নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন সিলেটের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আতিকুর রহমান রাহেল গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত থেকে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান রাহেলের তিন ভাই, তিন বোন। বোনদের বিয়ে দেওয়ার পর ভাইয়েরা একই বাড়িতে পৃথক বসবাস করছিলেন। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাঁদের বাবাকে নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন। কিন্তু মেজো ছেলে রাহেল বাড়ির দক্ষিণে ৩ শতক জমি তাঁর নামে লিখে নিতে বাবাকে চাপ সৃষ্টি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে রাহেল তাঁর বাবাকে নিয়ে বাড়ির দক্ষিণে খেতের জমির পাশে বাগানে গাছপালা কাটতে নিয়ে যান। সঙ্গে মা মিনারা বেগম পিছু নেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে রাহেল তাঁর বাবাকে জমি লিখে নিতে চাপ দেন। এতে মা মিনারা বাধা দিলে আসামির হাতে থাকা কোদাল দিয়ে মাকে কোপ মারতে যান। তৎক্ষণাৎ তাঁর বাবা এগিয়ে এলে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এরপর মা মিনারা এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসার অগ্রগতি না হওয়ায় মিনারাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই দিন পরই আঘাতজনিত কারণে তিনিও মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতদের আরেক ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ মার্চ একমাত্র রাহেলকে অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) এস আর পিন্টু সরকার ২৮ মার্চ ভোরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সৎপুর গ্রাম থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমও পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিন্টু সরকার তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি রাহেলকে ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ওই আদালতে বিচারের জন্য এলে ২০২২ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের পর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর শুনানিতে ১৬ জন সাক্ষীর ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিজাম উদ্দিন এবং আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় রাষ্ট্র নিয়োজিত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী ইকবাল আহমদ।
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন সিলেটের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আতিকুর রহমান রাহেল গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত থেকে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান রাহেলের তিন ভাই, তিন বোন। বোনদের বিয়ে দেওয়ার পর ভাইয়েরা একই বাড়িতে পৃথক বসবাস করছিলেন। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাঁদের বাবাকে নিয়ে তিন ভাইয়ের মধ্যে সম্পদ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেন। কিন্তু মেজো ছেলে রাহেল বাড়ির দক্ষিণে ৩ শতক জমি তাঁর নামে লিখে নিতে বাবাকে চাপ সৃষ্টি করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে রাহেল তাঁর বাবাকে নিয়ে বাড়ির দক্ষিণে খেতের জমির পাশে বাগানে গাছপালা কাটতে নিয়ে যান। সঙ্গে মা মিনারা বেগম পিছু নেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে রাহেল তাঁর বাবাকে জমি লিখে নিতে চাপ দেন। এতে মা মিনারা বাধা দিলে আসামির হাতে থাকা কোদাল দিয়ে মাকে কোপ মারতে যান। তৎক্ষণাৎ তাঁর বাবা এগিয়ে এলে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। এরপর মা মিনারা এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসার অগ্রগতি না হওয়ায় মিনারাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই দিন পরই আঘাতজনিত কারণে তিনিও মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহতদের আরেক ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ মার্চ একমাত্র রাহেলকে অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) এস আর পিন্টু সরকার ২৮ মার্চ ভোরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সৎপুর গ্রাম থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমও পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিন্টু সরকার তদন্ত শেষে একমাত্র আসামি রাহেলকে ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি ওই আদালতে বিচারের জন্য এলে ২০২২ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের পর বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর শুনানিতে ১৬ জন সাক্ষীর ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নিজাম উদ্দিন এবং আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় রাষ্ট্র নিয়োজিত হিসেবে ছিলেন আইনজীবী ইকবাল আহমদ।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
৯ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫