Ajker Patrika

বিয়েবাড়িতে গান শোনা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৩: ৫৭
Thumbnail image

বিয়েবাড়িতে গান শোনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাজল হোসেন (৪২) নামের ওই ইউপি সদস্য।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সর্দারপাড়া মোড়ে নিজ বাড়ির পাশে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিঠে ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা।

কাজল হোসেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এবং ওই ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের মো. সুন্নতের ছেলে। তিনি দৌলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

স্থানীয় ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগের থেকে এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজলের বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে গত কয়েক দিন আগে বিয়েবাড়িতে গান শোনা নিয়ে কাজল মেম্বারের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশী মাবুদের লোকজনের হাতাহাতি হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য মাবুদের বাড়িতে যান কাজল। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে কাজলের স্বজনেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান।

হাসপাতালে নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আরিফা খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ঘটনার পর থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন কাজল। স্যালাইন চলছিল। ভোর ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের আহাজারিনিহতের প্রতিবেশী মহব্বত হোসেন বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সর্দারপাড়ার লোকজনের সঙ্গে কাজলের বিরোধ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই হামলা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দৌলতপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহহমান বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকে এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজলের বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে কয়েক দিন আগে বিয়েবাড়িতে গান শোনা নিয়ে কাজল মেম্বারের ভাতিজার সঙ্গে তাঁদের ওই প্রতিবেশী মাবুদের লোকজনের হাতাহাতি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য মাবুদের বাড়িতে যায় কাজল। এ সময় মাবুদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাজলের ঘাড়ে ও পিঠে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মাবুদ।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত