নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে গাড়ির ভেতর খুন হওয়া সজল কুমার ঘোষের সর্বশেষ কথা হয়েছিল তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে। সেই বন্ধুই তাঁকে খুন করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। খুনের পর মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে গেলেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার পরনের পোশাক।
পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সজলের এক বন্ধুকে ধরার চেষ্টা করছি। মরদেহ উদ্ধারের পর গতকাল শনিবার দিবাগত রাতেই সজলের বন্ধুর বাসায় অভিযান চালানো হলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্ধুর সঙ্গেই গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে সর্বশেষ কথা হয়েছিল সজলের।
তিনি জানান, মৃতদেহের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না। খুনি পোশাক নিয়ে গেছে। তবে মরদেহের পাশে মোবাইল, মানিব্যাগসহ সব জিনিসপত্রই ছিল। ঘটনাটি ছিনতাই হলে গাড়ি ও মালামাল নিয়ে যেত। কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাঁকা কোনো জায়গায় হত্যার পর মরদেহসহ গাড়িটি ফেলে যাওয়া হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, নিহত সজলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। ঢাকার ভাটারার নুরের চালা এলাকায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন তিনি। ইউডিসি কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কালাম হোসেনের গাড়ির চালক ছিলেন সজল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কালাম হোসেনকে তাঁর ধানমন্ডির বাসায় নামিয়ে দেন। এরপর মহাখালীর গ্যারেজে ফেরার কথা ছিল চালকের। কিন্তু চালকসহ গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সজলের ফোনে কল করা হলেও রিসিভ করছিলেন না।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর সজলের মোবাইল ফোনের অবস্থান পাওয়া যায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়। খোঁজাখুঁজি করে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ধানমন্ডির ৬ নম্বরে গাড়ির মালিক কামাল হোসেনকে নামিয়ে দেন। প্রতিদিন তিনি যে পথ দিয়ে গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে আসেন, বৃহস্পতিবার সেই পথে আসেননি। অন্য একটি পথে ঘুরে তেজগাঁও আসেন। এ সময় তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে সজলের কথা হয়। মোবাইল টাওয়ারের সেই বন্ধুর অবস্থান ও নিহত সজলের অবস্থান একই ছিল। সেই বন্ধুর সঙ্গেই সজলের সর্বশেষ কথা হয়। রাতেই সেই বন্ধুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে ধরতে পারলেই খুনের কারণ জানা যাবে। তবে একজন নারী নিয়ে দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তাঁর শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। বৃহস্পতিবারই তিনি খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিপরীত দিকে টিপাড়া আয়রন অ্যান্ড টিন ফ্যাক্টরি লিমিটেডের পাশে সজলের মৃতদেহ সহ দামি গাড়িটি পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকেই গাড়িটি সেখানে রয়েছে। দীর্ঘ সময় একই জায়গায় গাড়ি পড়ে থাকায় ধুলোর আস্তর পড়েছে। এলাকাটি অনাবাসিক এবং শুক্র ও শনিবার অফিস ছুটি থাকায় পড়ে থাকা গাড়ি কারও নজরে পড়েনি।
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে গাড়ির ভেতর খুন হওয়া সজল কুমার ঘোষের সর্বশেষ কথা হয়েছিল তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে। সেই বন্ধুই তাঁকে খুন করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। খুনের পর মোবাইল ও মানিব্যাগ রেখে গেলেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার পরনের পোশাক।
পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা সজলের এক বন্ধুকে ধরার চেষ্টা করছি। মরদেহ উদ্ধারের পর গতকাল শনিবার দিবাগত রাতেই সজলের বন্ধুর বাসায় অভিযান চালানো হলেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বন্ধুর সঙ্গেই গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে সর্বশেষ কথা হয়েছিল সজলের।
তিনি জানান, মৃতদেহের গায়ে কোনো পোশাক ছিল না। খুনি পোশাক নিয়ে গেছে। তবে মরদেহের পাশে মোবাইল, মানিব্যাগসহ সব জিনিসপত্রই ছিল। ঘটনাটি ছিনতাই হলে গাড়ি ও মালামাল নিয়ে যেত। কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফাঁকা কোনো জায়গায় হত্যার পর মরদেহসহ গাড়িটি ফেলে যাওয়া হয়।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, নিহত সজলের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায়। ঢাকার ভাটারার নুরের চালা এলাকায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন তিনি। ইউডিসি কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কালাম হোসেনের গাড়ির চালক ছিলেন সজল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কালাম হোসেনকে তাঁর ধানমন্ডির বাসায় নামিয়ে দেন। এরপর মহাখালীর গ্যারেজে ফেরার কথা ছিল চালকের। কিন্তু চালকসহ গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সজলের ফোনে কল করা হলেও রিসিভ করছিলেন না।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর সজলের মোবাইল ফোনের অবস্থান পাওয়া যায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায়। খোঁজাখুঁজি করে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশ গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে উৎকট গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ধানমন্ডির ৬ নম্বরে গাড়ির মালিক কামাল হোসেনকে নামিয়ে দেন। প্রতিদিন তিনি যে পথ দিয়ে গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে আসেন, বৃহস্পতিবার সেই পথে আসেননি। অন্য একটি পথে ঘুরে তেজগাঁও আসেন। এ সময় তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে সজলের কথা হয়। মোবাইল টাওয়ারের সেই বন্ধুর অবস্থান ও নিহত সজলের অবস্থান একই ছিল। সেই বন্ধুর সঙ্গেই সজলের সর্বশেষ কথা হয়। রাতেই সেই বন্ধুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে ধরতে পারলেই খুনের কারণ জানা যাবে। তবে একজন নারী নিয়ে দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তাঁর শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। বৃহস্পতিবারই তিনি খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিপরীত দিকে টিপাড়া আয়রন অ্যান্ড টিন ফ্যাক্টরি লিমিটেডের পাশে সজলের মৃতদেহ সহ দামি গাড়িটি পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকেই গাড়িটি সেখানে রয়েছে। দীর্ঘ সময় একই জায়গায় গাড়ি পড়ে থাকায় ধুলোর আস্তর পড়েছে। এলাকাটি অনাবাসিক এবং শুক্র ও শনিবার অফিস ছুটি থাকায় পড়ে থাকা গাড়ি কারও নজরে পড়েনি।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৭ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৭ দিন আগে