নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ২০৮ পৃষ্ঠার এ রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। তাতে খালেক ও রোকনুজ্জামান দুজনকেই তিনটি করে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই আসামির মধ্যে আব্দুল খালেক মণ্ডল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে রায় পড়া শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। এর আগেই খালেক মণ্ডলকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায়ের পুরোটা সময় তিনি চুপচাপ বসেছিলেন। রায় ঘোষণার পরও তিনি কোনো কথা বলেননি। এমনকি রায় ঘোষণার পর বিচারপতিরা চলে যাওয়ার আগে তিনি দাঁড়িয়ে সম্মানও জানান আদালতের প্রতি। তবে অপর আসামি রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় তখন চারজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামান ছাড়া বাকি দুজন মারা গেছেন। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
রায়ের পর প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, যুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার নারীদের ট্রাইব্যুনাল জাতির সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এক নম্বর অভিযোগ ছিল-মোংলা বন্দরে জাহাজের মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরস্ত্র অবস্থায় ফেরার সময় বাংলাদেশের ছয়জন নৌকমান্ডোকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রেপ্তার করে। সেখানে দুজনকে হত্যা করা হয় এবং চারজনকে ধরে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। সেখানে খালেক মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশেই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সাত নম্বর অভিযোগ ছিল-পাকিস্তানি সেনারা দুজনকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে একজন নারী মারাও যান। এখানে খালেক মণ্ডলের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলেও তিনি ইন্ধন দিয়েছেন।
এদিকে রায়ের পর খালেক মণ্ডলের আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, খালেক মণ্ডল ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন। একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। এখানে অসংখ্য অসংগতি রয়েছে। আশা করি আপিলে আব্দুল খালেক মণ্ডল খালাস পাবেন।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আসামি বানিয়ে আদালতে টেনে এনে যেভাবে শাস্তি দিচ্ছে-তাতে দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য মোটেও ভালো হবে না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে করা মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ২০৮ পৃষ্ঠার এ রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান। তাতে খালেক ও রোকনুজ্জামান দুজনকেই তিনটি করে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
দুই আসামির মধ্যে আব্দুল খালেক মণ্ডল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে রায় পড়া শেষ হয় সাড়ে ১১টায়। এর আগেই খালেক মণ্ডলকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায়ের পুরোটা সময় তিনি চুপচাপ বসেছিলেন। রায় ঘোষণার পরও তিনি কোনো কথা বলেননি। এমনকি রায় ঘোষণার পর বিচারপতিরা চলে যাওয়ার আগে তিনি দাঁড়িয়ে সম্মানও জানান আদালতের প্রতি। তবে অপর আসামি রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় তখন চারজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামান ছাড়া বাকি দুজন মারা গেছেন। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
রায়ের পর প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, যুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার নারীদের ট্রাইব্যুনাল জাতির সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এক নম্বর অভিযোগ ছিল-মোংলা বন্দরে জাহাজের মধ্যে মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরস্ত্র অবস্থায় ফেরার সময় বাংলাদেশের ছয়জন নৌকমান্ডোকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রেপ্তার করে। সেখানে দুজনকে হত্যা করা হয় এবং চারজনকে ধরে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। সেখানে খালেক মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর নির্দেশেই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সাত নম্বর অভিযোগ ছিল-পাকিস্তানি সেনারা দুজনকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে একজন নারী মারাও যান। এখানে খালেক মণ্ডলের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলেও তিনি ইন্ধন দিয়েছেন।
এদিকে রায়ের পর খালেক মণ্ডলের আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, খালেক মণ্ডল ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সংসদে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিও ছিলেন। একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। এখানে অসংখ্য অসংগতি রয়েছে। আশা করি আপিলে আব্দুল খালেক মণ্ডল খালাস পাবেন।
তিনি আরও বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরকার রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আসামি বানিয়ে আদালতে টেনে এনে যেভাবে শাস্তি দিচ্ছে-তাতে দেশ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্য হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য মোটেও ভালো হবে না।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৯ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫