আনিসুল ইসলাম নাঈম

তন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এরপর দেশেই ‘থেরাপ বিডি লিমিটেড’ কোম্পানিতে ২ বছর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে গুগলে আবেদন করেন এবং পাঁচ ধাপের ইন্টারভিউতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে গুগলে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ব্রাঞ্চে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি গুগল গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের অপারেশনস লাইফ সাইকেল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে কাজ করছেন। ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
প্রোগ্রামিং শুরু যেভাবে
প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জেনেছি অল্প বয়সেই। হাইস্কুলে পড়ার সময় বাবা জাভা প্রোগ্রামিংয়ের একটি বই উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন আগে প্রবলেম সলভিং সম্পর্কে জানতে পারি। ভর্তি পরীক্ষার পর চুয়েটের এক ভাই একটি ফ্রি প্রোগ্রামিং কোর্স নিয়েছিলেন। সেই কোর্স থেকে প্রথমবারের মতো প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বিভাগের সাইফুল ইসলাম স্যারের হাতে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি। তাঁর উৎসাহেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করি।
ভোরবেলায় উঠেই প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ইয়ার থেকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং আর করা হয়নি। পরে পূর্ণকালীন চাকরিতে ঢুকে গেলে প্রস্তুতির জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে ভোর ৫টায় উঠে প্রস্তুতি নিতাম। অফিস সময়ের আগপর্যন্ত অনুশীলন চলত তিন থেকে চার ঘণ্টা। আর রাতে ঘুমানোর আগেও ঘণ্টাখানেক নতুন টেকনিক শেখার চেষ্টা করতাম।
গুগলে আছে যত পদ
গুগলে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ আছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, মার্কেটিং, সেলস, প্রজেক্ট ম্যানেজার—এসব রোলের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। গুগলের জব সাইটে সব
ধরনের ওপেন পজিশন সম্পর্কে
তথ্য পাওয়া যাবে।
রেফারেলে মিলতে পারে ইন্টারভিউ
গুগলের জব সাইট থেকে সরাসরি আবেদন করা যায়। আবার লিংকড-ইনে গুগল রিক্রুটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও আবেদন করা যায়। তবে গুগলে আবেদন করার জন্য অন্য কোনো গুগলারের রেফারেল থাকলে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সুযোগ কিছুটা বেড়ে যায়। পরিচিত কোনো গুগলার যদি থাকে, যারা আপনার স্কিল সম্পর্কে জানে। তাদের অনুরোধ করা যেতে পারে রেফার করার জন্য। এই রেফারাল শুধু ইন্টারভিউ কল পেতেই খানিকটা সাহায্য করবে। একবার ইন্টারভিউ কল পেয়ে গেলে তারপর নিজের ইন্টারভিউ পারফরম্যান্স সবকিছু নির্ধারণ করবে। তখন রেফারেল আছে কি না, সেটা দেখবে না।
ইন্টারভিউর প্রক্রিয়া যেভাবে
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রোলের জন্য বেশ কয়েক ধাপে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। শুরু হয় ফোন ইন্টারভিউ দিয়ে। ফোন ইন্টারভিউ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারলে তারপর হয় ভার্চুয়াল অনসাইট রাউন্ড। এই রাউন্ডও অনেকটা ফোন ইন্টারভিউর মতোই, কিন্তু এই রাউন্ডে পরপর তিন থেকে পাঁচটি ইন্টারভিউ হয়। প্রতি ইন্টারভিউতে আলাদা ইন্টারভিউয়ার থাকে, আর মার্কিংও হয় আলাদাভাবে। এর মধ্যে একটা ইন্টারভিউ একটু আলাদা হয়। সেটাকে বলে গুগলিনেস রাউন্ড। এখানে ক্যান্ডিডেটের লিডারশিপ, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুধু এই রাউন্ড ছাড়া বাকি সব রাউন্ডেই নেওয়া হয় কোডিং টেস্ট। এগুলোর রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যত সময় লাগতে পারে
ইন্টারভিউগুলো সাধারণত এক মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে। ইন্টারভিউ রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে তারপর আসে টিম ম্যাচিং পর্ব। বিভিন্ন টিমের সঙ্গে কথা বলে নিজের ও টিমের প্রেফারেন্স ম্যাচ করলে তখন অফার লেটার পাঠানো হয়। কিন্তু অফার লেটার পাওয়ার পরেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমার অফার লেটার পাওয়া থেকে ফাইনালি জয়েন করতে ছয় থেকে সাত মাস লেগেছিল।
যাদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
বাবা-মা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেননি। নিজের সিদ্ধান্ত সব সময় নিজে নিয়েছি। এ জন্য ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে পেরেছি। বাবা-মা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না,
দক্ষতার প্রমাণও দিতে হবে। প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে ভালো রেটিং, ভালো ভালো প্রজেক্ট, কোম্পানিতে ভালো কাজের দক্ষতা—এসবই প্রমাণ হিসেবে কাজে দেয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্য থাকলে নিজেকে প্রবলেম সলভিং ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য ছাত্র অবস্থায় কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে ফোকাস দিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টারভিউতেও আসলে প্রবলেম সলভিং করতে হয়। কিন্তু প্রোগ্রামিং কমপিটিশনের সঙ্গে পার্থক্য হলো, এখানে শুধু প্রবলেম সলভ করলেই হয় না, প্রবলেম থেকে সলিউশনে কীভাবে পৌঁছানো হয়েছে, পুরো প্রসেসটা ইন্টারভিউতে ক্লিয়ার করতে হয়। সমাধান দ্রুত হলেই হবে না, কোডের কোয়ালিটিও ভালো হতে হবে। আর ইন্টারভিউতে যোগাযোগের দক্ষতাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে কথাবার্তা বলার দক্ষতা থাকা জরুরি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

তন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এরপর দেশেই ‘থেরাপ বিডি লিমিটেড’ কোম্পানিতে ২ বছর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে গুগলে আবেদন করেন এবং পাঁচ ধাপের ইন্টারভিউতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে গুগলে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ব্রাঞ্চে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি গুগল গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের অপারেশনস লাইফ সাইকেল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে কাজ করছেন। ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
প্রোগ্রামিং শুরু যেভাবে
প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জেনেছি অল্প বয়সেই। হাইস্কুলে পড়ার সময় বাবা জাভা প্রোগ্রামিংয়ের একটি বই উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন আগে প্রবলেম সলভিং সম্পর্কে জানতে পারি। ভর্তি পরীক্ষার পর চুয়েটের এক ভাই একটি ফ্রি প্রোগ্রামিং কোর্স নিয়েছিলেন। সেই কোর্স থেকে প্রথমবারের মতো প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বিভাগের সাইফুল ইসলাম স্যারের হাতে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি। তাঁর উৎসাহেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করি।
ভোরবেলায় উঠেই প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ইয়ার থেকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং আর করা হয়নি। পরে পূর্ণকালীন চাকরিতে ঢুকে গেলে প্রস্তুতির জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে ভোর ৫টায় উঠে প্রস্তুতি নিতাম। অফিস সময়ের আগপর্যন্ত অনুশীলন চলত তিন থেকে চার ঘণ্টা। আর রাতে ঘুমানোর আগেও ঘণ্টাখানেক নতুন টেকনিক শেখার চেষ্টা করতাম।
গুগলে আছে যত পদ
গুগলে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ আছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, মার্কেটিং, সেলস, প্রজেক্ট ম্যানেজার—এসব রোলের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। গুগলের জব সাইটে সব
ধরনের ওপেন পজিশন সম্পর্কে
তথ্য পাওয়া যাবে।
রেফারেলে মিলতে পারে ইন্টারভিউ
গুগলের জব সাইট থেকে সরাসরি আবেদন করা যায়। আবার লিংকড-ইনে গুগল রিক্রুটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও আবেদন করা যায়। তবে গুগলে আবেদন করার জন্য অন্য কোনো গুগলারের রেফারেল থাকলে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সুযোগ কিছুটা বেড়ে যায়। পরিচিত কোনো গুগলার যদি থাকে, যারা আপনার স্কিল সম্পর্কে জানে। তাদের অনুরোধ করা যেতে পারে রেফার করার জন্য। এই রেফারাল শুধু ইন্টারভিউ কল পেতেই খানিকটা সাহায্য করবে। একবার ইন্টারভিউ কল পেয়ে গেলে তারপর নিজের ইন্টারভিউ পারফরম্যান্স সবকিছু নির্ধারণ করবে। তখন রেফারেল আছে কি না, সেটা দেখবে না।
ইন্টারভিউর প্রক্রিয়া যেভাবে
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রোলের জন্য বেশ কয়েক ধাপে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। শুরু হয় ফোন ইন্টারভিউ দিয়ে। ফোন ইন্টারভিউ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারলে তারপর হয় ভার্চুয়াল অনসাইট রাউন্ড। এই রাউন্ডও অনেকটা ফোন ইন্টারভিউর মতোই, কিন্তু এই রাউন্ডে পরপর তিন থেকে পাঁচটি ইন্টারভিউ হয়। প্রতি ইন্টারভিউতে আলাদা ইন্টারভিউয়ার থাকে, আর মার্কিংও হয় আলাদাভাবে। এর মধ্যে একটা ইন্টারভিউ একটু আলাদা হয়। সেটাকে বলে গুগলিনেস রাউন্ড। এখানে ক্যান্ডিডেটের লিডারশিপ, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুধু এই রাউন্ড ছাড়া বাকি সব রাউন্ডেই নেওয়া হয় কোডিং টেস্ট। এগুলোর রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যত সময় লাগতে পারে
ইন্টারভিউগুলো সাধারণত এক মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে। ইন্টারভিউ রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে তারপর আসে টিম ম্যাচিং পর্ব। বিভিন্ন টিমের সঙ্গে কথা বলে নিজের ও টিমের প্রেফারেন্স ম্যাচ করলে তখন অফার লেটার পাঠানো হয়। কিন্তু অফার লেটার পাওয়ার পরেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমার অফার লেটার পাওয়া থেকে ফাইনালি জয়েন করতে ছয় থেকে সাত মাস লেগেছিল।
যাদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
বাবা-মা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেননি। নিজের সিদ্ধান্ত সব সময় নিজে নিয়েছি। এ জন্য ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে পেরেছি। বাবা-মা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না,
দক্ষতার প্রমাণও দিতে হবে। প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে ভালো রেটিং, ভালো ভালো প্রজেক্ট, কোম্পানিতে ভালো কাজের দক্ষতা—এসবই প্রমাণ হিসেবে কাজে দেয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্য থাকলে নিজেকে প্রবলেম সলভিং ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য ছাত্র অবস্থায় কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে ফোকাস দিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টারভিউতেও আসলে প্রবলেম সলভিং করতে হয়। কিন্তু প্রোগ্রামিং কমপিটিশনের সঙ্গে পার্থক্য হলো, এখানে শুধু প্রবলেম সলভ করলেই হয় না, প্রবলেম থেকে সলিউশনে কীভাবে পৌঁছানো হয়েছে, পুরো প্রসেসটা ইন্টারভিউতে ক্লিয়ার করতে হয়। সমাধান দ্রুত হলেই হবে না, কোডের কোয়ালিটিও ভালো হতে হবে। আর ইন্টারভিউতে যোগাযোগের দক্ষতাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে কথাবার্তা বলার দক্ষতা থাকা জরুরি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
আনিসুল ইসলাম নাঈম

তন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এরপর দেশেই ‘থেরাপ বিডি লিমিটেড’ কোম্পানিতে ২ বছর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে গুগলে আবেদন করেন এবং পাঁচ ধাপের ইন্টারভিউতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে গুগলে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ব্রাঞ্চে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি গুগল গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের অপারেশনস লাইফ সাইকেল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে কাজ করছেন। ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
প্রোগ্রামিং শুরু যেভাবে
প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জেনেছি অল্প বয়সেই। হাইস্কুলে পড়ার সময় বাবা জাভা প্রোগ্রামিংয়ের একটি বই উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন আগে প্রবলেম সলভিং সম্পর্কে জানতে পারি। ভর্তি পরীক্ষার পর চুয়েটের এক ভাই একটি ফ্রি প্রোগ্রামিং কোর্স নিয়েছিলেন। সেই কোর্স থেকে প্রথমবারের মতো প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বিভাগের সাইফুল ইসলাম স্যারের হাতে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি। তাঁর উৎসাহেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করি।
ভোরবেলায় উঠেই প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ইয়ার থেকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং আর করা হয়নি। পরে পূর্ণকালীন চাকরিতে ঢুকে গেলে প্রস্তুতির জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে ভোর ৫টায় উঠে প্রস্তুতি নিতাম। অফিস সময়ের আগপর্যন্ত অনুশীলন চলত তিন থেকে চার ঘণ্টা। আর রাতে ঘুমানোর আগেও ঘণ্টাখানেক নতুন টেকনিক শেখার চেষ্টা করতাম।
গুগলে আছে যত পদ
গুগলে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ আছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, মার্কেটিং, সেলস, প্রজেক্ট ম্যানেজার—এসব রোলের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। গুগলের জব সাইটে সব
ধরনের ওপেন পজিশন সম্পর্কে
তথ্য পাওয়া যাবে।
রেফারেলে মিলতে পারে ইন্টারভিউ
গুগলের জব সাইট থেকে সরাসরি আবেদন করা যায়। আবার লিংকড-ইনে গুগল রিক্রুটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও আবেদন করা যায়। তবে গুগলে আবেদন করার জন্য অন্য কোনো গুগলারের রেফারেল থাকলে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সুযোগ কিছুটা বেড়ে যায়। পরিচিত কোনো গুগলার যদি থাকে, যারা আপনার স্কিল সম্পর্কে জানে। তাদের অনুরোধ করা যেতে পারে রেফার করার জন্য। এই রেফারাল শুধু ইন্টারভিউ কল পেতেই খানিকটা সাহায্য করবে। একবার ইন্টারভিউ কল পেয়ে গেলে তারপর নিজের ইন্টারভিউ পারফরম্যান্স সবকিছু নির্ধারণ করবে। তখন রেফারেল আছে কি না, সেটা দেখবে না।
ইন্টারভিউর প্রক্রিয়া যেভাবে
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রোলের জন্য বেশ কয়েক ধাপে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। শুরু হয় ফোন ইন্টারভিউ দিয়ে। ফোন ইন্টারভিউ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারলে তারপর হয় ভার্চুয়াল অনসাইট রাউন্ড। এই রাউন্ডও অনেকটা ফোন ইন্টারভিউর মতোই, কিন্তু এই রাউন্ডে পরপর তিন থেকে পাঁচটি ইন্টারভিউ হয়। প্রতি ইন্টারভিউতে আলাদা ইন্টারভিউয়ার থাকে, আর মার্কিংও হয় আলাদাভাবে। এর মধ্যে একটা ইন্টারভিউ একটু আলাদা হয়। সেটাকে বলে গুগলিনেস রাউন্ড। এখানে ক্যান্ডিডেটের লিডারশিপ, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুধু এই রাউন্ড ছাড়া বাকি সব রাউন্ডেই নেওয়া হয় কোডিং টেস্ট। এগুলোর রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যত সময় লাগতে পারে
ইন্টারভিউগুলো সাধারণত এক মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে। ইন্টারভিউ রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে তারপর আসে টিম ম্যাচিং পর্ব। বিভিন্ন টিমের সঙ্গে কথা বলে নিজের ও টিমের প্রেফারেন্স ম্যাচ করলে তখন অফার লেটার পাঠানো হয়। কিন্তু অফার লেটার পাওয়ার পরেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমার অফার লেটার পাওয়া থেকে ফাইনালি জয়েন করতে ছয় থেকে সাত মাস লেগেছিল।
যাদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
বাবা-মা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেননি। নিজের সিদ্ধান্ত সব সময় নিজে নিয়েছি। এ জন্য ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে পেরেছি। বাবা-মা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না,
দক্ষতার প্রমাণও দিতে হবে। প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে ভালো রেটিং, ভালো ভালো প্রজেক্ট, কোম্পানিতে ভালো কাজের দক্ষতা—এসবই প্রমাণ হিসেবে কাজে দেয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্য থাকলে নিজেকে প্রবলেম সলভিং ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য ছাত্র অবস্থায় কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে ফোকাস দিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টারভিউতেও আসলে প্রবলেম সলভিং করতে হয়। কিন্তু প্রোগ্রামিং কমপিটিশনের সঙ্গে পার্থক্য হলো, এখানে শুধু প্রবলেম সলভ করলেই হয় না, প্রবলেম থেকে সলিউশনে কীভাবে পৌঁছানো হয়েছে, পুরো প্রসেসটা ইন্টারভিউতে ক্লিয়ার করতে হয়। সমাধান দ্রুত হলেই হবে না, কোডের কোয়ালিটিও ভালো হতে হবে। আর ইন্টারভিউতে যোগাযোগের দক্ষতাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে কথাবার্তা বলার দক্ষতা থাকা জরুরি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

তন্ময় কৃষ্ণ দাসের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এরপর দেশেই ‘থেরাপ বিডি লিমিটেড’ কোম্পানিতে ২ বছর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করেন। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে গুগলে আবেদন করেন এবং পাঁচ ধাপের ইন্টারভিউতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে গুগলে ‘সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ব্রাঞ্চে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি গুগল গ্লোবাল নেটওয়ার্কিংয়ের অপারেশনস লাইফ সাইকেল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে কাজ করছেন। ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
প্রোগ্রামিং শুরু যেভাবে
প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জেনেছি অল্প বয়সেই। হাইস্কুলে পড়ার সময় বাবা জাভা প্রোগ্রামিংয়ের একটি বই উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন আগে প্রবলেম সলভিং সম্পর্কে জানতে পারি। ভর্তি পরীক্ষার পর চুয়েটের এক ভাই একটি ফ্রি প্রোগ্রামিং কোর্স নিয়েছিলেন। সেই কোর্স থেকে প্রথমবারের মতো প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ বাড়ে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর বিভাগের সাইফুল ইসলাম স্যারের হাতে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি। তাঁর উৎসাহেই প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করি।
ভোরবেলায় উঠেই প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ইয়ার থেকে কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং আর করা হয়নি। পরে পূর্ণকালীন চাকরিতে ঢুকে গেলে প্রস্তুতির জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে ভোর ৫টায় উঠে প্রস্তুতি নিতাম। অফিস সময়ের আগপর্যন্ত অনুশীলন চলত তিন থেকে চার ঘণ্টা। আর রাতে ঘুমানোর আগেও ঘণ্টাখানেক নতুন টেকনিক শেখার চেষ্টা করতাম।
গুগলে আছে যত পদ
গুগলে অনেক ধরনের চাকরির সুযোগ আছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সাইট রিলায়েবিলিটি ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, মার্কেটিং, সেলস, প্রজেক্ট ম্যানেজার—এসব রোলের জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। গুগলের জব সাইটে সব
ধরনের ওপেন পজিশন সম্পর্কে
তথ্য পাওয়া যাবে।
রেফারেলে মিলতে পারে ইন্টারভিউ
গুগলের জব সাইট থেকে সরাসরি আবেদন করা যায়। আবার লিংকড-ইনে গুগল রিক্রুটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও আবেদন করা যায়। তবে গুগলে আবেদন করার জন্য অন্য কোনো গুগলারের রেফারেল থাকলে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সুযোগ কিছুটা বেড়ে যায়। পরিচিত কোনো গুগলার যদি থাকে, যারা আপনার স্কিল সম্পর্কে জানে। তাদের অনুরোধ করা যেতে পারে রেফার করার জন্য। এই রেফারাল শুধু ইন্টারভিউ কল পেতেই খানিকটা সাহায্য করবে। একবার ইন্টারভিউ কল পেয়ে গেলে তারপর নিজের ইন্টারভিউ পারফরম্যান্স সবকিছু নির্ধারণ করবে। তখন রেফারেল আছে কি না, সেটা দেখবে না।
ইন্টারভিউর প্রক্রিয়া যেভাবে
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রোলের জন্য বেশ কয়েক ধাপে ইন্টারভিউ হয়ে থাকে। শুরু হয় ফোন ইন্টারভিউ দিয়ে। ফোন ইন্টারভিউ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারলে তারপর হয় ভার্চুয়াল অনসাইট রাউন্ড। এই রাউন্ডও অনেকটা ফোন ইন্টারভিউর মতোই, কিন্তু এই রাউন্ডে পরপর তিন থেকে পাঁচটি ইন্টারভিউ হয়। প্রতি ইন্টারভিউতে আলাদা ইন্টারভিউয়ার থাকে, আর মার্কিংও হয় আলাদাভাবে। এর মধ্যে একটা ইন্টারভিউ একটু আলাদা হয়। সেটাকে বলে গুগলিনেস রাউন্ড। এখানে ক্যান্ডিডেটের লিডারশিপ, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি দক্ষতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। শুধু এই রাউন্ড ছাড়া বাকি সব রাউন্ডেই নেওয়া হয় কোডিং টেস্ট। এগুলোর রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যত সময় লাগতে পারে
ইন্টারভিউগুলো সাধারণত এক মাসের মধ্যেই হয়ে যায়। এরপর প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে। ইন্টারভিউ রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলে তারপর আসে টিম ম্যাচিং পর্ব। বিভিন্ন টিমের সঙ্গে কথা বলে নিজের ও টিমের প্রেফারেন্স ম্যাচ করলে তখন অফার লেটার পাঠানো হয়। কিন্তু অফার লেটার পাওয়ার পরেও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক, ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ইত্যাদি পেতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আমার অফার লেটার পাওয়া থেকে ফাইনালি জয়েন করতে ছয় থেকে সাত মাস লেগেছিল।
যাদের অনুপ্রেরণা পেয়েছি
বাবা-মা আমার ওপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেননি। নিজের সিদ্ধান্ত সব সময় নিজে নিয়েছি। এ জন্য ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নিতে পেরেছি। বাবা-মা সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
শুধু দক্ষতা থাকলেই হবে না,
দক্ষতার প্রমাণও দিতে হবে। প্রোগ্রামিং কম্পিটিশনে ভালো রেটিং, ভালো ভালো প্রজেক্ট, কোম্পানিতে ভালো কাজের দক্ষতা—এসবই প্রমাণ হিসেবে কাজে দেয়। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার লক্ষ্য থাকলে নিজেকে প্রবলেম সলভিং ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ জন্য ছাত্র অবস্থায় কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিংয়ে ফোকাস দিতে হবে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টারভিউতেও আসলে প্রবলেম সলভিং করতে হয়। কিন্তু প্রোগ্রামিং কমপিটিশনের সঙ্গে পার্থক্য হলো, এখানে শুধু প্রবলেম সলভ করলেই হয় না, প্রবলেম থেকে সলিউশনে কীভাবে পৌঁছানো হয়েছে, পুরো প্রসেসটা ইন্টারভিউতে ক্লিয়ার করতে হয়। সমাধান দ্রুত হলেই হবে না, কোডের কোয়ালিটিও ভালো হতে হবে। আর ইন্টারভিউতে যোগাযোগের দক্ষতাও গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে কথাবার্তা বলার দক্ষতা থাকা জরুরি।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মিডিয়া ট্রান্সফর্মড: বাংলাদেশ অ্যাট এ ক্রসরোড’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিডব্লিউ একাডেমির প্রজেক্ট ম্যানেজার মিস জিমি আমির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ড. কারমেন জিটা লামাগনা, এআইইউবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহমান, ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের (এফএএসএস) ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, এমএমসি বিভাগের উপদেষ্টা ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গণমাধ্যম পেশাজীবীরা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন এমএমসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মিস রানি এলেন ভি রামোস। দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা এবং একাডেমিক পেপার সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২৪ অক্টোবর কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।

ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
২৬ জুন ২০২৩
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলিয়ে মোট ৩৮ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী। আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৩ জন, যার মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৬৪০ জন ছাত্র ও ৪ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষার ফল বাউবির ওয়েবসাইট (result.bou.ac.bd) থেকে জানা যাবে।

ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
২৬ জুন ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেআব্দুর রাজ্জাক খান

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২৫-এ অংশ নেন আমিমুল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ তরুণ নেতাকে নিয়ে আয়োজিত এই সামিটে আলোচনা হয় নেতৃত্ব, টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক পরিবর্তন ও বৈশ্বিক সহযোগিতা নিয়ে। এই সম্মেলন ছিল ফুল ফান্ডেড। সামিটে অংশগ্রহণ করা তরুণদের সব ব্যয় বহন করেছে আয়োজক সংস্থা।
টোকিও থেকে বিশ্বমঞ্চে
আমিমুলের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পেয়েছেন ৮০ শতাংশ স্কলারশিপ, পাশাপাশি জাপান সরকারের এক বছরের বৃত্তিও পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে। পাশাপাশি জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্কে তিনি মার্কেটিং ম্যানেজার পদেও কর্মরত।
পরিবর্তনের পথে নেতৃত্ব
নিজের যাত্রা নিয়ে আমিমুল বলেন, ‘আমি এই সুযোগ পেয়েছি যুব ক্ষমতায়নমূলক কাজের জন্য, যা আমি অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর সঙ্গে করে আসছি। আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারব না জানি, তাই আমি অন্যদের অনুপ্রাণিত করছি, যাতে তারাও পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসে।’

তাঁর নেতৃত্বে প্রতিবছর আয়োজিত হয় অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ ফেলোশিপ প্রোগ্রাম। যেখানে তরুণদের শেখানো হয় নেতৃত্ব, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও সামাজিক প্রভাব তৈরির দক্ষতা। পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশের প্রায় ৫০০ তরুণ।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
যুবসমাজের জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে আমিমুল পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড’। এটি ছিল তরুণ নেতৃত্ব এবং সামাজিক প্রভাব তৈরির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।
অনুপ্রেরণার বার্তা
দক্ষিণ আফ্রিকার সামিটে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও দৃঢ় করেছে। তিনি বলেন, ‘এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুঝেছি, পৃথিবীর প্রত্যেক তরুণই পরিবর্তনের বাহক হতে পারে। আমাদের চিন্তা, কাজ আর সহযোগিতার মাধ্যমে গড়ে উঠতে পারে এক সুন্দর, টেকসই ভবিষ্যৎ।’

ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
২৬ জুন ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেনওসাদ আল সাইম

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধের ঝুঁকি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং, ভুয়া আইডি থেকে অপপ্রচার, অনলাইন প্রতারণা কিংবা ডিপফেক ভিডিও—সবকিছু মিলিয়ে এখন সাইবার অপরাধ এক বড় সামাজিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
সাইবার এইড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ডিপফেক ও এআইনির্ভর অপরাধের হার এখন ২৩ শতাংশের বেশি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাকিং ২১ শতাংশ, ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অপপ্রচার ১৫ শতাংশ, ই-কমার্স প্রতারণা ১৫ শতাংশ এবং অনলাইন হুমকি ১১ শতাংশ। ভুক্তভোগীদের প্রায় ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮-৩০ বছরের মধ্যে, তাঁদের ৫৯ শতাংশই নারী।
অধিকাংশ ভুক্তভোগী জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে। জরিপে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অভিযোগ দাখিলের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞ এবং যাঁরা অভিযোগ করেন, তাঁদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনি প্রতিকার পান। ফলে সচেতনতার অভাব ও আইনি কাঠামোর সীমাবদ্ধতায় সাইবার নিরাপত্তা এখন দেশের বড় এক চ্যালেঞ্জ।
এই বাস্তবতায় এগিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত চৌধুরী। ২০২২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাইবার এইড বাংলাদেশ’, যা সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের আইনি সহায়তা এবং মানসিক সাপোর্ট দেয়। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সংগঠনটি দেশে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে।
আরাফাত বলেন, ‘সাইবার অপরাধ শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, সামাজিক মর্যাদাহানির কারণও। কিন্তু বেশির ভাগ ভুক্তভোগী ভয় বা লজ্জায় মুখ খুলতে চান না।’ সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ১ হাজার ৭৬১ জন এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রায়
৪ হাজার মানুষ সাইবার এইডের সহায়তা পেয়েছেন। সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই নারী। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে ব্ল্যাকমেল ও ই-কমার্স প্রতারণা-সংক্রান্ত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান সুমনা বলেন, ‘একজন আমার ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখন সাইবার এইডে যোগাযোগ করি। শুধু আইনি সহায়তাই নয়; মানসিকভাবেও তারা পাশে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘অনলাইনে একটি পেজ থেকে আইফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলাম। সাইবার এইডের সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ করতে পারি। এখন অন্তত জানি, প্রতারণার শিকার হলে চুপ করে না থেকে লড়াই করা যায়।’
শুধু আইনি সহায়তা নয়, সচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে সংগঠনটি। এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬টির বেশি সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। অনলাইনে ‘বেসিক সাইবার লিটারেসি’, ‘সাইবার স্পেস সিকিউরিটি’ ও ‘ডিজিটাল ফরেনসিক’ কোর্স চালু করেছে। ভবিষ্যতে চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে থাকবে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট, এআইনির্ভর নিরাপত্তা নির্দেশনা এবং দ্রুত অভিযোগ দাখিলের সুবিধা।
ভুক্তভোগীরা হটলাইন, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অভিযোগ করলে সাইবার এইড বাংলাদেশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ও সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
সাইবার অপরাধ বাড়ার পেছনে আরাফাত দুটি বড় কারণ দেখছেন। সেগুলো হলো সচেতনতার অভাব এবং আইনগত সীমাবদ্ধতা। তাঁর মতে, বেশির ভাগ সাইবার অপরাধ জামিনযোগ্য হওয়ায় অপরাধীদের ভয় কম। আবার ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।
আরাফাতের বিশ্বাস, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা চাই তরুণেরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং প্রযুক্তির নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুক।’
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল বলেন, সাইবার এইড বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সাইবার ক্রাইম ভিকটিমদের আইনি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সাইবার ক্রাইম ভুক্তভোগীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানে এটি অনন্য ও কার্যকরী উদ্যোগ।

ছয় মাস ধরে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন অফার লেটার পেলাম, নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্টুডেন্ট অবস্থায় সিনিয়রদের দেখতাম বিগ টেক কোম্পানিতে যেতে, তখনো ভাবতে পারিনি, আমি নিজে কখনো যাব।
২৬ জুন ২০২৩
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন (এমএমসি) বিভাগ আয়োজিত ‘১০ম কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম এডুকেটরস নেটওয়ার্ক (সিজেন) কনফারেন্স ২০২৫’ ২৪ ও ২৫ অক্টোবর এআইইউবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিডব্লিউ একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দ
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৫-এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাবিবুল্যাহ মাহামুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের তরুণেরা যখন পরিবর্তনের স্বপ্নে ভবিষ্যৎ গড়ছেন, তখন সেই স্বপ্নবাজদের সারিতে বাংলাদেশের তরুণ আমিমুল এহসান খান যোগ করেছেন এক অনন্য অধ্যায়। সম্প্রতি তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’ হিসেবে। বিশ্বের ৫০ জন তরুণের মধ্য থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগে