Ajker Patrika

লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
Thumbnail image

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। এ সময় দোকানের মালামাল ও অর্থ লুট করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী। 

আজ শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোনাকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ী আ. গফ্ফার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। 

দোকানঘর ভাঙচুরে অভিযোগ ওঠা অন্যতম আসামিরা হলেন গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা (৪৫), রশিদুল ইসলাম (৪৮), আমিনুর রহমান (৪৫), বাবু (৩৩), মিলন (২৮), রায়হান (৩৫), সম্পদ (২৮), সৌরভ (২৭), সবুজ (৩৫) প্রমুখ। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী হলেন উপজেলার দইখাওয়া এলাকার মৃত আ. রহমানের ছেলে আ. গফ্ফার (৪৩), তিনি দইখাওয়া বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দই খাওয়া বাজারে প্রায় ২৫ বছর ধরে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করে আসছেন আ. গফ্ফার। এরই মধ্যে তাঁর দোকানঘরের মেরামতের কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু সেখানে চেয়ারম্যান এসে কাজ বন্ধ করতে বলেন এবং এক লাখ টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে না পারলে কাজ করতে দেবেন না। টাকা দিতে অসম্মতি জানালে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন আ. গফ্ফারের দোকানঘর ভাঙচুর করে মালামাল ও অর্থ লুট করে নিয়ে যান। 

হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আ. গফ্ফার বলেন, ‘আমি ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। কখনো এই ধরনের সমস্যায় পড়িনি। এটি সরকারি জায়গা-সরকারি ঘর। আমি সেই ঘরের মেরামত কাজ শুরু করি। কিন্তু চেয়ারম্যান এসে কাজ বন্ধ করে দেন। আর আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারলে কাজ করতে দেবে না। আমি সেই টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি ও তাঁর লোকজন এসে আমার দোকানঘর ভাঙচুর করে মালামাল ও অর্থ লুট করে নিয়ে যান।’ 

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম, ফজলুল হক ও শুক্কও আলী বলেন, ‘মোনা চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন এসে দোকান ভাঙচুর করে সব মালামাল নিয়ে যান। তবে কেন নিয়ে যান তা আমরা জানি না। শুনেছি আ. গফ্ফারের কাছে এক লাখ টাকা চেয়েছে। সেটা দিতে না পারায় এমনটা করেছে।’ 

অভিযোগ অস্বীকার করে গোতামারী ইউপির চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল হক মোনা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাট-বাজার হলো সরকারি জায়গা। সেই বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হলেন চেয়ারম্যান। হাট-বাজারের দোকানের কাজ করলে সভাপতিকে জানিয়ে করতে হবে। সেটাতো করে নাই উল্টো ড্রেনের ওপর ঘর নির্মাণ করছিল। আমি শুধু সেটা নিষেধ করেছি। আর কিছু না।’ 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। থানায় অভিযোগও হয়েছে। আমি থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত