Ajker Patrika

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জালনোটের কারবার করতেন তাঁরা: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পেজ ও গ্রুপ খুলে জালটাকা বিক্রির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে আসছিলেন কয়েকজন। অনেকটা খোলাখুলিভাবে তাঁরা গত এক বছরে দুই কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছেড়েছেন। এই চক্রের চার সদস্যকে আটকের পর এ তথ্য দিয়েছে র‍্যাব। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ডেমরা, খিলগাঁও ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আব্দুর রাজ্জাক দিদার (৩০), মো. সুজন আলী (৪০) ও মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান (২১)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যমানের জালনোট, ১টি ল্যাপটপ, ১টি প্রিন্টার, ১১টি টোনার ও কার্টিজ, ১টি পেনড্রাইভসহ জালনোট তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। 

আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য দেন। কমান্ডার মঈন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, একটি প্রতারক চক্র প্রায় এক বছর ধরে জাল টাকার নোট তৈরি করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল। 

আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপ খুলে জালনোট তৈরি ও বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন তাঁরা। চক্রের মূল হোতা আমিনুলের নেতৃত্বে কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় তাঁরা জাল নোটের ব্যবসায় নামেন। প্রথমে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলেন। সেখানে তাঁরা জালনোট তৈরি ও পাইকারি বিক্রির বিভিন্ন তথ্য দিতেন। গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে দিদার কাজ করতেন। এভাবে প্রায় দুই কোটি টাকার জালনোট বাজারে ছেড়েছে চক্রটি। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, আমিনুল জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষ হওয়ায় নিজেই চক্রটি পরিচালনা করতেন এবং তিনি নিজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পেনড্রাইভ, কাগজ, টিস্যু পেপার ও প্রিন্টারের কালিসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয় করতেন। আমিনুল জালনোট প্রিন্ট করে দিদারকে দিতেন। দিদার চক্রের অপর সদস্য সুজনকে সঙ্গে নিয়ে জালনোট কাটিং ও বান্ডিল করতেন। প্রতিদিন দুই থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট তৈরি করতেন তাঁরা। ফেসবুক গ্রুপে মন্তব্য দেখে তাঁদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রেতা তৈরি করে সুবিধাজনক স্থানে জালনোটগুলো সরবরাহ করতেন তাঁরা। এক লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, আমিনুল রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেন। এই পেশার আড়ালে তিনি অনলাইনে জালনোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত