বাবার শাস্তির ভয়ে শিশুর আত্মহত্যা

পরিবারের জমানো মাটির ব্যাংক থেকে লুকিয়ে টাকা বের করার চেষ্টা করছিল শিশু মায়া আক্তার (১২)। কিন্তু তা দেখে ফেলে বড় বোন। বাবার কাছে বিচার দেওয়ার ভয় দেখায় বড় বোন। বিচার না দিতে বোনকে অনুরোধ করে মায়া। এর কিছুক্ষণ পরই বাবার ডাক শুনে দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে ফাঁস দেয় সে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লা থানার আওতাধীন পাগলা পূর্বপাড়া বৈরাগী বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

শিশু মায়া আকতার একই এলাকার জামাল হাজারীর মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মায়ার বাবা জামাল বলেন, ‘রাতে খাবার খাওয়া শেষে আমি আমার বড় মেয়েকে পান বানিয়ে আনতে বলি। সে পাশের রুমে গিয়ে দেখে মায়া মাটির ব্যাংক থেকে টাকা বের করার চেষ্টা করছে। এ সময় আমার বড় মেয়ে তাকে বলে, তোর নামে বাবার কাছে বিচার দেব। তখন মায়া তার বড় বোনের কাছে অনুরোধ করে না বলতে। কিছু সময় পর আমি এমনিতেই তাকে ডাক দিলে সে ভয় পেয়ে যায়। দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে দরজা আটকে দাঁড়িয়ে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় আমরা ভেন্টিলেটার দিয়ে উঁকি দিতেই ওকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। সঙ্গে সঙ্গেই হাতুড়ি এনে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা আমার মেয়েটাকে মৃত ঘোষণা করে।’

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত বাবার ভয়েই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছি আমরা। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’