুধু মাত্র ৫ম শিফটে মেধা তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্যে করা গেছে। তার মধ্যে মেয়েদের তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছে ৭ জন এবং ছেলেদের তালিকায় ৫ জন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিটি শিফটের পরীক্ষায় প্রায় সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কোনো কোনো শিফটে পরীক্ষা দিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পাচ্ছেন আবার কোনো কোনো শিফট থেকে গুটি কয়েক শিক্ষার্থী চান্স পায়। তা ছাড়া একটি ইউনিটের একাধিক শিফট থাকায় প্রশ্নপত্র সমমানের করা সম্ভব নয়। আর প্রশ্নপত্র ভিন্ন হওয়ায় কারও কাছে তুলনামূলক সহজ আবার কারও কাছে তুলনামূলক কঠিন প্রশ্ন পড়ে। এতে প্রকৃত মেধাবীদের ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলছেন তারা।
ডি ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ সেন তন্ময়। প্রকাশিত ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের শিফট ভিত্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এখন দেখছি শিফট পদ্ধতিতে মারাত্মক বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। যদি শিফট পদ্ধতি রাখা হয় তবে প্রতি শিফটের জন্য আলাদা আসন বণ্টন করা হোক। আমরা দাবি জানাই এ ধরনের বৈষম্যর অবসান করা হোক, প্রকৃত মেধার মূল্য শিক্ষার্থীরা পাক।
বিপুল চন্দ্র নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, একাধিক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ায় কখনোই সমমানের প্রশ্নপত্র তৈরি সম্ভব না। দেখা যায়, এক শিফটে যে প্রশ্ন পড়েছে অন্য শিফটে সে প্রশ্ন পড়েনি। পৃথক শিফটে দুজন দুরকম প্রশ্ন পাওয়ায় কেউ বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে, আবার কেউ তুলনামূলক বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না।
ভর্তি পরীক্ষার এমন ফলাফলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে সমস্যা হয়, তবে এত বেশি সমস্যা হওয়ার তো কথা না। এক শিফট থেকে ১০৪ জন আসবে অন্যদিকে অন্য একটা শিফট থেকে মাত্র ১ জন। এখনো তো ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়নি। শেষ হলে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব কোন শিফট থেকে বেশি আর কোন শিফট থেকে কম আসছে। কীভাবে সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায় সেটা দেখব।
শিক্ষাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে। এ জন্য প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। তাতে বৈষম্য কমবে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকগণ নীতি নির্ধারণ করেন। যাদের অধিকাংশই উপাচার্য ও প্রশাসনের আজ্ঞাবহ। এতে সেবাগ্রহীতাদের কোন মতামত পরোয়া করা হয় না। আমরা অনেক দিন বলার পরেও তারা শুনছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
এর আগে গত ৯ ও ১০ নভেম্বর ১০ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৩২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন মোট ৬৯ হাজার ১২৯ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃতকার্য হয় মোট ১৯ হাজার ১ শত ৭২ জন পরীক্ষার্থী। যেখানে ৩ হাজার ৩০২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৮ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৬৫৪ জন ছাত্রী।
এক শিফটে একজন অন্য শিফটে ১০৪ জন মেধা তালিকায়। এভাবেই ফল প্রকাশ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার। এই চরম বৈষম্যকে প্রশ্নপত্রের অসামঞ্জস্য ও মেধার অবমূল্যায়ন বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ডি ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়।
ডি ইউনিটের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০টি শিফটের মধ্যে ৫ম শিফটে মেধা তালিকায় স্থান পায় সর্বোচ্চ ১০৪ জন, যা মোট আসনের ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ৩য় শিফটে সর্বনিম্ন একজন মেধা তালিকায় স্থান পায়, যা মোট আসনের শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রথম শিফটে ১০ জন, দ্বিতীয় শিফটে ৭ জন, চতুর্থ শিফটে ১৮, ষষ্ঠ শিফটে ২২, সপ্তম শিফটে ৫৩, অষ্টম শিফটে ২৯, নবম শিফটে ৪৯ এবং দশম শিফটে ২৭ জন শিক্ষার্থী স্থান পায়।
এর মধ্যে শুধু মাত্র ৫ম শিফটে মেধা তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি লক্ষ্যে করা গেছে। তার মধ্যে মেয়েদের তালিকায় প্রথম দশজনের মধ্যে রয়েছে ৭ জন এবং ছেলেদের তালিকায় ৫ জন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রতিটি শিফটের পরীক্ষায় প্রায় সমান সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিলেও কোনো কোনো শিফটে পরীক্ষা দিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পাচ্ছেন আবার কোনো কোনো শিফট থেকে গুটি কয়েক শিক্ষার্থী চান্স পায়। তা ছাড়া একটি ইউনিটের একাধিক শিফট থাকায় প্রশ্নপত্র সমমানের করা সম্ভব নয়। আর প্রশ্নপত্র ভিন্ন হওয়ায় কারও কাছে তুলনামূলক সহজ আবার কারও কাছে তুলনামূলক কঠিন প্রশ্ন পড়ে। এতে প্রকৃত মেধাবীদের ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলছেন তারা।
ডি ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী সৌরভ সেন তন্ময়। প্রকাশিত ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের শিফট ভিত্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এখন দেখছি শিফট পদ্ধতিতে মারাত্মক বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে আমাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। যদি শিফট পদ্ধতি রাখা হয় তবে প্রতি শিফটের জন্য আলাদা আসন বণ্টন করা হোক। আমরা দাবি জানাই এ ধরনের বৈষম্যর অবসান করা হোক, প্রকৃত মেধার মূল্য শিক্ষার্থীরা পাক।
বিপুল চন্দ্র নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, একাধিক শিফটে পরীক্ষা নেওয়ায় কখনোই সমমানের প্রশ্নপত্র তৈরি সম্ভব না। দেখা যায়, এক শিফটে যে প্রশ্ন পড়েছে অন্য শিফটে সে প্রশ্ন পড়েনি। পৃথক শিফটে দুজন দুরকম প্রশ্ন পাওয়ায় কেউ বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে, আবার কেউ তুলনামূলক বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে না।
ভর্তি পরীক্ষার এমন ফলাফলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে সমস্যা হয়, তবে এত বেশি সমস্যা হওয়ার তো কথা না। এক শিফট থেকে ১০৪ জন আসবে অন্যদিকে অন্য একটা শিফট থেকে মাত্র ১ জন। এখনো তো ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়নি। শেষ হলে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখব কোন শিফট থেকে বেশি আর কোন শিফট থেকে কম আসছে। কীভাবে সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যায় সেটা দেখব।
শিক্ষাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি শিফট পদ্ধতি বাদ দিয়ে একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে। এ জন্য প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন শহরে পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে। তাতে বৈষম্য কমবে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকগণ নীতি নির্ধারণ করেন। যাদের অধিকাংশই উপাচার্য ও প্রশাসনের আজ্ঞাবহ। এতে সেবাগ্রহীতাদের কোন মতামত পরোয়া করা হয় না। আমরা অনেক দিন বলার পরেও তারা শুনছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
এর আগে গত ৯ ও ১০ নভেম্বর ১০ শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৩২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন মোট ৬৯ হাজার ১২৯ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৫ হাজার ৫৯৪ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৃতকার্য হয় মোট ১৯ হাজার ১ শত ৭২ জন পরীক্ষার্থী। যেখানে ৩ হাজার ৩০২ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৮ জন ছাত্র ও ১ হাজার ৬৫৪ জন ছাত্রী।
নারী নির্যাতন ও হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে এ আয়োজন করা হয়।
৪৪ মিনিট আগেবর্তমানে অনলাইনে ইংরেজি শেখানো জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে অন্যতম ইমাম হোসেন। ছোটবেলা থেকে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতি ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। কঠোর পরিশ্রমী এবং হাসি-খুশি স্বভাবের ইমাম হোসেনের স্বপ্ন ছিলদেশের শিক্ষার্থীদের শুদ্ধ উচ্চারণে সাবলীল ভাষায় ইংরেজি শেখাবেন।
১১ ঘণ্টা আগেনারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
১ দিন আগেসিজিপিএ স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়—এমন ধারণা অনেকেরই। তবে অধ্যবসায়, একাগ্রতা আর সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সীমাবদ্ধতাও জয় করা সম্ভব। তারই উদাহরণ ববির সুব্রত। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি, যেখানে তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯৮।
১ দিন আগে