ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘ধরুন, একটি পুকুরে বেশ কিছু কুমির আছে, তার মধ্যে আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, আপনাকে সাঁতরে পুকুর পাড়ি দিতে হবে। ভালো সাঁতারু যেমন এই পুকুর পাড়ি দিতে পারবেন, তেমনি ভালো সাংবাদিক এমন অসংখ্য কুমিরের মধ্যে ভালো প্রতিবেদন করবেন। এখন আমাদের সমাজে কখনো মালিক, কখনো রাজনৈতিক দল, কখনো ভূস্বামী, কখনো ছাত্র বা যুব সংগঠন এই কুমিরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ফলে কুমির কখন, কী চরিত্র নিয়ে হাজির হবে—সেটা বলা মুশকিল। এর মধ্যেই আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে।’ প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মূসার এ উক্তি গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের একটি লেখায় উদ্ধৃত করেছিলেন বরেণ্য সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোনো একক ও সর্বসম্মত সংজ্ঞা পাওয়া মুশকিল। তবে পেশাদার সাংবাদিকেরা এর মূল উপাদান নিয়ে মোটামুটি একমত। পদ্ধতি বা পরিকল্পনামাফিক অনুসন্ধান, গভীর ও মৌলিক গবেষণা এবং ‘গোপন’ তথ্য উন্মোচন। অনেকে আবার মনে করেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত তথ্য ও নথিপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের মূল বিবেচ্য থাকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারণা
ব্রিটিশ লেখক জর্জ অরওয়েল বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা হলো এমন কিছু প্রকাশ করা, যা অন্য কেউ প্রকাশ করতে চাইবে না। বাকি সবকিছু জনসংযোগ।’জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো তার প্রকাশনা ‘স্টোরি-বেজড এনকোয়ারি’ নামের এক হ্যান্ডবুকে বলছে, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপন বা লুকিয়ে রাখা তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা। সাধারণত ক্ষমতাবান কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য গোপন রাখে; কখনো-বা তা বিপুল ও বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে থাকা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা চট করে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কাজের জন্য একজন সাংবাদিককে সাধারণত প্রকাশ্য ও গোপন নানা উৎস (সোর্স) ব্যবহার করতে হয়, ঘাটতে হয় নানা ধরনের নথিপত্র।’
সাংবাদিকতার বেশির ভাগ কাজে, এমনকি প্রতিদিনের ব্রেকিং নিউজের কাজেও অনুসন্ধানের উপাদান থাকে। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলা যেতে পারে এমন কোনো কিছুকে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লম্বা সময় ধরে গভীর, বিশ্লেষণধর্মী কাজ করা হয়। এই কাজে কয়েক মাস বা বছরও লাগতে পারে।
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ম্যানুয়াল বলছে, প্রচলিত খবরের ক্ষেত্রে যেখানে সাংবাদিকেরা সরকার, এনজিও ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর সরবরাহ করা তথ্যের ওপর নির্ভর করেন, সেখানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রতিবেদক নির্ভর করেন তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে সংগৃহীত তথ্যের ওপর। হয়তো তিনি অনেক নথিপত্রসহ কোনো ই–মেইল পেতে পারেন বা দীর্ঘ দিনের পরিচিত কোনো সূত্র তাঁকে কোনো করপোরেট ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জানাতে পারে। যেকোনো ক্ষেত্রেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার লক্ষ্য হলো—জনস্বার্থে এমন কিছু উন্মোচন করা, যা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গোপন রাখা হয়েছিল।
আবার ডাচ-ফ্লেমিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংঘ ভিভিওজে–এর সংজ্ঞায়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলতে সেসব প্রতিবেদনকে বোঝায়, যেগুলো ‘বিশ্লেষণাত্মক ও কোনো একটি বিষয়কে তলিয়ে দেখার চেষ্টা করে’।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নথিপ্রাপ্তির কৌশল
১৯৯০ সালে তথ্য বিশ্লেষণ ও চিত্রায়ণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা, যা ওই সময় অন্য অনেকের কাছে ছিল অপরিচিত।
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ম্যানুয়ালের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কীভাবে সূত্রের তথ্য, গুজব ও প্রকৃত ঘটনা যাচাই করতে হয়, সে প্রসঙ্গে লেখা আছে। কোনো নতুন উদ্যেগের কথা জানা গেলে, এর পেছনে প্রধান প্রধান উদ্যোক্তা কারা, তা অনুসন্ধান করতে হবে। তাঁদের সহকর্মী, প্রতিপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্রের বিষয়টি বারবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—একজন নতুন কৃষিমন্ত্রী যদি শস্য বাণিজ্যে নিয়োজিত একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির বোর্ডে থাকেন, তখন এটা বৈধ কি না তা যাচাই করতে হবে।
অভিযোগের পক্ষে যেসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হচ্ছে, তার যথার্থতা নিয়েও আপনার প্রশ্ন তোলা উচিত। মিথ্যা বা খণ্ডিত কোনো অভিযোগের জন্য ‘প্রমাণ’ হাজির করা এখন খুবই সহজ। অফিসিয়াল লেটারহেড, ফটোশপ, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার থাকলেই এখন এসব প্রমাণ তৈরি করে ফেলা যায়। এমনকি নথিপত্র আসল হলেও, দেখা যাবে আপনাকে শুধু বেছে বেছে অল্প কিছু নথি দেওয়া হয়েছে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বর্পূণ কিছু নথি বাদ রাখা হয়েছে, যাতে পরে বলা যায় আপনার রিপোর্ট খণ্ডিত বা অর্ধসত্য।
একই ম্যানুয়ালে চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, তথ্য সংরক্ষণের কৌশল সম্পর্কে। ডেটা সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সংযোগ রয়েছে—এমন কোনো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত তথ্যের সুরক্ষা অনেক সংবেদশীল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর সঙ্গে কর্মস্থলটি যদি হয় সীমিত ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে—এমন দেশে, যার প্রশাসন চায় না আপনার অনুসন্ধানটি প্রকাশ হোক, তবে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে তারা নানাভাবে আপনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে বা আপনার গবেষণার ওপর নজরদারি চালাতে পারে।
বলা বাহুল্য, আপনার সূত্রদেরও সুরক্ষা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাঁরা যোগাযোগের যেসব মাধ্যম ব্যবহার করছেন, সেসব প্রযুক্তিগত মাধ্যমে অন্যের অনুপ্রবেশ রোধে সুরক্ষা টুলস ব্যবহার করছেন কি না, বা এ সম্পর্কে সচেতন কি না, তা নিশ্চিত করুন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা এমআরডিআই। সেখানে নথিসূত্র হিসেবে বই, সংবাদপত্র, সাময়িকী, সরকারি দলিল, ব্যাংক বিবরণী ইত্যাদি নথির কথা উল্লেখ আছে। সরকারিভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবে গোপন রাখা হয়েছে—এমন তথ্যও অনুসন্ধানী সাংবাদিক খুঁজবেন এবং একে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ধাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বই ও বিভিন্ন লেখা ঘেঁটে এটা বলাই যায়, সাংবাদিকতার পথে সব সময় সহজ সমীকরণে হাঁটা যায় না। এ জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। নথি জোগাড় করার নানা কলাকৌশল সেগুলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাংবাদিক নথির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর গোপনীয়তা বজায় রাখা বা না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে রাষ্ট্রের স্বার্থই হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
‘ধরুন, একটি পুকুরে বেশ কিছু কুমির আছে, তার মধ্যে আপনাকে ছেড়ে দেওয়া হলো, আপনাকে সাঁতরে পুকুর পাড়ি দিতে হবে। ভালো সাঁতারু যেমন এই পুকুর পাড়ি দিতে পারবেন, তেমনি ভালো সাংবাদিক এমন অসংখ্য কুমিরের মধ্যে ভালো প্রতিবেদন করবেন। এখন আমাদের সমাজে কখনো মালিক, কখনো রাজনৈতিক দল, কখনো ভূস্বামী, কখনো ছাত্র বা যুব সংগঠন এই কুমিরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ফলে কুমির কখন, কী চরিত্র নিয়ে হাজির হবে—সেটা বলা মুশকিল। এর মধ্যেই আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে।’ প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মূসার এ উক্তি গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের একটি লেখায় উদ্ধৃত করেছিলেন বরেণ্য সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কোনো একক ও সর্বসম্মত সংজ্ঞা পাওয়া মুশকিল। তবে পেশাদার সাংবাদিকেরা এর মূল উপাদান নিয়ে মোটামুটি একমত। পদ্ধতি বা পরিকল্পনামাফিক অনুসন্ধান, গভীর ও মৌলিক গবেষণা এবং ‘গোপন’ তথ্য উন্মোচন। অনেকে আবার মনে করেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত তথ্য ও নথিপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এ ধরনের প্রতিবেদনের মূল বিবেচ্য থাকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ধারণা
ব্রিটিশ লেখক জর্জ অরওয়েল বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা হলো এমন কিছু প্রকাশ করা, যা অন্য কেউ প্রকাশ করতে চাইবে না। বাকি সবকিছু জনসংযোগ।’জাতিসংঘের শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো তার প্রকাশনা ‘স্টোরি-বেজড এনকোয়ারি’ নামের এক হ্যান্ডবুকে বলছে, ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য হচ্ছে গোপন বা লুকিয়ে রাখা তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা। সাধারণত ক্ষমতাবান কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব তথ্য গোপন রাখে; কখনো-বা তা বিপুল ও বিশৃঙ্খলভাবে ছড়িয়ে থাকা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, যা চট করে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই কাজের জন্য একজন সাংবাদিককে সাধারণত প্রকাশ্য ও গোপন নানা উৎস (সোর্স) ব্যবহার করতে হয়, ঘাটতে হয় নানা ধরনের নথিপত্র।’
সাংবাদিকতার বেশির ভাগ কাজে, এমনকি প্রতিদিনের ব্রেকিং নিউজের কাজেও অনুসন্ধানের উপাদান থাকে। কিন্তু অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বলা যেতে পারে এমন কোনো কিছুকে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লম্বা সময় ধরে গভীর, বিশ্লেষণধর্মী কাজ করা হয়। এই কাজে কয়েক মাস বা বছরও লাগতে পারে।
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ম্যানুয়াল বলছে, প্রচলিত খবরের ক্ষেত্রে যেখানে সাংবাদিকেরা সরকার, এনজিও ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর সরবরাহ করা তথ্যের ওপর নির্ভর করেন, সেখানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রতিবেদক নির্ভর করেন তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে সংগৃহীত তথ্যের ওপর। হয়তো তিনি অনেক নথিপত্রসহ কোনো ই–মেইল পেতে পারেন বা দীর্ঘ দিনের পরিচিত কোনো সূত্র তাঁকে কোনো করপোরেট ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে জানাতে পারে। যেকোনো ক্ষেত্রেই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার লক্ষ্য হলো—জনস্বার্থে এমন কিছু উন্মোচন করা, যা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় গোপন রাখা হয়েছিল।
আবার ডাচ-ফ্লেমিশ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংঘ ভিভিওজে–এর সংজ্ঞায়, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বলতে সেসব প্রতিবেদনকে বোঝায়, যেগুলো ‘বিশ্লেষণাত্মক ও কোনো একটি বিষয়কে তলিয়ে দেখার চেষ্টা করে’।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নথিপ্রাপ্তির কৌশল
১৯৯০ সালে তথ্য বিশ্লেষণ ও চিত্রায়ণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা, যা ওই সময় অন্য অনেকের কাছে ছিল অপরিচিত।
ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম ম্যানুয়ালের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কীভাবে সূত্রের তথ্য, গুজব ও প্রকৃত ঘটনা যাচাই করতে হয়, সে প্রসঙ্গে লেখা আছে। কোনো নতুন উদ্যেগের কথা জানা গেলে, এর পেছনে প্রধান প্রধান উদ্যোক্তা কারা, তা অনুসন্ধান করতে হবে। তাঁদের সহকর্মী, প্রতিপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্রের বিষয়টি বারবার পরীক্ষা করে দেখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়—একজন নতুন কৃষিমন্ত্রী যদি শস্য বাণিজ্যে নিয়োজিত একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির বোর্ডে থাকেন, তখন এটা বৈধ কি না তা যাচাই করতে হবে।
অভিযোগের পক্ষে যেসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করা হচ্ছে, তার যথার্থতা নিয়েও আপনার প্রশ্ন তোলা উচিত। মিথ্যা বা খণ্ডিত কোনো অভিযোগের জন্য ‘প্রমাণ’ হাজির করা এখন খুবই সহজ। অফিসিয়াল লেটারহেড, ফটোশপ, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার থাকলেই এখন এসব প্রমাণ তৈরি করে ফেলা যায়। এমনকি নথিপত্র আসল হলেও, দেখা যাবে আপনাকে শুধু বেছে বেছে অল্প কিছু নথি দেওয়া হয়েছে এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বর্পূণ কিছু নথি বাদ রাখা হয়েছে, যাতে পরে বলা যায় আপনার রিপোর্ট খণ্ডিত বা অর্ধসত্য।
একই ম্যানুয়ালে চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হচ্ছে, তথ্য সংরক্ষণের কৌশল সম্পর্কে। ডেটা সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সংযোগ রয়েছে—এমন কোনো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত তথ্যের সুরক্ষা অনেক সংবেদশীল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর সঙ্গে কর্মস্থলটি যদি হয় সীমিত ব্যক্তিস্বাধীনতা রয়েছে—এমন দেশে, যার প্রশাসন চায় না আপনার অনুসন্ধানটি প্রকাশ হোক, তবে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে তারা নানাভাবে আপনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে বা আপনার গবেষণার ওপর নজরদারি চালাতে পারে।
বলা বাহুল্য, আপনার সূত্রদেরও সুরক্ষা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাঁরা যোগাযোগের যেসব মাধ্যম ব্যবহার করছেন, সেসব প্রযুক্তিগত মাধ্যমে অন্যের অনুপ্রবেশ রোধে সুরক্ষা টুলস ব্যবহার করছেন কি না, বা এ সম্পর্কে সচেতন কি না, তা নিশ্চিত করুন।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা এমআরডিআই। সেখানে নথিসূত্র হিসেবে বই, সংবাদপত্র, সাময়িকী, সরকারি দলিল, ব্যাংক বিবরণী ইত্যাদি নথির কথা উল্লেখ আছে। সরকারিভাবে বা আনুষ্ঠানিকভাবে গোপন রাখা হয়েছে—এমন তথ্যও অনুসন্ধানী সাংবাদিক খুঁজবেন এবং একে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ধাপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার বই ও বিভিন্ন লেখা ঘেঁটে এটা বলাই যায়, সাংবাদিকতার পথে সব সময় সহজ সমীকরণে হাঁটা যায় না। এ জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করতে হয়। নথি জোগাড় করার নানা কলাকৌশল সেগুলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাংবাদিক নথির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর গোপনীয়তা বজায় রাখা বা না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে রাষ্ট্রের স্বার্থই হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৩ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫