Ajker Patrika

মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাবনার যুবককে নাটোর এনে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৮: ০১
মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাবনার যুবককে নাটোর এনে হত্যা

পাবনায় মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মো. অন্তর (২০) নামের এক যুবককে নাটোরের গুরুদাসপুরে এনে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে অন্তরকে চোলাই মদ পান করিয়ে অজ্ঞান করানো হয়। তারপর জামা খুলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর একটি বালতিতে সেই জামা লুকিয়ে পাবনা ফিরে যায় দুই হত্যাকারী এরশাদ আলী ও রিপন সরকার।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনার চাটমোহর উপজেলার মো. অন্তর হত্যার বর্ণনা দেন র‍্যাব-৫-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার।

অন্তর পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাতাইলহাট গ্রামের মো. ছাবের আলীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এরশাদ আলী (৩৪) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার গোপালবাটি এলাকার মৃত তাছের উদ্দীনের ছেলে। এরশাদ পেশায় সুইপার। তিনি চাটমোহর মহেলা স্টেশন এলাকার গুয়াখাড়া বাজারের এলাকার বাসিন্দা। অপরজন রিপন সরকার (৩২) চাটমোহরের পাটচাটরা এলাকার আকবর সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় জিলাপি বিক্রেতা। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে তাঁদের চাটমোহরের গুয়াখাড়া স্টেশন বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তাঁরা স্বীকার করেছেন বলে জানায় র‍্যাব।

র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক জানান, গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) নাটোরের গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের উদবাড়িয়া মাদ্রাসার পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মরদেহের পাশে বেশ কিছু আলামত পড়ে ছিল। পরে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডে তদন্তে নামেন র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পাবনার চাটমোহর থেকে এরশাদ ও রিপন এবং সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্ম থেকে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার শার্ট উদ্ধার করা হয়। 

অধিনায়ক শাহরিয়ার আরও জানান, এরশাদ ও রিপন চটমোহর মহেলা রেলস্টেশন এলাকায় বসবাস করার সুবাদে তাঁদের সঙ্গে অন্তরের পরিচয় হয়। রিপন ওই বাজারে জিলাপি বিক্রির আড়ালে মাদকের ব্যবসা করতেন। তাঁরা তিনজনই মাদক সেবনে অভ্যস্ত ছিলেন। অন্তরের সঙ্গে রিপনের মাদক নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে রিপন এরশাদের ফোন থেকে অন্তরকে ফোন করে কাজের কথা বলে ডেকে নেন। ওই দিন বিকেলে অন্ত রিপন ও এরশাদের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা তিনজন চার বোতল চোলাই মদ সংগ্রহ করেন। কৌশলে অন্তরকে দেওয়া বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে একটি সিএনজি ভাড়া করে বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁরা গুরুদাসপুর উদবাড়িয়া এলাকায় এসে ঘোরাঘুরি করেন। এরপর রাত ৮টায় তাঁরা উদবাড়িয়া মাদ্রাসার বারান্দায় বসে মদ সেবন করেন। সেবনের পর অন্তর অচেতন হলে তাঁর জামা খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শার্টটি নিয়ে এরশাদ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও রিপন পাবনার চাটমোহর চলে যান। 

গ্রেপ্তারের পর এরশাদ ও রিপনকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত